আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যা কিছু ক্ষতিকর তা সরিয়ে ফেলুন

Complicated

যা কিছু ক্ষতিকর তা সরিয়ে ফেলুন , সম্প্রতি চবি প্রশাসন এমনি সিদ্ধান্ত নিয়েছে. গত ১১এপ্রিল তারা ছাত্রদের বাধা উপেক্ষা করেই শাহ আমানত হল এর পিছনের দুটি ঝাউ গাছ পুলিশ প্রহরায় কর্তন করেছে. প্রশাসনের নিষ্ঠুর কুঠারাঘাতের প্রতীক্ষায় কাল গুনছে আরো ৮ টি ঝাউ গাছ. গাছগুলির অপরাধ তারা হল এ আলো বাতাস প্রবেশের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে . প্রশাসন তো ছাত্রদের এই আলো বাতাসের সমস্যায় জর্জরিত রেখে শান্তিতে ঘুমাতে পারে না! আহ! ছাত্র ছাত্রীরা যে পানির অভাবে হল এ নিত্যকর্ম পর্যন্ত ঠিকমত সারতে পারেন না তাতে আমাদের শিক্ষক(?)দের জ্ঞানচক্ষু পরে না কেন জানার খুব ইচ্ছে জাগে. নাকি এইসমস্যা গুলো সমাধানের সাথে প্রশাসনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কোনো সম্পর্ক নাই বলেই তাদের দৃষ্টি এগুলোর প্রতি নিবদ্ধ হয় না? বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশের ভারসাম্য বিনাশকারী ইউক্যালিপ্টাস এর ছড়াছড়ি সেইগুলো না কেটে অবলা ঝাউ গাছ গুলোর উপর কেন কুদৃষ্টি পড়ল বুঝলাম না! ওরা কি শত শত ইউক্যালিপ্টাস এর চেয়েও খারাপ ছিল? অথচ হল এর শিক্ষার্থীরা এই ঝাউ গাছ গুলোর দ্বারা কোনো রকম বিরক্ত নন . তবে প্রশাসনের মাথা ব্যথার কারণ কি? ছাত্রদের অসুবিধা নাকি পকেটপূর্তি ? আচ্ছা এমনটি যদি বলা হয়, সুন্দরবনের জন্যে দেশে দক্ষিণাঞ্চলে আলো বাতাস আসে না , তার জন্যে কি সুন্দরবনের সব গাছ কেটে ফেলাটা যুক্তিযুক্ত হবে? তবে কি যা কিছু আমাদের মহান প্রশাসনের জন্যে ক্ষতিকর তাই সরিয়ে ফেলছে তারা? ভয় লাগছে আমার খুব, কাল হয়ত প্রশাসন বলবে ছাত্র ছাত্রীরা পড়তে এখানে আসার দরকার নেই এতে আমাদের অসুবিধা হয়...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।