আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক আশরাফুলের উদাহরন দিয়েই সিডন্সকে একজন ব্যার্থ কোচ হিসেবে অভিহিত করা যায়

একমুখাপেক্ষি না হয়ে যা কিছু ভাল তা গ্রহন করা উচিৎ...

সিডন্সের বিদায়ী সংবর্ধনার দিনটি শেষ হতে না হতেই আজ মোহাম্মদ আশরাফুল দক্ষিন আফ্রিকা 'এ' দলের বিপক্ষে দারুন একটি দিন কাটাচ্ছেন। বল হাতে তিনি আজ তুলে নিয়েছেন দক্ষিন আফ্রিকা এ দলের প্রথম সারির তিন ব্যাটসম্যানকে। ১০ ওভারে রান দিয়েছেন ২৭, উইকেট পেয়েছেন ৩ টি। ব্যাট হাতে এখন পর্যন্ত করেছেন অপরাজিতো ১০১ রান (৯০ বলে)। পরিসংখ্যানগত দিক দিয়ে সিডন্সকে একজন সফল কোচই বলা যায়।

তবে ডেভ যে দলটাকে রেখে গিয়েছিলেন সিডন্স সেই দলের শক্তিটাকে কাজে লাগাতে পারেন নি। তিনি সাড়ে তিন বছরে তিন নম্বর এবং চার নম্বরে খেলার মতো দু'জন খেলোয়ারই তৈরী করতে পারেন নি!!! ২০০৭ সালের দিকে তিন নম্বরে খেলতো আফতাব, আর চার নম্বরে খেলতো আশরাফুল। আফতাব আইসিএল এ চলে যাওয়ার পর তিন নম্বর পজিশনটি কেউই নিতে পারেনি। চার নম্বর পজিশনের আশরাফুলকে নিয়েও তিনি ছেলে খেলা খেললেন!! একজন খেলোয়ারের ব্যাট ধরার স্টাইল থেকে শুরু করে টেকনিক পরিবর্তন, কতকিছুই না করলেন! আশরাফুলের টেকনিকে কোনো সমস্যা ছিলো না। আশরাফুলের সমস্যা ছিলো মনোস্তাত্বিক।

এক আশরাফুলকে ধ্বংস করার জন্যই সিডন্সকে একজন ব্যার্থ কোচ হিসেবে অভিহিতো করা যায়। সিডন্সের দুই প্রিয় ছাত্র জুনায়েদ এবং রকিবুল কখনই তিন এবং চার নম্বর পজিশনের যোগ্য ছিলো না। এমনকি সিডন্স চলে যাওয়ার পর জাতীয় দলে তাদের খেলার সম্ভাবনা কতটুকু সেটাই সন্দিহান! খেলোয়ারের ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনার দায়িত্ব থাকে কোচের। এটা ঠিক, খেলোয়ার চেষ্টা না করলে কোচ কখনই গিলিয়ে দিতে পারবে না। তবে এটা হয়তো কেউই মানবেন না যে আশরাফুল অলস অথবা ভাব নিয়ে থাকেন, প্রাকটিস করেন না।

আশরাফুল চেষ্টা করা স্বত্ত্বেও পারতো না। কেনো পারছিলো না, সিডন্স দায়িত্ব নেয়ার পর কি এমন হলো যে আশরাফুল খেলাই ভুলে গেলো! সাড়ে তিন বছরেও সেটা বের করা সম্ভব হয়নি!! আমি যদি কোচ হতাম তবে আশরাফুলের মতো ফর্মহীন যেকোনো খেলোয়ারকেই প্রথমেই বলতাম "তুমি যদি অনেকদিন পর ব্যাটিং এ নামো তবে ২০-৩০ রান করার আগ পর্যন্ত তুমি সোজা ব্যাটে খেলো"। সিডন্স এই কথাটা একবারের জন্যও হয়তো আশরাফুলকে বলেনি, এটা ভেবে আমি মাঝে মাঝেই অবাক হই! এই কথার কোনো ভিত্তি নেই, তবে আমি নিশ্চিত যে সিডন্স আশরাফুলকে এরকম কোনো কথা বলেনি!! এমনকি ওয়েস্টইন্ডিজের সাথের খেলায় যে স্লো পিচে খেলা হবে এটাতো সবাই ই জানতো। সিডন্স সেদিন তার ছাত্রদেরকে একবারের জন্যও বলেনি যে তোমরা ভুলেও সুইপ করতে যেও না। যদি বলেই থাকতেন তবে সেদিন তিন তিন জন ব্যাটসম্যান সুইপ করতে গিয়ে আউট হতো না।

বোলার আশরাফুল নয়, আমরা আসলে ব্যাটসম্যান আশরাফুলকে ফিরে পেতে চাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।