আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এসো হে বৈশাখ এসো এসো..

ভালবাসা মানে অন্যের ভালত্বে বাস করা

স্বাগত বাঙলা ১৪১৮ .আর মাত্র এক দিন পর আসছে। বাংলা নববর্ষের শুভ এই দিনটি । এবার এমন এক সময় পালন করতে যাচ্ছি যখন নাগরিক দুর্ভোগে মানুষের জীবন দুর্বিষহ। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি ,আমাদের মাছের রাজা ইলিশ এর দাম শুনলে যে কেউ আঁতকে উঠবে তবুও আমরা বাঙালি আমরা উদযাপন করবই । এই অস্বস্তি, নানা ঝড়ঝঞ্ঝা এবং প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নতুন স্বপ্নের আবির ছড়ানো নববর্ষকে স্বাগত জানাব।

বর্ষের শুভ এই দিনটি জনজোয়ারে প্রাণময় উত্সবে উদ্ভাসিত, হিল্লোলিত হোক। নতুন এই দিনটি পুরনো সব ব্যর্থতা ও আবর্জনার জঞ্জাল সরিয়ে নতুন আশা, কর্মোদ্দীপনা, স্বপ্ন, প্রত্যয় ও প্রাণশক্তিতে উজ্জীবিত হওয়ার ডাক দিচ্ছে। চৈত্রের শেষ দিনে গ্রাম ও শহরে ব্যবসায়ীরা গত বছরের বিকিকিনির হিসাব-নিকাশ চুকিয়ে দেবেন খুলবেন হালখাতা। বিভিন্ন স্থানে বসবে বৈশাখী মেলা। পটুয়া আর মৃৎশিল্পীরা মেলায় নিয়ে আসবেন তাদের সৃজন সম্ভার।

নাগরদোলায় চড়া আর খেলনা, পুতুল, বাঁশিসহ বৈশাখী মেলার রকমারি পণ্য দিয়ে সুর হয়েছে বৈশাখী মেলার গ্রামবাংলার বৈশাখী মেলা শহরাঞ্চলেও সম্প্রসারিত হয়েছে। রমনার বটমূলে ষাটের দশক থেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার নবউন্মেষকালে ছায়ানট সেই যে কাকডাকা ভোরে নববর্ষকে আবাহনী গান গেয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বরণ করে । সেটি রাজধানীবাসীর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। এখন পহেলা বৈশাখ এও ঈদের আনন্দ যেখানেই যাই সেখানেই দেখতে পাই । আমরা নগরবাসীরা একটা কিছু পেলে তা কে নিয়ে মেতে উঠি, একটু উত্সব করতে চাই.।

এ ছাড়া টিভি তে আছে বর্ণিল সব অনুষ্ঠানমালা । ছোট বেলায় মা রাঁধতেন পঞ্চব্যঞ্জন সব সবজি এবং কাঁচা কাঠাল দিয়ে তৈরী খুব মজাদার একটি রান্না সাথে সরু চালের ভাত আর মিষ্টি ত ছিলই। আজও তাই হয় কিন্তূ গত কয়েক বছর থেকে আর হয়ে উঠছেনা আমাদের অভিজাত এলাকার কিছু দোকানে হয় খুব বিকি কিনি । আর বৈশেখের নতুন দিনে তো কথাই নেই। সাজবো না রাঁধবো না, চলো খেয়েনি ডিশ এন্ড ডেসার্ট বা অন্য কোথাও বুফে লাঞ্চ।

কিন্তু এসব কিছুই মায়ের হাতের সেই রান্নার স্বাদ আনে না। নতুনত্ব সব খানেই এবার আমিও একটু নতুনত্ব আনছি। খুব সকালে ঢাকার বাইরে চলে যাব যমুনা রিসর্ট এ দিনটা চুপ চাপ নিজের মতন কাটিয়ে আসব । অনেক দিন শহরের কোলাহল ছেড়ে বাইরে যাইনা । মন চাইলেও পারিনা একটু মুক্ত হাওয়া নদীর পাশে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসতে চাই ।

চাই সবুজের একটু ছওয়া। আসলে একটু হাঁপ ছেড়ে বাঁচতে চাইছি পালাতে চাইছে মন এ সব কিছুর বাইরে থেকে। সাজির মতন সবুজ প্রান্তরে খরগোশের সাথে খেলা করতে চাই আর দেখিনা বকফুল ঘাসে কিছু খুঁজে পাই কিনা। বুক ভরে নিয়ে নেব অক্সিজেন আর ক্লোরোফিল । আর রইলাম উন্মুখ হয়ে নতুন কিছু গল্পের নতুন কবিতার যা আরো সুন্দর স্বপ্নিল করবে সবাইকে ।

নাচে গানে আনন্দে ভরপুর হোক সবার জীবন. ১৪১৮ নিয়ে আসুক আমাদের সকলের জন্য নতুন কিছু। হোক সম্ভবনাময় । এসো নীপবনে ছায়াবিথী তলে এসো করি স্নান নব ধারা জলে......... আসুন নতুন বছরের নতুন দিনটিকে বরণ করে নেই... আমার সকল ব্লগার ভাই বোন দের জানাই নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা আর রইলো অনেক অনেক ভালবাসা সকলের জন্য। আর রইলো ভালোথাকার শুভকামনা । হে নতুন আস তুমি সম্পূর্ণ গগন পূর্ণ করি, পুঞ্জ পুঞ্জ রূপে ব্যাপ্ত করি লুপ্ত করি স্তরে স্তরে স্তবকে স্তবকে ঘন ঘোর রূপে কোথা হতে আচম্বিতে মুহুর্ত্ত কে দিক দিগন্তের করি অন্তরাল, স্নিগ্ধ কৃষ্ণ ভয়ঙ্কর তোমার সঘন অন্ধকারে রহো ক্ষণকাল।

এসো ১৪১৮ নতুন বার্তা নিয়ে.... এসো হে বৈশাখ এসো এসো.. শুভো হোক ১৪১৮

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।