একটি আলোর কণা থেকে লক্ষ প্রদীপ জ্বলে- একটি মানুষ মানুষ হলে বিশ্ব ভুবন দোলে
Basic Human Values
ক) আজারবাইজান ৯৯% মুসলিম অধ্যুষিত একটি স্যাকুলার রাষ্ট্র। ইরানের পরে শিয়াদের উপস্থিতি সেখানে সবচেয়ে বেশি। স্যাকুলার সরকার সেখানে ইসলামপন্থি দলগুলোর উপর নির্যাতন চালায় অহরহ। সরকারীভাবে হিজাব সেখানে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করছে সরকার। স্বাভাবিকভাবে ইসলামপন্থি দলগুলো সেখানে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়ার জন্য দাবী জানাচ্ছে এবং গনতান্ত্রিক মুল্যবোধ মেনে নিয়ে সবাইকে কথা বলার সুযোগ দেয়ার জন্য তাদের আন্দোলন।
খ) তুরস্কে স্যাকুলারাইজেশনের কথা সবার জানা। মুসলিম অধ্যুষিত একটি দেশে স্যাকুলারিজম কতটুকু ইসলাম বিদ্বেষী হতে পারে তার অন্যতম উদাহরন তুরুস্ক। হিজাব পরার অপরাধে পার্লামেন্ট থেকে বের হয়ে যেতে হয়েছে এক ইলেকটেড এক সংসদ সদস্যাকে। সেখানেও freedom এর জন্য আন্দোলন করেছে ইসলাম পন্থি দলগুলো।
গ) তিউনিশিয়ায় আল নাহাদাকে একদম বলা যায় ক্রাশ করেছিল বেন আলী ডিক্টেটর,রাশীদ ঘানুসি সহ ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয় প্রায় ২যুগ।
সেখানে একটাই দাবী ছিল freedom of association
ঘ) মিশরে ব্রাদারহুডের উপর যে অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছে মোবারক সেটাও অনেকেই জানি আমরা। ওনাদেরও দাবী freedom of speech, choice, dignity, equality etc.
ঘ) বাংলাদেশে যখন ইসলামপন্থি দলগুলোকে সরকার পাকরাও করছে তখনও একটাই দাবী আমরা নিরাপত্তা চাই,স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাই। নিজেদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে চাই।
হিজবুত তাহরিরকে ব্যান করা হল,অথচ তারাও স্বাধীনতা চায়,freedom of speech and expression খুঁজে "কাফির"সরকারের কাছে?
এভাবে করে ইসলাম পন্থি দলগুলো সব জায়গায়-ই যে কয়েকটা আওয়াজ কমনভাবে দেয় তাহলে স্বাধীনতা। যার suffering যত বেশি তার কাছে তার আবেদন তত বেশি,যার কারনেই রাশীদ ঘানুসি বলেন freedom come first।
আমার অধিকার চাই
১। ভাগ্যের বাস্তবতায় আমি এখন বৃটেনে। মুসলমান হিসেবে আমি এখানে
মাইনরিটি(সংখ্যালগু)সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। যেখানেই যাই আমাকে যদি বলা হয় তুমি মুসলমান তাই সিরিয়ালে তুমি পেছনে দাড়াও,আগে আমাদের সাদা চামড়ার খৃষ্টানদেরকে সার্ভিস দিয়ে নেই,তখন কেমন লাগবে? আমাকে যদি বলা হয় তুমি খৃষ্টান অধ্যুষিত এই দেশে যদি স্পেশাল সার্ভিস পেতে চাও বা অন্যদের সমান(সাদা বৃটিশদের মত) ট্রিটমেন্ট পেতে চাও তাহলে বাড়তি কর(টেক্স) দিবে। আমাকে যদি বলা হয় তুমি মসজিদ করতে পারবেনা,নামাজ পড়বে গির্জায় গিয়ে,আমাকে যদি বলা হয় তুমি দাঁড়ি রাখতে,টুপি মাথায় দিটে হলে টেক্স দিতে হবে তাহলে কেমন লাগবে? যদি বলা হয় তুমি কোন সম্পত্তির মালিক হতে পারবেনা কারন তুমি খৃষ্টান নও।
আমি জানি এই বিষয়গুলো শুনতেও আপনাদের খারাপ লাগবে। আমিও এখানে চাই freedom, dignity, equality, justice, ownership etc. এখানে আমি শুধু এগুলোই চাইনা,চাই রাষ্ট্র হবে স্যাকুলার,কারন স্যাকুলারিজম এখানে আমার গ্যারান্টি। যার ফলে এখানে EDL , BNP এর মত দলের বিরুদ্ধে মিছিল করি অথচ ঐদলগুলো আর কিছুই চায়না, চায় তাদের ধর্ম অনুসারে ও তাদের জাতীয়তা,তাদের ঐতিহ্য অনুসারে শুধু সাদাদের নিয়ে দেশ গঠন করতে,আমি তার দেশে পরদেশী হয়ে তার বিরোধীতা করি!!
