আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তুই জীবন ধরা খাওয়াইলে মাইনষে কইবে, কুফা, জীবনরে.........

যদিও তুমি ধ্রুবতারা তবুও আমি দিশেহারা

জীবনডাই গেলো ধরা খাইতে খাইতে। আমার জন্ম ২৬ মাঘ, সেই হিসাবে আমার রাশি হইতাছে কুম্ভ। আর আমি যদি হাচা হাচাই কুম্ভ রাশির হইয়া থাকি তাইলে কমু কুম্ভ অত্যান্ত বদ একখান রাশি। দুইন্যার কুফা। সেই কুফামির কয়েকটা ১০০% সত্য ঘটনা নিন্ম অঞ্চলে বর্ণাইলাম।

১) কিলাশ ফাইভ গু-এর পাইপঃ এই দেশে এক খুলনা শখর আছে, সেই শখরে খালিশপুর নামে আরেকখান শখা শখর (পিরায় গেরাম) আছে। সেইখানে একখান পুস্কুরনি আছে নাম হইতাছে জ্বীন পুকুর (আসল নাম ঝিল পুকুর, পোলাপাইনেরে বলে পরতি বছর জ্বীনে টাইনা লইয়া যায় এরফান্যে হগলে জ্বিন পুকুর কয়। ) পুকুরের ঠিক পাশেই আমাগো বাংলাদেশ টেলিভিশন সিন্টার আর টেলিফোন এর টাওয়ার, বিশাল যায়গা বাগান টাগান ও আছে । সে পুকুরে পিরায় ই যাইতাম সিনান করতি। একদিন জৈষ্ঠ মাসে সিনানের সময় মঞ্জু দোস্ত কইল চল, সিন্টারে যাইয়া আম পাড়ি।

লগে লগে লগের আর দুই দোস্ত (দুইডার নাম ই রানা, ছোট রানা, বড় রানা) কইল ভালা বুদ্দি ভালা বুদ্দি। আমি কইলাম যাবি ক্যামতে, দেয়াল তো নাগল পাইতাম না। বড় রানা কইল সিষ্টুম আছে, হালায় আছিল জাতি চোর, এহন KU তে পড়ে। হগলডি মিল্লা রাজি অইয়া গেলাম ঢুকার সিষ্টুম দেখতে, দেয়াল ধইরা কিছু দূর যাইয়া দ্যাখলাম চোরে যেইরাম শিং খুচে ওইরাম দেয়ালের নিচ দিয়া কতখানি খন্দল। আমি মনে মনে কইলাম আমি তো সিয়ানা, তাইলে আমি যামু ক্যান।

আরো, দৌড়ানি খাইলে এইহান দিয়া বাইরাইতে পারতাম না। ওগোরে কইলাম তোরা যা, আমি যামুনা, ওরা কয়, তাইলে ভাগও পাইবানা। আর সবাইরে কইয়া দিমু তুমি ভয়তে মুইতা দিছ, বিভিন্ন দিক বিচার কইরা এট্টু চিন্তা কইরা কইলাম এহ হে আমি পাহারা দিতাছিনা? কেউ যদি আহে তাইলে শীষ দিলি তোরা দৌড়ানি দিবি। কুটি কালে আমি দুই আঙ্গুল জিব্লার নীচে দিয়া ভালো শিষাইতে পারতাম ওরে আওয়াজ হইত। পরে ওরা কইল আইচ্ছা, ভালোমত খেয়াল দিস আমি মাথা এইদিক ওয়িদিক নিয়া আবারো কইলাম আইচ্ছা।

ওরা ভিত্রে গেল………… মেলাক্ষন অইয়া যায় আর আহেনা, পরে দেহি কুটি রানা আইতাছে, আমি কইলাম আম কূ? আর ওরা কূ? ও কইল ধরা খাইছি, আমি কইলাম চল তাইলে দৌড়ানি দেই। কয়, না। তোরেও ধইরা নিয়া যাইতে কইছে। আমি কইলাম ইশ আমি যামু আমারে কি কামড়ায়? আমি এহন দৌড়ানি দিমু, কাছে আইবিনা তাইলে কিন্তু ছ্যাপ মারুম। ও কয়, তুমি না গেলে তুমার বাপের কাছে নালিশ দিব।

