চট্টগ্রাম বন্দর রুটে ছোট জাহাজে বেশি কনটেইনার পরিবহনে ঝুঁকছে কনটেইনার জাহাজ পরিচালনাকারী ‘ফিডার অপারেটররা’। গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে প্রতিটি জাহাজে গড়ে ৫২২ একক কনটেইনার বাড়তি পরিবহন হয়েছে।
সর্বশেষ অর্থবছরে প্রতিটি জাহাজে আমদানি-রপ্তানি পণ্যভর্তি এক হাজার ৬৭৬ একক কনটেইনার (প্রতিটি ২০ ফুট দীর্ঘ) পরিবহন হয়েছে।
ফিডার অপারেটররা মনে করছেন, খরচ কমাতে জাহাজে বেশি কনটেইনার পরিবহনের ক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিবছর কনটেইনার পরিবহন বাড়তে থাকায় জাহাজ ব্যবসায়ীরাও এই প্রবণতার দিকে ঝুঁকছেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর গুপ্ত বাঁক এলাকায় প্রশস্ততা কম থাকায় ১৮৬ মিটারের বেশি লম্বা জাহাজ বন্দর জেটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না। একইভাবে কর্ণফুলী চ্যানেলের প্রবেশমুখে আউটারবার এলাকায় পানির গভীরতা কম থাকায় ৯ দশমিক ২ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির অংশে গভীরতা) বেশি গভীরতার জাহাজ প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হয় না।
অবশ্য বন্দরের বহির্নোঙর এলাকায় খোলা পণ্যবাহী বড় আকারের ও বেশি গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারে। বড় আকারের জাহাজগুলো বহির্নোঙরে পণ্য খালাস করে। কিন্তু বহির্নোঙরে কনটেইনার জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাসের সুযোগ নেই।
জেটিতে ভিড়ে ভারী যন্ত্রপাতির মাধ্যমে জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাস করতে হয়।
বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন এম শাহজাহান গত শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, সীমাবদ্ধতার কারণে ১৮৬ মিটারের বেশি লম্বা জাহাজ প্রবেশের সুযোগ না থাকলেও গভীরতা বাড়িয়ে বেশি ক্ষমতার জাহাজ ভেড়ানোর সুযোগ আছে। বন্দর চ্যানেলের আউটারবার এলাকায় খনন করে গভীরতা বাড়ানোর জন্য এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।