২। ইন্ডিয়ায় আমাদের দেশের চেয়ে বেশি পরিমানে মুসলিম। হিন্দু সেখানে সংখ্যায় বেশি।
বাস্তবিক কারনে হিন্দুরা তার ধর্ম অনুসারে রাজনীতি করবে,দেশ চালাবে এটাই স্বাভাবিক। সেখানে মুসলিম ভাইয়েরা মুসলমান বলে জিজিয়া দেক আমি চাইনা। সেখানে আমার ভাইয়েরা মুসলিম বলে তৃতীয় শ্রেনীর কাজ করুক শুধু সেটা আমি চাইনা। সেখানে মুসলিমরা ধর্ম-কর্ম পালন করুক মন্দিরে গিয়ে সেটা
আমি চাইনা। সেখানে মুসলমানরা নির্যাতিত হউক,হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হউক,সেখানে
আরেকটা গুজরাট হউক সেটা আমি চাইনা।
আমি চাই সবার সমান অধিকার। এখানেও আমি যদি ইন্ডায়ান মুসলিম হতাম তাহলে Freedom, Justice, Equality, fair treatment এই বিষয়গুলো চাইতাম। এখানেও স্যাকুলারিজম বিজেপি'র মত কট্টর হিন্দুত্ববাধী দলের হাত থাকে মুসলমানদের জন্য রক্ষা কবজ হিসেবে কাজ করে।
৩। নাইজেরিয়াতে আজও মনে হয় খ্রিষ্টান-মুসলিম দাঙ্গায় অনেক মানুষ মারা গেল।
মুসলমান প্রার্থীকে হারিয়ে খ্রিষ্টান প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ঘোষিত হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয়ে গেল মুসলমানদের উপর টার্গেট কিলিং। মুসলমানরা যে রেসপন্স করছেনা তা নয়। আমি এই প্রান্তের মুসলমান হিসেবে চাইব আমার মুসলিম ভাইয়েরা নিরাপত্তা পাক,সমান অধিকার পাক।
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে মৌলিক চাহিদাগুলো লাগে সেগুলোর পর উপরোক্ত বিষয়গুলো পৃথিবীর সকল অঞ্চলের সকল মতবাদের,সকাল ধর্মের মানুষের চাহিদা
উপরের উদাহরনগুলো কি জন্য দিলাম? গত কয়েকদিন ধরে সোনার বাংলাদেশ ব্লগে পলিটিকাল ইসলামের কিছু বিষয় নিয়ে ডিবেটে জড়িয়ে পরলাম। সেখানে দেখা গেল ইসলামপন্থি।
অপেক্ষাকৃত জ্ঞানীদের(আমি সবাইকে এক কাতারে ভাবছিনা) ভেতরে কে কেমন আদর্শ লালন করে। একেকজন একেকভাবে দেশ চালাতে চায়। একেক জনের কাছে ইসলামের ব্যাখ্যা একেক রকম।
দ্বৈত অবস্থান
কিছু বিষয়ে আমাদের অনেকেই দ্বৈত অবস্থানে দাঁড়িয়ে। অন্তত চিন্তায় যদি এই বিষয়গুলো নিয়ে সঠিক কোন ব্যখ্যায় না আসা যায় তাহলে এর সাইড ইফেক্ট হবে খুবই খারাপ।
1. Rights to form Association : এক ভাই বললেন খিলাফত কায়েম হলে শুধু একটি দল থাকবে বা খেলাফত হবে এক কেন্দ্রিক,দ্বিতীয় কেউ দাবী করলে হত্যা করা হবে। আরেকবার বললেন;ইসলামি রাষ্ট্রে শুধু ইসলামী দল থাকবে অন্য কোন আদর্শ নিয়ে কেউ রাজনীতি করতে পারবেনা। আমার প্রশ্ন তাহলে আমরা যে এখন স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার অধিকার চাচ্ছি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক সরকারের কাছে,সেটা কেন? মনে করুন তারাওতো তাদের আদর্শকে সেরা মনে করে। আমাদেরকে যে এখনো স্বাধীনভাবে দল গঠন,গ্রুপ গঠন করে কাজ করতে দিচ্ছে সেটা কি আপনার মনে লালন করা গোপন খেলাফত সিস্টেমের চেয়ে উদার নয়??? আর এটা কি ইসলামকে ভিন্ন, উন্নতর ও সহনশীল মতাদর্শ হিসেবে উপস্থাপান করে??
