আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তবে আশা করেছিলাম এই ঘটনা সংবাদকর্মীদের বিবেক অন্তত জাগ্রত করবে!

নাজমুল ইসলাম মকবুল
তবে আশা করেছিলাম এই ঘটনা সংবাদকর্মীদের বিবেক অন্তত জাগ্রত করবে! নাজমুল ইসলাম মকবুল ''তবে আশা করেছিলাম, এই ঘটনা সংবাদকর্মীদের বিবেক অন্তত জাগ্রত করবে। '' লাইনটি পড়ার পর চোখ যেন ঝাপসা হয়ে গেল। বারবার অন্তরের একেবারে গভীরে প্রতিবিম্বিত হচ্ছে লাইনটি। আর যেন পড়তে পারছিনা। প্রতিরাত দেড়টার পর যখনই জাগ্রত হই তখনই বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায়ই মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকায় আমার দেশ অনলাইনে ঢুকে আমার দেশ এর সংবাদ শিরোনামগুলো দেখা আমার নিত্যদিনের অভ্যাস।

নন্দিত পত্রিকা আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সাহেব এর মুক্তির প্রহর যখন দেশবাসী গুনছিলো তখন বিগত ১৬ মার্চ একটি আর্টিকেল লেখলাম যার শিরোনাম দিয়েছিলাম ''স্বাগতম মাহমুদুর রহমান তোমাকে স্বাগতম, তারা জোয়ার দেখেছে ভাটার টান দেখেনি''। লেখাটি আমার দেশসহ দেশ বিদেশের কয়েকটি পত্রিকায় ই-মেইলে পাঠিয়ে দিলাম। আমেরিকা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা প্রবাসী বার্তা’য় সাথে সাথেই তারা লেখাটি প্রকাশ করলেন। সেসাথে লন্ডন থেকে প্রকাশিত অনলাইন পত্রিকা আমাদের প্রতিদিনসহ আরও অনেকগুলি পত্রিকা এবং সিলেটের বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায়ও লেখাটি ছাঁপা হলো। ১৭ই মার্চ লেখাটি আমার দেশ’এ ছাঁপা হওয়ার কথা থাকলেও সত্যসন্ধানী সাংবাদিক ওলিউল্লাহ নোমানের লেখা ছাঁপা হওয়ায় আমার লেখাটি অপেমান তালিকায় থেকে যায়।

১৭ই মার্চ সিনিয়র সহকারী সম্পাদক জনাব সঞ্জীব চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানলাম মাহমুদুর রহমান সাহেব মুক্তি পেয়ে আমার দেশ কার্যালয়ে প্রবেশ করছেন। আবেগাপ্লুত হয়ে অন্তরের অন্তস্থল থেকে বেরিয়ে আসলো আলহামদুলিল্লাহ। কারন প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে নতুন মামলা রুজু করে জেলগেটে গ্রেফতারের রেকর্ড আমাদের দেশে একেবারে ডালভাত। কম্পিউটারের সামনে থাকায় ফাইলটি ওপেন করে লেখাটির শিরোনাম ঠিক রেখে লেখাটিতে কিছু পরিবর্তন এনে আবার ই-মেইলে পাঠিয়ে দিলাম যা বিগত ১৯ মার্চ আমার দেশ’র উপসম্পাদকীয়তে ছাঁপা হয়। লেখাটিতে উল্লেখ করেছিলাম, দেশবাসীর কাছে গত ৯ মাস ১৭ দিন অতিবাহিত হচ্ছিল যেন কচ্ছপ গতিতে।

৯ মাসকে মনে হয়েছিল নয়শ বছরের সমান। মাহমুদুর রহমানের কলম থেকে বের হওয়া আগুনের গোলাসম মন্তব্য প্রতিবেদন বাংলাদেশ তথা বিশ্বের সকল দেশে অবস্থানরত বাংলাভাষীদের চুম্বকের মতো আকর্ষন করায় ফ্যাসিবাদী তথা লুটেরাদের চুশুলে পরিণত হন তিনি। দেশ বিদেশের কোটি কোটি জনতা আমার দেশে প্রকাশিত মাহমুদুর রহমানের মন্তব্য প্রতিবেদন পড়ার জন্য রাত জেগে আমার দেশ অনলাইনে কিক করতেন। এসব মন্তব্য প্রতিবেদনের সমাহারই একদিন হবে এদেশের বাস্তব ইতিহাস। বাস্তব প্রতিচ্ছবি।

