আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লিমনের ওপর নিষ্ঠুরতা.......

আমারও লিখার অধিকার আছে.........

আদালতের নির্দেশের সাত দিন পরও কলেজছাত্র লিমন হোসেনের হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলা নেয়নি ঝালকাঠির রাজাপুর থানার পুলিশ। ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মো. শামসুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আদালত নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মামলা নিতে হবে এমন কথা নেই। ঘটনার তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১০ এপ্রিল হেনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে তাঁর ছেলে লিমনকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় বরিশাল র্যাব-৮-এর উপসহকারী পরিচালক লুত্ফর রহমানসহ ৬ র্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে নালিশি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নুসরাত জাহান শুনানি শেষে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসিকে) এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন।

সূত্র জানায়, ১০ এপ্রিল আদালতের এ আদেশ গত রোববার সন্ধ্যায় বিশেষ বাহক মারফত রাজাপুর থানায় পাঠানো হয়। কিন্তু আজ শনিবার রাত পর্যন্ত সেই অভিযোগ থানাপুলিশ লিপিবদ্ধ করেনি। আদালতের আদেশ থানায় পৌঁছার পরদিন সকালে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন পাঁচ দিনের ছুটি নেন। আজ শনিবার রাত পর্যন্ত তিনি থানায় যোগ দেননি। হেনোয়ারা বেগমের আইনজীবী নাসিমুল হাসান বলেন, কাল রোববার মামলা রেকর্ড না করার বিষয়টি আদালতে লিখিতভাবে জানানো হবে।

ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুর রশিদ সিকদার বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুযায়ী আদালতের নির্দেশ থানায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই ওসির মামলা রেকর্ডের আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মামলা রেকর্ডের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন নেই। লিমনের মায়ের অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করা না হলে সংশ্লিষ্ট ওসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমি থানায় গেছিলাম। দারোগা হালিম স্যারে কইছে, ওসি সাহেব আইলে আমার মামলার বিষয়ে ফয়সালা হইবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।