2. ইসলামিক রাষ্ট্র হলে সকল অমুসলিমদেরকে জিজিয়া দিতে হবে। তাহলে উপরে যে আমি আমার নিজের উদারহন দিলাম,বৃটেন সরকার বা ইউরোপে যদি ধর্মের উপর ভিত্তি করে প্রায় ১কোটি মুসলমানকে একই ধরনের জিজিয়া বা বাড়তি কর আরোপ করে তাহলে সেটা কেমন হবে? অথবা ইন্ডিয়ান সরকার যদি ২০কোটি মসুলামানকে শুধু মুসলমান হওয়ার কারনে ৫% বেশি টেক্স আরোপ করে তাহলে আপনি এটাকে fair বলে মেনে নিবেন? এখানে কি আসলেই ইসলামিক রাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য থাকবে?
3. ইসলামিক রাষ্ট্রে অমুসলিমরা দ্বীতিয় শ্রেণীর নাগরিক।
এটা যদি মুসলিম মাইনোরিটি দেশে অমুসলিমরা চালু করে তাহলে আমাদের কেমন লাগবে?
4. ইসলামিক রাষ্টে কোন অমুসলিম লিডার হতে পারবেনা (যেমন এপ.মি)কারন সে হিন্দ/অন্য ধর্মালম্বী। তাহলে চিন্তা করুন ভারতের কথা, মরিশাসের কথা,ভুটানের কথা,চিনের কথা,আমেরিকার কথা,বৃটেনের কথা........শুধু মুসলমান হওয়ার কারনে ঐ সব দেশে কেউ যদি যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও লিডারশিপ মেনে নেয়া না হয় তাহলে কেমন হবে? সে সকল দেশের বর্তমান গনতান্ত্রীক সিস্টেম সবাইকে সমান সুযোগ দিচ্ছে। ইসলাম কি তার চেয়ে ভাল কিছু অফার করতে পারবেনা??
5. ভিন্ন মতের কারনে অথবা ইসলামের প্রচলিত বিশ্বাসের বিপরীত কথা বললে যদি কাউকে আক্রমণ করা হয় তাহলে “The mosques are our barracks, the domes our helmets, the minarets our bayonets and the faithful our soldiers.” উপরোক্ত লাইনগুলো বলার কারনে এরদুগান কে ১০ মাসের জেল দেয়া স্যাকুলার সরকারের জন্য জায়েজ হয়। জায়েজ হয় জাকির নায়েককে ইউকেতে প্রবেশ করতে না দেয়া,জায়েজ হয় তারিক রামাদানকে আমেরিকায় কয়েক বছর নিষিদ্ধ করাও। Is there any difference between extremist secularist and Islamist??
6. নিরবে কেউ ধর্ম ত্যাগ করলে তাকে হত্যা করতে হবে।
সেই হিসেবে দেশে অনেক নাস্তিকে কতল করা দরকার হবে(অনেক নাস্তিক এই ভয়ে ভীতও থাকে মনে হয়)। এটাই যদি বাস্তবতা হয় তাহলে খ্রিষ্টান /ইহুদি/হিন্দু ধর্ম থেকে যারা ইসলামের সৌন্দর্য বুঝে ইসলামে কনভার্টেট হচ্ছে তাদের কথা চিন্তা করুন। ঐসকল ধর্ম যদি তাদেরকে মুরতাদ ঘোষণা দিয়ে কতল করে তাহলে ইসলামের Expansion কিভাবে হত?? মানুষকে জোড় করে বিশ্বাসী বানানো অথবা অবিশ্বাসী হতে চাইলে
বাঁধা দেয়া কেন??কেন মানুষকে দেয়া আল্লাহ প্রদত্ত freedom of choice কে অস্বীকার করা হবে ইসলামের নামে?
