আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৮ এপ্র্রিল শুক্রবার তিতুমীর কলেজে এক সাথে ৫০০০ লোক দাঁড়ি কাটবে। প্রতিবাদ কোথায়?



ইসলাম দরদীরা ঘুমে কেন? হুযূরপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতেরা কোথায়? ৮ এপ্রিল শুক্রবার তিতুমীর কলেজে একসাথে ৫০০০ লোক দাঁড়ি কাটবে। এটা কি হুযূরপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে বিদ্রোহ হলো না? দাঁড়ি সারা পৃথিবীতেই মানুষ কাটে। অনেক মুসলমান ও কাটে। কিন্তু একসাথে এত লোক একটা মুসলিম সংখ্যগরিষ্ট দেশ যেখানে শতকরা ৯৭% লোক মুসলিম সেখানে একাজ কিভাবে হতে পারে। মুসলমানদের ঈমান থাকতে এটা কোনভাবেই ঘটতে দেয়া যেতে পারেনা।

তাদের খায়েশ তারা রেকর্ড করবে এবং গ্রিনীচ বুকে নাম উঠাবে। কিন্তু এজন্য তাদের টার্গেট বাংলাদেশ কেন? তারা তো ইন্ডিয়াতেও করতে পারতো। এ রকম ইসলাম বিরোধী এবং গভীর কূট ও দুরভিসন্ধিমূলক উদ্দেশ্য নিয়েই বর্তমানে মাঠে নেমেছে বহুজাতিক কোম্পানি প্রোকটের অ্যান্ড গাম্বেল (পিঅ্যান্ডজি)। গত ১৫-০৩-২০১১ ঈসায়ী তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা জানিয়েছে আগামী ৮ই এপ্রিল ঢাকা সরকারি তিতুমীর কলেজ মাঠে পাঁচ হাজার পুরুষের একই সময়ে দাড়ি কাটার আয়োজন করেছে তারা। এরপর থেকে বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখাচ্ছে।

নাঊযুবিল্লাহ! যদিও প্রকাশ্যে তারা বলেছে যে, কোম্পানির জিলেট রেজার ব্র্যান্ডের প্রচারের জন্য তারা এ আয়োজন করেছে এবং গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে ঠাঁই নেয়ার জন্য তারা এ আয়োজন করেছে কিন্তু আসলে এ প্রচারণার পেছনে রয়েছে তাদের গভীর ইসলাম বিদ্বেষী উদ্দেশ্য। তারা চাচ্ছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ বাংলাদেশে মুসলমানদের দ্বারাই ইসলাম বিরোধী এ কাজ মহাসমারোহে করার জন্য। তারা কৌশলে মুসলমানদের দ্বারাই মুসলমানিত্ব উঠিয়ে দিতে চাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! সরাসরি দাড়ির বিরুদ্ধে বললে মুসলমানরা ক্ষেপে যাবে। তাই দৃশ্যত একটা অনুষ্ঠান করে মুসলমানদের দ্বারাই দাড়ি বিরোধী মচ্ছবের আয়োজন করতে চাইছে।

নাঊযুবিল্লাহ! পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এর আয়াত শরীফ দ্বারাও দাড়ি রাখার আবশ্যকতা ও দাড়ি কাটার নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হয়। যেমন- আল্লাহ পাক তিনি “সূরা নিসা”-এর ১১৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ এরশাদ করেন, “(ইবলিসের অঙ্গীকার) আর আমি তাদেরকে আদেশ করবো, যাতে তারা আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টিতে বিকৃতি বা পরিবর্তন ঘটাবে। …………। ” উক্ত আয়াত শরীফ-এর তাফসীরে (ব্যাখ্যায়) হযরত মুফাসসিরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেন, “আল্লাহ পাক উনার ফিতরাতের পরিবর্তন মূলত ইসলামেরই পরিবর্তন ……… এবং বিশেষ করে আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টির পরিবর্তনের মধ্যে …….. দাড়িতে (কালো) খেজাব ব্যবহার করা, এক মুষ্টির কমে দাড়ি কাটা ইত্যাদিও অন্তর্ভুক্ত। ” (তাফসীরে রুহুল বয়ান : ২য় জিলদ পৃষ্ঠা ২৮৮, তাফসীরে রুহুল বয়ান : ৩য় জিলদ পৃষ্ঠা ১৫০, তাফসীরে কামালাঈন ফী শারহিল জালালাঈন : ২য় জিলদ পৃষ্ঠা ১০৬) আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি “সূরা হাশর”-এর ৭ নম্বর আয়াত শরীফ-এ এরশাদ করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদেরকে যা দান (আদেশ) করেন, তা আঁকড়িয়ে ধর এবং যার থেকে বিরত থাকতে বলেন, তার থেকে বিরত থাক।

” উক্ত আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায় হযরত মুফাসসিরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেন, “মহিলাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যে কান ছিদ্র করা জায়িয। কিন্তু পুরুষের জন্যে তা হারাম, যেমন পুরুষের জন্যে দাড়ি মুন্ডন করা হারাম। ” (তাফসীরে রুহুল বয়ান, ৯ম জিলদ পৃষ্ঠা ৪২৯) দাড়ি সম্পর্কিত কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর অনেক অমোঘ নির্দেশ থাকার প্রেক্ষিতে ‘কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সরকারের উচিত অবিলম্বে প্রকাশ্যে ৫ হাজার লোকের দাড়ি কাটার মতো এ মহা ইসলাম বিরোধী কাজ শক্ত হাতে বন্ধ করা। এ দুরভিসন্ধির হোতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। সবচেয়ে বড় কথা হলো রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে এ রকম মহা ইসলাম বিরোধী কাজ দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমান তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম-পরম আঘাত বলে গণ্য করবে এবং বরদাশত করবে না।

এছাড়া সরকারকে মনে রাখতে হবে- তার বিরুদ্ধে দাড়ি-টুপির উপর আঘাতের অভিযোগ, মহলবিশেষ দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে। সেক্ষেত্রে এ রকম একটা ঘটনা ঘটলে উক্ত মহলের কথাই সত্য বলে প্রতিভাত হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।