কিদা দিব? দারোয়ান। আমি কইলাম এক্ষে আমার বাসা ওয় চিনেনি, আর আমার কথা ওয়রে কইছে কিদা? মঞ্জু, মঞ্জুরে জোরে ধমক পাড়ছে, জিজ্ঞেস করছে আর কিরা কিরা আছে তগো লগে? হ্যারপর, ওই কইয়া দিছে। আর, দৌড়ানিতো আমিও দিতে পারতাম এহন, কিন্তুক দারোয়ান কইছে ফির্যাল না আইলে ওগো লইয়া বাপের কাছে যাইবো। আমি বাপের রাঙ্গা চউখের কথা মনে কইরা পিরায় কানতে কানতে কইলাম, ল যাই। যাইয়া দেহি দুইডায় বইয়া রইছে মাটিতে, চেয়ারে বাসা এক চেংটা পুলা ওরফে দারোয়ান।

আমি মঞ্জুরে কুট্টুস কইরা কইলাম আমার কথা কইছত ক্যা? ও কানতে কানতে দারোয়ানরে কয় দেখছেন ভাই কইছিলাম না, এই দ্যাহেন এইযে, আমারে কয় কইলাম ক্যা। চেংটা ডা কয় ওই চুপ, অহন দ্যাহামু কইল ক্যা, সবকয়ডারে পুলিশের কাছে নিয়া যামু। মঞ্জু কান্দনের ভলিউম বাড়ায় দিয়া কইল ভাই আপনার পায় ধরছি আর জিবনে এইহানে আহুম না চুরি ও করুম না। আমারে ছাইড়া দ্যান দেরি অইলে মায়ে মারবো। চেংটা ডা কয় না, ছড়ন তো যাইতোই না।

চল বড় সাবের কাছে নিয়া যামু। অনেক আকুতির কাকুতির পরেও চেংটাডায় আমগো ছাড়লো না। নিয়াই গেল। বড় সাব দেইখা, আমাগো বৃত্তান্ত হুইনা, কিছু উপদেশ দিয়া কইল তগো গ্রামের বাড়ি কই? আমরা সবাই কইলাম। দ্যাহা গেলো আমার আর মঞ্জুর বাড়ি ফরিদপুর, কুটি রানার বাড়ি বাগেরহাট, বড়ডার বাড়ি বরিশাল।

সেদ্ধান্ত নিয়া হইল, ফরিদপুর বাসিরা দুইজন দুইজনের কান ধরব আর অন্যান্য বাসিরাও তাই করব। সবাইর একলগে কওয়া লাগব আমাগো কিলাশ হইল ফাইভ, ফের যদি চুরি করি গু দিয়া খামু গুয়ের পাইপ। তারপরে ছাড়পত্তর। আমিতো মখা সুজোগ পাইলাম, মঞ্জু দোস্তের কান সর্ব শক্তি দিয়া টানলাম। ও তহন চেচায় আর বড় সাবেরে কয় আঙ্কুল আঙ্কুল দ্যহেন কত্ত জুরে টানে।

আঙ্কুল কয় তাইলে তুইও জুরে টান। ও কয় তাইলে ওয় আরো জুরে টানবো…………… ২) কিলাশ সেভেন, যাইত্যা চেপেনঃ কিলাশ সিক্স পাশ দিয়া কিলাশ সেভেন এ উঠছি, তহন শীত কাল, পরতি বছরের মতন সেইবারও গেরামের বাড়ি গেলাম। খেলাতো ভাইয়েরা কইলো চল ভরমনে যামু। কইলাম কই যাবি? ওরা কইল নওয়া খালা বাড়ি। সাইকেলে যামু।