7. ইসলামিক রাষ্ট্রে মেয়েদের সবাইকে হিজাব পরা বাধ্যতামুলক হবে,এমনকি বিধর্মিদেরও। এটা যদি মেনে নিতে হয় তাহলে ফ্রান্সে নিকাব নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার কেন? ওখানে সরকার যদি সবাইকে মিনি স্কার্ট পরা বাধ্যতামুলক করে দেয় তাহলে আমাদের রেসপন্স কেমন হবে? কট্টরপন্থি স্যাকুলারদের সাথে কোন পার্থক্য থাকল কি?
এভাবে আরো উদাহরন দেয়া যায় যে সকল ক্ষেত্রে আমরা মুসলমানরা দ্বৈত অবস্থান নেই। অনেকটা সুবিধাবাদীর মত।
অন্য ধর্ম,অন্য আইডিওলজিগুলো যেখানে অন্তত থিওরিটিকালি মানুষের বেসিক values গুলোকে স্বীকৃতি দিচ্ছে, সেখানে আমরা আল্লাহ প্রদত্ত বিধানকে নিজেদের মত ব্যখ্যা দিয়ে incompatible করার প্রতিযোগিতায় মত্ত্ব হয়ে আছি। আবার মুখে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্বের বুলি আউরিয়ে বেরাচ্ছি!!
প্রশ্ন হচ্ছে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোর ব্যাপারে ইসলামের ব্যখ্যা কি? আসলেই কি আল্লাহ ও তার রাসুলের বিধান এমন যেমনটা আমরা চাচ্ছি।
According to my understanding আমার উত্তর না। তাহলে?
ইসলামে ভিন্ন মত
পৃথিবীতে যত ধরনের ভিন্ন মত তৈরি হয়েছে ইসলামের নামে তার অন্যতম কারন হচ্ছে “তাফসীর”। একেক স্কলার একেক মতামত দিয়েছেন।
এই ভিন্ন মত ইসলামে গ্রহনযোগ্য বলেই ইসলাম আজও পৃথীবির অন্যান্য আদর্শকে চ্যালেন্জ করতে পারছে। কিন্তু এই ভিন্ন মত যখন কারো কারো
আদর্শে পরিণত হয় তখনই ঝামেলা তৈরি হতে দেখা যায়। ভিন্ন মত অবশ্যই কারো আদর্শ তৈরিতে প্রভাবকের ভুমিকা পালন করতে পারে কিন্তু ভিন্ন মত নিজেই আদর্শ হতে পারেনা কেননা এতে তাকলীদ(অন্ধ আনুগত্য)এর ধারা সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ থাকে। এই ভিন্ন মত আদর্শে পরিণত হওয়াই অনেক ক্ষেত্রে কনফ্লিক্ট তৈরি করছে। মুসলমানদের মধ্যে আজ এই ভিন্ন মত হয়ে গেছে আদর্শ।
একেক দলের নেতা বা প্রতিষ্ঠাতা যে মতামত দিয়েছেন সেটাই একমাত্র ব্যখ্যা মনে করা হয়। যার ফলে অন্যের মতামত গ্রহনে দেখা দেয় অসহিষ্নুতা।
শরীয়ার ব্যখ্যায় যে ধরনের pluralism( ভিন্নমত) দেখা যায় সেভাবে যদি আমরা আমাদেরকে তৈরি করতে পারতাম তাহলে আমাদের প্রেকটিস থেকেই অন্যরা ইসলামের অলটারনেটিভ আদর্শের দাওয়াত পেত।
মনে রাখা দরকার মানুষের জন্য আল্লাহ বিধান পাঠিয়েছেন,বিধানের জন্য মানুষ সৃষ্টি করা হয়নি। মানুষ বাঁচার জন্য খায়,খাওয়ার জন্য বাঁচেনা।
ইসলামি রাষ্ট্রের প্রয়োজন মানুষকে জুলুম থেকে উদ্ধারের জন্য, মানুষের প্রাপ্য হক,অধিকার,ন্যায়বিচার ও স্বাধীনভাবে স্রষ্টার প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকশের সুযোগ করে দেয়ার জন্য। কিন্তু আমাদের এপ্রোচটা এমন যে, ইসলামি রাষ্ট্র মানুষের জন্য নয় বরং আল্লাহর প্রয়োজনেই(নাউজুবিল্লাহ)কায়েম হওয়া দরকার। ইবাদত মানুষকে জোর করে করানোর মানসিকতা দেখে মনে হয় ইবাদত না করলে আল্লাহর কিছুটা কমে যায় অথচ ইবাদতের ক্ষেত্রে মানুষকে চয়েস দেয়া হয়েছে।
শরীয়ার উদ্দেশ্য
শরীয়ার উদ্দেশ্য কি? প্রথম দিকে ইসলামিক স্কলারগন ৫টি বিষয়কে শরীয়ার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। যেমন; preservation of religion, life, intellect, lineage and property.পরবর্তিতে সংযোগ হয়েছে justice and freedom—protection of `ird (honor)।
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম স্কলার ইউসুফ আল কারজাবী শরীয়ার অন্যান্য উদ্দেশ্যের সাথে নতুন করে কয়েকটি বিষয় যোগ করেছেন; human dignity, freedom, social welfare and human fraternity (১)
এই বিষয়গুলো নিয়ে ইসলামিক মুভমেন্টগুলোর কোন কাজ চোখে পরে কি?