কালের স্বাী। মাহমুদুর রহমান মুক্তি পাওয়ার পর গ্রেফতার হওয়া থেকে শুরু করে জেল জুলুম ও রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের বাস্তব প্রতিচ্ছবি খোদ মাহমুদুর রহমানের কলম থেকে ধারাবাহিকভাবে বের হয়ে আসবে এবং বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ তা পড়ার জন্য অধীর আগ্রহের প্রহর যে গুণছিলেন তা কারো অজানা নয়। আবার মুক্ত মাহমুদুর রহমানের আগুনঝরা মন্তব্য প্রতিবেদন আঘাত হানতে শুরু করবে ফ্যাসিবাদী সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শোষক লুটেরাদের তখতে তাউসে। তাই যতই ঘনিয়ে আসছিল বাংলার নর সার্দুল মাহমুদুর রহমানের মুক্তির সেই মাহেন্দ্র ন, ততই যেন ভয়ে থরথর করে কাঁপতে শুরু করছিলো বাতিলের মসনদ। ভেবেছিল ওরা মাহমুদুর রহমানকে কারারুদ্ধ করে রাখলে এবং এদেশের মাটি ও মানুষের তথা স্বাধীনতার কন্ঠস্বর আমার দেশ বন্ধ করে দিতে পারলেই তারা নিরাপদে লুটতরাজ করতে পারবে।

পারবে যা খুশি তা করতে। কিন্তু তারা জোয়ার দেখেছে ভাটার টান দেখেনি। এক মাহমুদুর রহমান থেকে কোটি মাহমুদুর রহমানের জন্ম হবে এই বাংলাদেশে। যারা শুধু বাংলাদেশ নয়, পথ দেখাবে বিশ্ববাসীকে। যার প্রমাণ বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে মাহমুদুর রহমানের মুক্তির জন্য চলে তুমুল আন্দোলন।

চলে মানববন্দন, প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মিটিং, স্মারকলিপি পেশসহ নানা কর্মসুচি। লেখালেখি হয় অসংখ্য অগণিত। একজন লেখক বা সাংবাদিককে এমন অমানুষিক কায়দায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও নির্যাতন করার নজির যেমন বিশ্বের ইতিহাসে নেই তেমনি এর প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী এমন তুমুল আন্দোলনের ইতিহাসও খুজে পাওয়া মুশকিল। আজ লুটেরারা হাহুতাশ করছে এই ভেবে যে, ফ্যাসিবাদি কায়দায় আমার দেশ বন্ধ করে আটকে রাখতে পারলাম না। মাহমুদুর রহমানের উপর সারাদেশে মামলার পর মামলা দিয়েও আটকে রাখতে পারলামনা বরং মাহমুদুর রহমান ও আমার দেশকে সম্মানের শীর্ষ চুড়ায় তুলে দিয়ে কী ভুলইনা করলাম।

এর মাশুল দেয়া শুরু হয়ে যাবে। আমার দেশ পত্রিকা হবে এদেশের তথা বিশ্বের বাংলাভাষী মানুষের প্রধান মুখপত্র। আর মাহমুদুর রহমান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন এর কান্ডারী হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে। যার উপর ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে এবং সুদুর যুক্তরাজ্যেও কাপুরুষের মতো নগ্ন হামলা করে তাকে দমাতে পারেনি পিশাচেরা, আটকাতে পারেনি সেই শানিত কলমের দুরন্ত গতি, তাকে জেলের ভয় দেখিয়ে লাভ যে হবেনা তা তারা বোধ হয় ভাবতেই পারেনি। মাহমুদুর রহমানকে যারা অপদস্থ করেছে, বিবস্ত্র করেছে তাদের দুরভিসন্ধি আজ বুমেরাং হতে চলেছে, তারাই বিবস্ত্র হবে এবং অচিরেই এর পরিণতি তারা ভোগ করারও সময় অপো করছে।

বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখছে, সাহসী কলমসৈনিক মাহমুদুর রহমান অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করে স্থাপন করেছেন বিরল দৃষ্টান্ত। যা শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বে নজিরবিহীন। একটি সত্য রিপোর্ট তাঁর সম্পাদিত পত্রিকায় প্রকাশের দায়ে নজিরবিহীন দন্ড প্রদান করায় বিশ্ববাসী শুধু হতবাকই হননি লজ্জিতও হয়েছেন। মাহমুদুর রহমান নিজের মুল্যবান সময়ের প্রায় দশটি মাস জেলে বন্ধি থেকে জাতির তথা লেখক সাংবাদিকদের মর্যাদাকে সমুন্নত করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নজিরবিহীন নির্যাতনের মাধ্যমে সরকার তাদের ফ্যাসিবাদী মনোভাবই জাতির তথা বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচন করেছে।

একজন সাংবাদিকের উপর প্রায় অর্ধশত মামলাই প্রমাণ করে সরকারের প্রধান প্রতিপ হিসেবে তারা মাহমুদুর রহমানকেই বেছে নিয়েছে। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে মাহমুদুর রহমানের আজ বড়ই প্রয়োজন। তাঁর প্রতি যারা প্রতিহিংসার আগুন জ্বালিয়েছে তারাই সে প্রতিহিংসার আগুনে পুড়ে ছারখার হবার সময় বেশি দুরে নয়। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে মাহমুদুর রহমানের মতো প্রতিবাদী বজ্র কন্ঠের অধিকারী মানুষেরই প্রয়োজন। এধরনের নিঃস্বার্থ প্রতিবাদী কন্ঠের অধিকারী লৌহ মানব যেকোন দেশের, যেকোন জাতির, যে কোন পঙ্খিলময় সমাজের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন।

আবারও মাহমুদুর রহমানের মতো অসীম সাহসী ব্যক্তির আগুনঝরা লেখনির দরকার। তিনি আজ মুক্ত। বিশ্বের সকল সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদীদের বিরুদ্ধে হিমালয়ের মতো হিম্মত নিয়ে শক্ত হাতে আবারও কলম চালিয়ে যাবেন বলে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় জনগন উদগ্রিব হয়ে আছেন। মুক্তি পাওয়ার পর মাহমুদুর রহমান সাহেব গণমাধ্যমের সাথে প্রতিক্রিয়ায় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন সত্যের পে কলমের লড়াই অব্যাহত রাখার। সেই কলম চলছে অব্যাহত গতিতে।

এবার আমি রাতে আমার দেশ অনলাইন অপেন করে প্রথমেই মাহমুদুর রহমান সাহেবের কারাভোগের কাহিনী জেল থেকে জেলে পড়ি আবেগের সাথে। এরপর অন্যান্য সংবাদের শিরোনাম। কিন্তু আজকের লেখা (৫এপ্রিল ২০১১) পড়ে নিজেকে আর যেন সামলে রাখতে পারছিনা। মাহমুদুর রহমান সাহেবের উদৃতি ‘‘ আমার বক্তব্য শেষ হতেই সরকারি আইনজীবী তারস্বরে চিৎকার করে বলতে লাগলেন, এগুলো সব বানানো। আমি নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ করছি।

যে রাষ্ট্রে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড দৈনন্দিন বিষয়ে পরিণত হয়েছে, সেখানে আমার ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হবে এমন অলীক স্বপ্ন দেখার মতো নির্বোধ আমি নই। তবে আশা করেছিলাম, এই ঘটনা সংবাদকর্মীদের বিবেক অন্তত জাগ্রত করবে। নির্যাতন ও মানবাধিকার প্রশ্নে সব সংবাদকর্মী রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে একটি নৈতিক অবস্থান গ্রহণ করবেন। আমার সেই আশাটি অবশ্য পূরণ হয়নি। তবে সাধারন জনগণ অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন, সেই সত্য আমাকে আশান্বিত করছে।

