আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পৈত্রিক উত্তরাধিকারে নারীর অংশ এবং আজকের প্রোক্ষাপট ।। মুফতী খন্দকার হারুনুর রশীদ

নাজমুল ইসলাম মকবুল

(লেখাটি আমার নয়, লেখক আমার নিকট ই-মেইলে পাঠিয়েছেন প্রচারের জন্য, তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। ) পৈত্রিক উত্তরাধিকারে নারীর অংশ এবং আজকের প্রোক্ষাপট মুফতী খন্দকার হারুনুর রশীদ যেখান থেকে মানবসভ্যতার সূত্রপাত, সেই সূচনাবিন্দু হতে সকল সাফল্য ও কৃতিত্বের গর্বিত মালিকানা সত্য ধর্ম ইসলাম নারী এবং পুরুষ উভয়কে সমভাবে বন্টন করে দিয়েছে। কোনো েেত্র ব্যর্থতার দায়ভারও এককভাবে নারী বা পুরুষ কারো ওপর চাপিয়ে দেয়নি। মানবমস্তিষ্কপ্রসূত নানা কুসংস্কার এবং বিলয়প্রাপ্ত ধর্মের ধ্বংসাবশেষে মায়ের জাতি নারীরা যখন চরম অবজ্ঞা ও যুলুমের শিকার, ইসলাম তখন নারীকে স্বগৌরবে বেঁেচ থাকার অধিকার নিশ্চিত করেছে। স্বতন্ত্র স্বত্তা হিসেবে স্বাধীনরূপে কর্তব্য পালনের স্বীকৃতি দিয়েছে।

মেয়ে সন্তান জন্মালে এর জীবন্ত কবর রচনা যে সমাজে ছিলো গৌরবের সেখানে নারীজন্মের মহা-আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে ঘোষণা দিলেন ইসলামের নবী; যাদের ঔরসে এক-দুই বা ততোধিক মেয়ে সন্তান জন্ম নেবে আর পিতা-মাতা অন্তত একটিকে হলেও সুশিায় শিতি করে অত:পর সুপাত্রে সমর্úণ করবে তাদের জান্নাতে নিয়ে যাবার দায়িত্ব আমার আপন কাঁধে। নারীর স্পর্শকে যেখানে মনে করা হতো নিকৃষ্টতম অশুচি সেখানে নারীকে নিয়ে সুখী সংসার গড়ার স্বপ্নীল আয়োজন বৈবাহিক বন্ধনকে পবিত্র ঈমানের অর্ধেক বলে কোটি কন্ঠে ঝংকার তুলেন মানবতাবাদী নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)। নিগৃহীত নারীকে জননীর সিংহাসনে অভিষিক্ত করে পুরুষ জনকের চেয়ে তিনগুণ আধিক্যময় মর্যদার সোনালী মুকূট পরিয়ে দিলেন তিনি। বঞ্চিত নারী জাতির সম্পদের অধিকার বিষয়ে অত্যন্ত সম্মানজনকভাবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সুস্পষ্ট বক্তব্য উপস্থাপন করলো ইসলাম। উত্তরাধিকারের সর্বেেত্র ন্যায্য হিস্যা নির্ধারণের পাশাপাশি অপরিবর্তনীয় চিরন্তন অধ্যাদেশ জানিয়ে দেয় মহাগ্রন্থ আল-কুরআন।

‘‘আল্লাহ তা’য়ালা তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেন যে, একজন পুরুষের অংশ দু’জন নারীর অংশের সমান। অত:পর যদি শুধু নারী দু’জনের অধিক হয় তবে তারা মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তি হতে দুইতৃতীয়াংশ প্রাপ্ত হবে। আর যদি একজনই হয় তবে তার জন্য অর্ধেক। ’’ (সূরা: আন-নিসা:১১) এখানে ‘‘একজন পুরুষের অংশ দু’জন নারীর অংশের সমান’’ কথাটি কিছুটা দুর্বোধ্য হওয়ায় শাইখ আলী সাবুনী (রাহ) একটি উদহারণের মাধ্যমে বিষয়টাকে বোধগম্য করে তুলেছেন এভাবে- তিনি বলেন, মনে করুন এক ব্যক্তির মৃত্যু হলো। উত্তরাধিকারীদের মাঝে তিনি রেখে গেলেন এক ছেলে ও এক মেয়েকে।

উত্তরাধিকার সম্পত্তি তিন হাজার টাকা। এখন ইসলামী আইনের নিরিখে ছেলে দু’হাজার এবং মেয়ে এক হাজার টাকা পেলো। অত:পর ছেলে বিয়ে করলো এবং স্ত্রীর মোহরানা দু’হাজার টাকা ধার্য করলো। যা তাকে নগদ আদায় করতে হয়েছে। অপরদিকে মেয়ে বিয়ে বসলো এবং তারও মোহরানা দু’হাজার টাকা ধার্য হলো।

