ভালকে সমর্থন এবং খারাপকে বর্জন করতে শিখুন ।
প্রথম পর্ব ........
(৪)
তোমার নদী ভাললাগে?
আমি নিয়ে যাব তোমায়........
মেঘনার পাড়ে।
মেঘনার কূলে বসে বসে,
তুমি আমি দেখব____
নদী.........
নদীর ঢেউ......
নদীর বাঁক,
নদীর বুকের জেগে ওঠা চর।
তোমায় নিয়ে তরনীতে চড়ব,
ঢেউয়ে ঢেউয়ে পাড়ী দেব...........
অনেক পথ।
দুজন হাত ধরে হাটব____
অনাবৃত চরনে,
চরের বুকে,
ভেজা বালিতে,
ছুঁটব ফড়িংয়ের পিছু পিছু,
হারাব কাশ বনের দেশে।
কাশ ফুল ছিঁড়ে ছিঁড়ে___
বাতাসে উড়াব,
নদীতে ভাসাব,
নদীর বুক ছঁয়ে উষ্ণ বাতাস এসে......
উড়িয়ে দেবে তোমার আঁচল,
তোমার চুল,
আমি শুধু দেখব.............
অবাক নয়নে,
দেখব তোমায়। ।
(৫)
তোমার প্রজাপতি ভাললাগে?
আমি নিয়ে যাব তোমায়___
ফাগুন না ফুরানোর দেশে।
যেথায় ফুলে ফুলে ফুলারন্য,
ফুলের সৌরভে যেথায়___
সমীরন ভারী হয়ে থাকে......... সারাটি বছর।
ঝাঁকে ঝাঁকে প্রজাপতি এসে,
যেথায় ফুলে ফুলে খেলে___
নিবিড় প্রনয় খেলা।
তুমি আমি ঘুরব___
ফুলের দেশে,
প্রজাপতির দেশে,
সৌরভের দেশে।
তুমি ছুটবে নানা রঙে রঙ্গিন___
ঝাঁক বাঁধা ___ প্রজাপতির পিছু পিছু,
চঞ্চলা হরিনীর মত,
দুরন্ত নির্ঝরের মত।
আমি শুধু দেখব____
ফুল,
প্রজাপতি,
আর তোমায়। ।
(৬)
তুমি শিশির ভালবাস?
আমি নিয়ে যাব তোমায়___
শারদী শিউলী ঝড়া প্রভাতে,
অপূর্ব কোন শ্যামলা গাঁয়।
যেথায় পাখের কিচির মিচির শব্দরা,
ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিয়ে যায়।
আর শিউলির গন্ধমাখা বাতাস এসে,
নাষিকা ছুঁইয়ে যায়।
হেথায় দৃষ্টি যায় যথা,
মনে লাগে যেন,
ঘাসের গালিচা পাতা।
আঁধার মলিন না হওয়া,
সূর্যালোক না ফোটা' প্রভাতে____
হেটে যাবে তুমি আলতা রাঙ্গা পায়ে'
ঘাসের ডগা ছুঁয়ে ছুঁয়ে ।
ঘাসে জড়ানো শিশির গুলো এসে ___
আটকে যাবে তোমার পায়'
ভিজিয়ে দেবে তোমার'........
আলতা রাঙ্গা নগ্ন চরন।
শিশিরের সিক্ত-হীম অনুভূতি,
কাঁপিয়ে তুলবে তোমার অন্তর-বাহির।
আমি শুধু দেখব____
সিক্ত রাঙ্গা চরন,
সতর্ক কদম,
তোমার শিহরিত তনু,
দেখব তোমায়। ।
(৭)
তোমার আধার ভাললাগে?
আমি নিয়ে যাব তোমায়____
সভ্যতা হতে দূরে,
যান্ত্রিকতা হতে দূরে,
আধুনিকতা হতে দূরে,
কৃত্তিমতা হীন কোন পাড়া গাঁয়।
যেথায় রাত নামে'
ভয়ংকর অন্ধকারের হাত ধরে,
.................নিরবে - নিভৃতে - নিঃশব্দে।
বিদ্যুতের সাথে সম্পর্ক নেই,
আছে আধার ভেদে অক্ষম'
হারিকেন আর কুপির লঘু আলো।
আমি - তুমি সে আধারকে জয় করব।
রাতের বুকে পা' ফেলে ফেলে। ।
আমরা এগিয়ে যাব'
নির্জন হতে নির্জনতায়,
আধার হতে অন্ধকারে,
আলোক হতে দূরে____
ঝোপ - জঙ্গল অতিক্রম করে__
............... দূরে আরও দূরে।
কিছু ভয় আর হৃ-কম্পন সাথে করে,
লোকলয় হতে দূরে____
...........দূর আধারের দেশে।
মাঝে মাঝে ____
আধারের ভয়ানক স্পর্শে,
আচমকা বৈরী বাতাসে,
কুপ পাখির ডাকে,
শিয়ালের হাকে,
ভয়ে কেঁপে উঠবে তোমার বুক'
....................হয়ত আমারও...!
হ্য়তবা ভয়ে তুমি,...... দস্যির মত'
আচানক জপটে ধরবে আমায়,
হ্য়তবা ভয়ের কারনে.............
ভয়ার্তক আবেগী শব্দরা....
.............আটকে যাবে তোমার মুখে এসে।
তবুও পিছু ফিরে যাবনা,
তবুও এগিয়ে চলব,
....................এবং উপভোগ করব...........,
আধারের প্রকৃত রুপ,
নিবিড় বিস্তৃত নির্জনতা,
অন্তর স্পর্শী নির্মল মলয়,
জোনাকির হঠাৎ জ্বলে'.......... নিভে যাওয়া আলোক,
ঝিঁঝিঁদের সরগোল,
ব্যাঙের গ্যাঙর গ্যাঙর,
বিরহী ডাহুকের মায়াবী সুর,
পবন বয়ে যাওয়ার শব্দ,
পুষ্পের সৌরভ,
................এবং,
এবং আমাদের ভালবাসা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।