আমার ব্যক্তিগত ব্লগ
আমাদের বাসায় বিড়াল কম বেশি সবাই পছন্দ করে, তবে সবচেয়ে বেশি বিড়াল ঘেসা হলো বড় বিলাই। রাস্তার বিড়ালও কোলে নিয়ে আদর করতে পারে। ময়লার চিন্তা করে না।
ওর জন্মের সময়ের কথা আমার মনে নেই। আমরা বড় দুবোন তখন বাংলাদেশে ছিলাম আর বড় বিলাই হয়েছিল সৌদি আরবে, আলওয়াজে।
বাসার বড়রা নাকি বড়পাকে বলেছিল তোমার একটা বোন হয়েছে। সেটা কি জিনিস তা আমার বোঝার বয়স হয়নি। তবে ছবি দেখেছিলাম। আম্মা লাল শাড়ি পড়ে বড় বিলাইকে হাতে নিয়ে বসে আছেন। একেবারে গ্যাদা একটা বাচ্চা।
আরেকটা ছবি ছিল ওর ছোট খাটে। সেখানে সে মোচর দিচ্ছিল। আম্মা বলতেন, ওর ছবি তোলা যেত না, ছবি তুলতে গেলেই মোচর দিত।
আমার যখনকার কথা মনে আছে, তখন আমরা সৌদি আরবের উমলেজে থাকতাম। বড় বিলাই পানি খুব ভয় পেত।
তবে পানি দেখতে খুব পছন্দ করতো। সাগর পাড়ে একবার নিলে আর ফেরা মুশকিল ছিল। "আমি পানি দিকি, আমি পানি দিকি" এই বলে চিৎকার করতে থাকত। কোন মতে টেনে আমরা গাড়িতে তুলতাম, ও হাত পা ছুড়তে থাকত।
এরপর বড় বিলাই কিছু দিন ফরিদপুরে নানা বাড়িতে ছিল।
এখানে শুরু হয়ছিল ওর পশুপাখির প্রতি আগ্রহ। একবার বাজার থেকে আনা একটা লাল মুরগি পছন্দ করে ও। আর মারতে দেয়না, দিনরাত ঐ মুরগী কোলে করে রাখত। ছবিও তুলেছিল মুরগী কোলে নিয়ে। আর কুকুরের বাচ্চা নিয়ে কি করতো সেটা তো ও নিজেই বলেছে।
এরপর ঢাকায় এসে ও কিছুদিন ফরিদপুরের ভাষায় কথা বলত। তবে সেটা ঠিক হতেও সময় লাগে নি। ও হচ্ছে বাবা - মার সবচেয়ে লক্ষী মেয়ে। বড়রা যা বলবে তাই সই। নাইনে উঠে বলল, আমি সাইন্স নিব না আর্টস? বলা হলো সাইন্স নাও, ডাক্তার হতে হবে।
আচ্ছা। একদিন ডাক্তার হয়েও গেল। তবে ওর স্কুলে ওকে এক টিচার বলেছিল, এটা একটা মেনকা শয়তান। কথা ঠিক। চুপচাপ থাকলেও চলে আসলে নিজের মতেই।
যে যাই বলুক, চুপ করে শোনে, কোন রা নেই। তারপর নিজে যা করার করে। বড় বিলাই বলে কথা।
শুভ জন্মদিন বড় বিলাই। আজ পৃথিবীতে যত ফুল ফুটেছে।
সব তোমার খাওয়াবে কবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।