রাজবাড়ীতে পুলিশ গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে বাউল লাঞ্ছনার ঘটনায় ফতোয়া দানকারী মুফতি রিয়াজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ শনিবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পাংশা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন শেখ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত দুইটার দিকে উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের বড় চৌবাড়িয়া গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে রিয়াজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১০ এপ্রিল পাংশা থানায় বাউল সাধক মোহাম্মদ ফকিরের দায়ের করা মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি।
উল্লেখ্য, ৫ এপ্রিল পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চর রামনগর গ্রামে বাউল সাধক মোহাম্মদ ফকিরের বাড়িতে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বাউলদের আসর বসে।
মুফতি রিয়াজুলসহ স্থানীয় ৬০ থেকে ৭০ ব্যক্তি ২৮ জন বাউলকে ওই আসর থেকে ধরে পার্শ্ববর্তী চর রামনগর জামে মসজিদে নিয়ে গিয়ে তওবা পড়ান। বাউলদের তওবা পড়ানো শেষে মুফতি রিয়াজুল ইসলামসহ এলাকার মোসা মোল্যা, জিন্দার শেখ, জয়নাল, রিয়াজ শিকদার, ইউনুছ কারি, মসজিদের ইমাম ফেলু কারি তাঁদের চুল ও গোঁফ কাটার ফতোয়া দেন। এ সময় হরিণ বাড়িয়া বাজার কমিটির সভাপতি আলিউজ্জমান ও তাঁদের অনুসারী কিছু যুবক মিলে বটি, দা ও কাঁচি দিয়ে এলোমেলোভাবে বাউলদের চুল ও গোঁফ কেটে দেয় এবং তাঁদের গানের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি নষ্ট করে ফেলে।
এ ঘটনার পর ওই দিন সন্ধ্যায় পাংশা থানায় বাউল মোহাম্মদ ফকির লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ সেটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। পরে সারা দেশে এর প্রতিবাদে নিন্দার ঝড় উঠলে ১০ এপ্রিল মোহাম্মদ ফকির বাদী হয়ে ১৩ জনকে চিহ্নিত আসামি ও অজ্ঞাত আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে পাংশা থানায় মামলা করেন।
মামলার অপর আসামিরা এখনো পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।