শরীয়া চাপিয়ে দেবার বিষয় নয়
শরীয়ার কোন ইস্যুই জোড় করে চাপিয়ে দেবার নয় বরং পৃথিবীতে মানুষ পাঠানোই হয়েছে পরীক্ষার জন্য। এখন পরীক্ষায় যদি পাশ/ফেইলের অপশনই না থাকে তাহলে সেটা পরীক্ষা হয় কি করে???? বাস্তবিক অর্থে যদি একটি থিওরিটিকাল ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম হয়েই যায়,সেখানে মানুষ বাধ্য হয় ভাল কাজ করার জন্য। আর মানুষ যদি সবাই ১০০% ভাল কাজই করে,কোন ভুল না করে তাহলে মানুষের সাথে ফেরেস্তাদের কোন পার্থক্যই থাকেনা,থাকে কি? কুরআনে বহু যায়গায় এসেছে এটা একটি উপদেশ মাত্র,যার ইচ্ছা সে তা গ্রহন করবে না হয় করবে বর্জন। গ্রহন করলে কি হবে না করলে কি হবে পরিষ্কার বর্ণনা করা হয়েছে। আমাদের কাজ হচ্ছে সেই উপদেশগুলো মানুষের কাছে যথাযথ ভাবে তুলে ধরা।
আজীবন প্রচেষ্টার নাম ইসলামী আন্দোলন
রাষ্ট্র দখল করাই কি ইসলামী আন্দোলনের একমাত্র লক্ষ্য? রাসুল (সঃ )এর রাষ্ট্রের দিকে খেয়াল করুন, রাসুল (সঃ ) মারা যাওয়ার ক্ষণ থেকেই তার প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রাষ্ট্র একটু একটু করে ভাঙ্গনের দিকে যেতে থাকে। ৩০বছর লেগেছে এই ভাঙ্গন কম্পলিট হতে। ঐ সময়টা এতটাই ভাল ছিল মানুষের কাছে তা কেয়ামত পর্যন্ত আকর্ষণের বিষয়। এই আকর্ষন মানুষকে সেই অবস্থানে যাওয়ার জন্য drive করবে। এই drive, এই প্রচেষ্টার নামই তো ইসলামী আন্দোলন।
সারা জীবন প্রচেষ্টা চলবে কিন্তু অর্জিত হবেনা,হতেও পারে আল্লাহ চাইলে।
এখন শরীয়ার মুল ইস্যুগুলোকে বাদ দিয়ে যারা ইসলামের নামে শুধু রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার স্বপ্ন দেখছে তাদের উদ্দেশ্যের প্রতি কোন সন্দেহ করতে চাইনা। কিন্তু এটা নির্দিধায় বলা যায় কোন শর্টকার্টে অন্য আদর্শ দিয়ে হয়ত রাষ্ট্র দখল করা যেতে পারে কিন্তু ইসলাম দিয়ে রাষ্ট্র কায়েম করায় শর্টকার্ট কোন রাস্তা নেই।
নোট: ১। Dr. Wael Shihab, Reform and Objectives of Shari`ah,03 February 2011, Click This Link
লেখাটি মুলত এসবি ব্লগেও পাব্লিড হয়েছে।
http://sonarbangladesh.com/blog/nazmul86/36862
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।