১৯৭১, রাজপথ তখন বাঙালীর রক্তে রঞ্জিত।
২৩ বছরের ইতিহাসে মিশে আছে কান্না,
দীর্ঘশ্বাসে শুধু আর্তনাদ আর রক্তদানের ইতিহাস।
নির্যাতনের কষাঘাতে জাতির তখন একটিই জিজ্ঞাসা-
আর কত ?
৫২ সালে দিয়েছি ভাষার জন্য রক্ত,
এরপর ৫৪ এ হায়েনার বেইমানী,
অত:পর হিংস্র আয়ুবের হাতে বাঙালী আবার জিম্মি।
১০ টি বছর বাঙালী সয়েছে নির্যাতন, করুন আর্তনাদ আর বুকচাপা কান্না।
৬৬ তে চালানো হল গণহত্যা, ভাইয়েরা আবার প্রাণ দিল রাজপথে;
হল নির্দয় নিষ্ঠুর শাসনতন্ত্রের বলি।
কিন্তু আর নয়; বাঙালী তখন জেগে উঠেছে,
রচনা করেছে গনঅভ্যুত্থানের ইতিহাস।
সেই ১৯৬৯, আয়ুব হায়েনার পতন।
জাতির পিতা ঘোষণা করল এক নতুন দিগন্তের।
আজ থেকে আর পূর্ব পাকিস্তান নয়; বাঙালী জাতির দেশের নাম "বাংলা দেশ। "
পথে পথে রাজপথে ধ্বণিত হল স্লোগান,
আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে সেই জনতা নেমে এল ,
আর চিত্কার করে জানিয়ে দিল সেই রক্ত গরম করা শাণিত দুটি শব্দ-
"জয় বাংলা।
"
এরপর থেকে প্রতীক্ষা -
প্রতীক্ষা মুক্তির, প্রতীক্ষা স্বাধীনতার।
অত:পর ১৯৭১, ৭ই মার্চ।
রেসকোর্স ময়দান আজও সেই ইতিহাসের কথা বলে,
এখনও প্রতিটি ঘাসের ডগা সাক্ষ্য দেয় সেই বজ্রকন্ঠের,
আমি অতীত দেখিনি, ৪২ টি বছর কেটে গেল;
কিন্তু এখনো আমার দাড়িয়ে যাওয়া লোম সাক্ষ্য দেয় স্ট্যান সেলুটের মত,
জাতির সেই চির প্রতীক্ষার দিনের,
৭ কোটি বাঙালী অপেক্ষায় সেই কাঙ্খিত বাণী শোনার।
অত:পর জাতির সূর্যসন্তান এলেন-
বিপ্লবী তর্জনী উঁচিয়ে দীপ্ত গমগম কন্ঠে অবৃতি করলেন;
বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ কবিতা-
" ৭ কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখত পারবা না।
আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ আর দাবায় রাখতে পারবা না,
এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম;
এবারের সংগ্রাম , স্বাধীনতার সংগ্রাম।
"
মুক্তিকামী বাঙালী ঝাঁপিয়ে পরে "মুক্তির জয়ে"
মৃত্যু আলিঙ্গন করে এনে দেয় রক্তিম স্বাধীনতা।
রক্তস্নাত হয়ে সবুজ বাংলার মাটিতে লটিয়ে পরে কত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা;
আর এনে দেয় সেই রক্ত আর সবুজের ঝান্ডা,
একটি গৌরবের পতাকা; একটি স্বাধীন বাংলাদেশ।
-৭ই মার্চ, ২০১৩
( আমার প্রতিটি লোম এখনো দাঁড়িয়ে; স্ট্যান সেলুটের মত। আমি গর্বিত , আমি বাঙালী। ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।