আসন্ন ঈদুল ফিতরে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
বৈঠকে আরো সিদ্ধান্ত হয়েছে ঈদের সময় ৫ অগাস্ট থেকে ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত দেশের সিএনজি স্টেশনগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
বৈঠকে অংশ নেয়া রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক জানিয়েছেন, ঈদে সাত জোড়া স্পেশাল ট্রেন বিভিন্ন রুটে চলাচল করবে এবং বিভিন্ন ট্রেনে ১৩৫টি অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া বন্ধে গাবতলী, মহাখালী এবং যাত্রাবাড়ীতে তিনটি পর্যবেক্ষণ দল কাজ করবে।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে শাস্তি দেয়া হবে।
ঢাকায় যানজট নিরসনে তিনটি বিকল্প সড়ক- ডেমরা রোড হয়ে সুলতানা কামাল সেতু, সাইনবোর্ড সড়ক হয়ে চট্টগ্রামে এবং টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে মদনপুর চালু থাকবে বলে তিনি জানান।
ঈদের সময় দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি সরাতে পর্যাপ্ত রেকারের ব্যবস্থা করেছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এছাড়াও পুরনো গাড়ি যেন দূরপাল্লায় না চলতে পারে, সেজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে।
বৈঠকে অংশ নেয়া স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু চালকদের সচেতন করতে পরিবহন মালিক সমিতিকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
মহাসড়কের ওপর বাজারগুলো সরাতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে জানানো হয়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দাদের জন্য সেনাকল্যাণ ট্রাস্টকে ৫ হাজার ট্যাক্সিক্যাব নামানোর প্রাথমিক অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এর ৩ হাজার ৫০০টি রাজধানীতে এবং ১ হাজার ৫০০টি বন্দর নগরীতে চলাচল করবে।
রেলে শতভাগ কালোবাজারী বন্ধে প্রশাসনকে সঠিকভাবে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেন রেলমন্ত্রী ।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় যোগাযোগ সচিব এ এন এ ছিদ্দিক, রেল সচিব আবুল কালাম আজাদ, পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকারও উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীতে বিশেষ নিরাপত্তা
ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীতে ‘বিশেষ নিরাপত্তা’ বলয় গড়ে তুলেছে পুলিশ।
একই সঙ্গে ছিনতাইকারী, মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা যেন সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলতে না করতে পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।
সোমবার মিন্টো রোডে পুলিশের এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ঈদের এই সময় শপিং মল, অভিজাত রেস্তোরাঁ ও শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।
পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
অপরিচিত কোনো ব্যক্তির দেয়া খাবার না খেতে, অপরিচিত কারো গাড়িতে না উঠতে, বেশি রাত পর্যন্ত বিপণি বিতানে না থাকার পরামর্শ পুলিশের।
কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে ভুক্তভোগীকে ঢাকা মহানগর পুলিশের হটলাইট নম্বরে (০১৭১৩৩৯৮৩২৬-৯,০১১৯১০০১১০০,০১১৯১০০১১১১) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, কেউ ঈদ উপলক্ষে ব্যক্তিগতভাবে বাড়তি নিরাপত্তা চাইলে পুলিশ তাও নিশ্চিত করবে।
এজন্য সাহায্যপ্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করতে হবে।
তবে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের যানবাহনের ব্যবস্থা সাহায্যপ্রার্থীকেই করতে হবে বলে পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।