ওরে ওরে ওহহরে। গেলাম খালা বাড়ি, “আমাগো কিলাশ হইল ফাইভ, ফের যদি চুরি করি গু দিয়া খামু গুয়ের পাইপ। “ এই কবিতা তহন আর মনে নাই, যাইয়া হেইদিন রাইতেই ৩ জগ খাজুরের রস মাইরা দিলাম রাইতের আন্ধারে। পরদিন সকালে বইনের বিদেশ ফিরত জামাই আইলো, মেলা কিছুর লগে, সে লগে কইরা একখান সিডি পেলেয়ারও নিয়া আসলো। তখন দেশে নতুন নতুন সিডি আহা শুরু হইছে আর গেরামেতো পিরায় পরথম, সবাইর চউখ খাড়ায় গেছে, জিনিষ দেইখা।

ভাইজানেরা কইল আইজ রাইত ছিঃনেমা দেহার রাইত। চল হাটে গিয়া ছুবি নিয়া আহি। গেলাম ছুবি আনতে। ওরা কইল তুইতো শহইর্যাো কি ছুবি নিয়া যায় ক ত? আমি কইলাম ফাইটির তা নিবি? ওরা কইল, আ! তয় ফাইটির তাই তো নিব। আমি আমার দেখা ততকালিন কয়ডা চায়না মুভির নাম কইলাম, কিন্তুক গেরামে কি আর সব পাওয়া যায়।

কিছু না পাইয়া শেষে দোকানদার একখান ইংরাজী মুভি ধরায় দিল, নামখান ঠিক মনে পড়তাছেনা। কইয়া দিল, ফাটাফাটিতে দুইন্যা আন্ধার। আন্ধার নিয়া গেলাম বাড়ি, গিয়া দেহি সে এক তেলেস্মতি কারবার। ওরে লোক বাড়ি ভর্ত! টিভি সেট নামানো হইছে উঠানে। মখিলা পুরুষ সব আইছে।

পাশের বাড়ির এক মাইয়া আইছে পরে নাম হুনছইলাম রাহী। আমার খু উ উ উব মনে ধরছিল। চালায় দিলাম আন্ধার করা মুভি। পরথম কয়মিনিট কুনো ফাডাফাডি নাই দেইখা দর্শক সারি বড়ই বিরক্ত হইল। খানিক পরে এট্টু গুলাগুলি এলাকায় শান্তি ফিরায় আনলো।

কিন্তু তার পরে যা দেখাইলো তাতে দুইনন্যা আসলেই আন্ধার দেখলাম। পুরাই 2x. আমাগো রিমোট অফারেটর ছিল মিজান নামের এক খেলাতো ভাই। উনারে কইলাম ষ্টফ দ্যান। উনি ফরওয়ার্ড চাইরে দিয়া টানা শুরুকরল। আর কি তা শেষ অয়, পুরা মুভিটাই অইতা।

সামনে দর্শক সারি ভেদ কইরা যাইতে পারুমনা দেইখা আবার চিল্লায় কইলাম, মিজান ভাই ষ্টফ দ্যান। ভাই কয় কাম অয়না। আমি দাত খিটমিটাইয়া কইলাম, যাইত্যা চেপেন। পরে, পিরান পিরিও খালুজান জিগাইছিলো তগো ইংরেজী আনার বুদ্ধি কিরা দিছিলো, তাকায় দেহি সবডির আঙ্গুল আমার দিকে। ভাইজানেরা আর বইনেরা আঙ্গুল আর চঊখ ব্যাথা হইয়া গ্যাছে।

আর লিখতাম না। আরো কিছু উল্লেখ করার মতন আছে, ভাবছিলাম সব একবারে কমু, কিন্তুক হইলনা। সেইরাম রেস্পন্স পাইলে পরে কমুনে। কুফামি সবাইর ভিতরেই আছে, কিন্তুক সবাই কয় না। চাইপ্যা যায়।

আমি কইলাম, তার মানে আমি কিন্তুক খারাপ আর ছ্যাবলা না, আমি ভালা পোলা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।