আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৩৬/বি নং রুটের বাস মালিকদের কাছে জিম্মি মোহাম্মদপুর বাংলামটর হয়ে মতিঝিলগামী যাত্রীসাধারণ

সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেট বাংলামটর হয়ে যে সকল যাত্রী মতিঝিল কিংবা চিটাগাং রুটে যাতায়ত করেন তারা অসহায় ও জিম্মি হয়ে পড়েছেন ৩৬/বি রুটের বাস মালিক-শ্রমিকদের খামখেয়ালীপনার কাছে। জ্বালানি তলের দাম বাড়েনি, সরকারও বাসভাড়া পুননির্ধরণ করেনি। মালিকেরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে এই বাড়তি ভাড়ার দ্বায়ভার চাপিয়ে দিয়েছে যাত্রীদের উপর। মোহাম্মদপুর টু চিটাগাং রুটে বিকল্প কোন যানবাহন না থাকায় বাধ্য হয়েই এই রুটের যাত্রীগণ ৩৬/বি মিনিবাসে যাতায়াত করতে বাধ্য হন এবং এই বাড়তি ভাড়া নিয়ে বচসা হলেও বাড়তি ভাড়া পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছে ক্ষুদ্ধ ও হতাশ যাত্রীরা। এই রুটের যাতায়াত কারী মিনি বাসের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম।

যার কারণে অতি প্রত্যুশ থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত যাত্রীদের বাদুড় ঝোলা হয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হয। একাধিক বার অনুরোধ ও প্রতিবাদ করেও এর থেকে উত্তরণের জন্য কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙানো যায়নি। যানা গেছে নামে বেনামে এই সকল বাসের মালিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্য। যার কারণে এই রুটে অন্য কোন বাস প্রবেশ করতে সাহস করেনি বা চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছে। মোহাম্মদপুর ঝিকাতলা হয়ে মতিঝিল পথে একাধিক আধুনিক পরিবহনের বাস থাকলেও মোহাম্মদপুর-ফার্মগেট হয়ে মতিঝিলগামী বাস সবেধন নিলমনি এই ৩৬/বি।

মোহাম্মদপুর-ফার্মগেট হয়ে চিটাগাং রোড এই দীর্ঘ পথে ৩৬/বি নং মিনিবাসের সংখ্যা বর্তমনে ৩০টির মতো যদিও প্রতিদিন যান্ত্রীক ত্রুটির কারণে এর এক তৃতীয়াংশ বাস চলাচলের অযোগ্য থাকে। মাত্র ২০/২২টি মিনি বাস দিয়ে এই দীর্ঘ পথের হাজার হাজার যাত্রী পরিবহন করা রীতিমত দুঃসাধ্য। সে কারণে এই রুটের যাত্রীদের বাদুর ঝোলা হয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হন। সবচেয়ে দুঃসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় মহিলা যাত্রীদের। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও তারা বাসে যায়গা করে নিতে পারেণ না।

ফলে রাস্তায় কাটাতে হয় দিনের অনেকটা সময়। বিশেষ করে অফিস সময়ে মোহাম্মদপুর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাতায়াত করতে কম পক্ষে ৩/৪ ঘন্টা ব্যায় করতে হয়। সম্প্রতি বিআরটিসি মোহাম্মদপুর-বাড্ডা রুটের সিটিং সার্ভিস কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে যারা মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যাতায়াত করেন। তবে যাদের কারওয়ান বাজার কিংবা বাংলামটর হয়ে যাতায়াত করতে হয় তাদের সমস্যা রয়েই গেছে। জানাগেছে কয়েকটি পরিবহণ কোম্পানী এই রুটে তাদের গাড়ি প্রবেশ করাতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন।

এর পূর্বে মোহাম্মদপুর-ফার্মগেট রুটে কয়েকটি টেম্পু চলাচল করলেও এই রুটের বাস মালিক শ্রমিকদের প্রতিরোধে তারা তাদের গাড়ি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন। প্রয়োজনের তুলনায় গাড়ীর সংখ্যা কম এবং যাত্রীর সংখ্যা বেশী হওয়ায় বাস মালিকদের আগ্রাসী ও অনৈতিক আচরণে ক্ষোভে ফুসছে এ রুটের যাত্রীসাধারণ। ফলে প্রতিদিন বাস শ্রমিকদের সাথে হচ্ছে বচসা যা কখনো কখনো হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। অতিসম্প্রতি এই রুটের বাস মালিকগণ সিটিং সার্ভিসের নামে নতুন উপদ্রপের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন যাত্রীদের ঘাড়ে। আদায় করছেন দ্বিগুণ ভাড়া।

গত ১লা বৈশাখ থেকে শুরু হয়েছে এই সার্ভিসের উপদ্রপ। পূর্বে মোহাম্মদপুর থেকে কারওয়ান বাজারের ভাড়া ৪ টাকা আদায় করা হলেও বর্তমানে আদায় করা হচ্ছে ৮ টাকা। মোহাম্মদপুর থেকে শাহাবাগ পর্যন্ত ৮ টাকা ভাড়া নির্ধাণ করা হলেও অলিখিত ভাবে কারওয়ান বাজারের ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে ৮ টাকা যা পূর্বের আদায়কৃত ভাড়া থেকে দ্বিগুণ। কার নির্দেশে এবং কোন সংস্থার অনুমতি নিয়ে টাউন সার্ভিসকে সিটিং সার্ভিসে রূপান্তর করা হয়েছে তার সঠিক উত্তর মেলেনি বাস মালিক-শ্রমিকদের কাছ থেকে। সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে এবং যাত্রীদের অসহায়ত্তের সুযোগ নিয়ে এই অতিরিক্ত ভাড়া চাপিয়েছে যাত্রীদের ঘাড়ে।

এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে বাস মালিক ও শ্রমিকদের কাছে নিগৃহিত হতে হচ্ছে যাত্রীদের। ৩৬/বি রুটের বাস মালিকদের কাছে জিম্মি যাত্রীগণ তাদের এই অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে মুক্তিপেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এই রুটে প্রয়োজনীয় সংখ্যাক সরকারী বাসের যোগান দেওয়ার দাবী যাত্রীদের। যাতে প্রতিযোগিতামূলক ভাড়ায় যাত্রী সেবা নিশ্চিত করা যায়, অবসান হয় ভোগান্তির।
 


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।