’’ এখানে উল্লেখ্য আইনজীবী চিৎকার করে যে বললেন, এগুলো সব বানানো, ওই আইনজীবী কি ওই ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত থেকে তা প্রত্য করেছেন? দ্বিতীয়ত: সে সময়কার আদালতে দেয়া মাহমুদুর রহমান সাহেবের আবেগময় নিমর্ম নির্যাতনের বর্ণনা দেশ বিদেশের প্রচারমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারের পরও জাতির বিবেক ওই বিশেষ দলীয় সাংবাদিকরা দলীয় সংকীর্ণতার উর্দ্ধে উঠে এর তীব্র প্রতিবাদে কোন কর্মসূচি দিতে পারেননি তা শুধু চরম লজ্জাজনকই নয় বরং বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। এদেরইতো বলা হয় হলুদ সাংবাদিক। আজ মাহমুদুর রহমান সাহেব আক্রান্ত হয়েছেন আগামীতে আর কেহ যে আক্রান্ত হবেননা তার নিশ্চয়তা কোথায়? সকল সম্মানিত সাংবাদিক মহোদয়গন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেসময় তীব্র প্রতিবাদ জানালে ভবিষ্যতে আর কোন সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলার সাহস ওরা কি পেত? আমার দেশের দায়িত্ব নেবার পর মাহমুদুর রহমান সাহেব আমাদেরকে নিয়ে সিলেটে দুটি বৈঠক করেছিলেন। সেসব বৈঠকে একটি কথাই বার বার বলেছিলেন যে, আমার দেশ পত্রিকাকে আমি অচিরেই এক নম্বর স্থানে নিয়ে যেতে চাই। আমরাও দেখছিলাম আমার দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

মনে মনে আশান্বিত হয়েছিলাম যে, ধীরে ধীরে হয়তো এভাবে এগিয়ে যাবে সম্পাদক সাহেবের অকান্ত পরিশ্রম, সুষ্টু ব্যবস্থাপনা, চমকপ্রদ ও অনুসন্ধানী সত্য সংবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে। সর্বোপরী মাহমুদুর রহমান সাহেবের আগুনঝরা মন্তব্য প্রতিবেদন লেখা শুরু হলে আমার দেশের জনপ্রিয়তা দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। কিন্তু এভাবে একটি দুঃখজনক ইতিহাসের মাধ্যমে আরও যে অতি দ্রুত পত্রিকাটির অসম্ভব জনপ্রিয়তা বেড়ে যাবে তার কল্পনাও করিনি। কয়েকদিন যাবত পত্রিকা ষ্টেন্ডে গিয়ে দেখতে পাই পাঠক শুধু আমার দেশ পত্রিকা খোজ করতে থাকেন। আর বিক্রেতা সেই ভর দুপুরে বলতে থাকে শেষ হয়ে গেছে।

বাধ্য হয়ে পত্রিকা এজেন্টকে অনুরুধ করলাম কপিসংখ্যা বাড়াতে। আজ মাহমুদুর রহমানের কারাভোগের কাহিণী জেল থেকে জেলে পড়ার জন্য পাঠক হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। পত্রিকার চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েকগুন। ফটোকপি করে বিক্রয় হচ্ছে আমার দেশ। মাহমুদুর রহমানের উপর নির্মম নির্যাতনের ইতিহাস পৃথিবীর অন্যতম লোমহর্ষক ও ভয়াবহ ইতিহাস।

আমার দেশ সম্পুর্ন অন্যায়ভাবে ও ফ্যাসিবাদী কায়দায় বন্ধ করার ইতিহাস বর্তমান বিশ্বে যেন এক কালিমাযুক্ত ইতিহাস। যে বা যারা মাহমুদুর রহমান সাহেবকে এমন নির্মম নিষ্টুর নির্যাতন করেছে এবং যে সকল রাঘব বোয়ালের নির্দেশে করা হয়েছে তাদেরকে একদিন বিচারের কাঠগড়ায় অবশ্যই দাড়াতে হবে। সেদিন আর বেশি দুরে নয়।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।