যা সে নগদ লাভ করলো। এভাবে মেয়ের নিকট উত্তরাধিকারে প্রাপ্ত অংশ ও মোহরানা মিলিয়ে তার তবিল হলো তিন হাজার টাকা। আর এদিকে ছেলের যা ছিলো তা মোহরানা বাবত ব্যয় হয়ে গেলো। এখন সে খালি হাত। তার কোনো ক্যাশ নেই।

এবার ভালো করে ভেবে দেখুন! কার নিকট সম্পদ বেশি। ইসলাম কাকে পুঁিজপতি বানালো। (আল-মাওয়ারিস-পৃ.১৮৩) পবিত্র কুরআন সমগ্র বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মগ্রন্থ এবং জীবনের সকল েেত্র সর্ববিষয়ে অবশ্যপালনীয় এক অনবদ্য সংবিধান। সমগ্র বিশ্বের মুসলমানগণ সাড়ে চৌদ্দশত বছর পূর্ব থেকে এপর্যন্ত কুরআন হাদীসের সুস্পষ্ট বিবরণের আলোকে এর সঠিক ব্যাখ্যা বুঝতে সম বিধায় বিনা বাক্যব্যয়ে সকলপ্রকার বিধিবিধানকে পূর্ণমাত্রায় পালন করে আসছেন। এ অপরিবর্তনীয় সার্বজনীন সংবিধানের কোনো একটি আয়াত বা ধারার ওপর পৃথিবীর কোথাও কোনো মুসলমান আপত্তি না জানালেও বাংলাদেশের কিছু ইসলাম বিদ্বেষী অমুসলিম, নাস্তিক্যবাদী ধ্যানধারণার কতিপয় নামধারী মুসলিম এবং ইসলাম সম্পর্কে সম্যক মূর্খ একটি গোষ্ঠী উল্লেখিত আয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা ও তাৎপর্য বুঝতে না পেরে নারীর জন্য সমঅধিকার দাবির অন্তরালে উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে ‘‘একজন পুরুষের অংশ দু’জন নারীর অংশের সমান’’ আয়াতাংশকে মুছে ফেলে নারী-পুরুষের সমান অংশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পাশ্চাত্যভক্ত নবশিতি কিছু লোকও। কিন্তু জেনে রাখতে হবে, ইসলাম নারীর জন্য পুরুষদের সমান-সমান নয়; বরং পুরুষদের তুলনায় অগ্রাধিকারের প্রবক্তা। এদিকে যখনই যে সরকার মতায় আসছে তারা নিজেদের বিশাল অজ্ঞতার পাশাপাশি চক্রান্তকারীদের শিকার হয়ে ওদের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে ‘‘নারী উন্নয়ননীতি’’ নামে কুরআনবিরোধী আইন প্রতিষ্ঠার পদপে গ্রহণ করছে এবং বরাবরই জনরোষের মুখে পড়ে এ ধ্বংসাত্মক পদপে থেকে সাময়িকভাবে হলেও নিবৃত হচ্ছে। কিন্তু এর একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া উচিত। ওরা কেনো বারবার বিশ্বের কোটি কোটি মুমিনের ধর্মবিশ্বাসের বিপে এমন ঔদ্ধত্য প্রদর্শনের সাহস করবে? অথচ, আলোচ্য ধারাটির যেভাবে ব্যাখ্যা আছে, তেমনি উত্তরাধিকার আইনের সর্বেেত্র এই একই নীতি কার্যকর নয়।

কারণ কোনো কোনো অবস্থায় নারীকে পূর্ণ পৈত্রিক সম্পত্তির অর্ধেক, দু’তৃতীয়াংশও দেয়া হয়ে থাকে। যা মূল আয়াতে উল্লেখ রয়েছে। আবার কোথাও অন্য পুরুষ উত্তরাধিকারীগণের সমান মাথাপিছু অংশ নির্ধারিত আছে। যেমন: বৈপিত্রেয় ভাই ও বোন প্রসঙ্গে লেখা আছে, তারা উত্তরাধিকারী হওয়া এবং সম্পত্তি প্রাপ্তিতে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ ছাড়াই সমানভাবে হকদার গণ্য হবেন। (আস-সিরাজী-পৃ:১৩) এজন্য কুরআনের বর্ণিত আয়াতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদেরকে অর্ধেক অংশ দেয়া কোনো অবস্থায়ই অন্যায় বা অধিকার খর্ব করা নয়।

যদি কেউ এমন মনে করে তাহলে এটা হবে তার ইসলামী আইন সম্পর্কে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকা এবং অজ্ঞতার ফসল মাত্র। কেননা ইসলামী জীবনব্যবস্থায় পুরুষকে বানানো হয়েছে একজন নারীর বিশ্বস্ত রক ও সর্বপ্রকার ব্যয় নির্বাহী উত্তম অভিভাবক। নারীর সমূহ আর্থিক ব্যয়ভার ন্যস্ত করা হয়েছে পুরুষের কাঁধে। নারীর জন্য ব্যয়ের কোনো খাতই রাখা হয়নি। পুরুষের জন্য রাখা হয়েছে ষোলটি ব্যয়ের খাত।

যেখানে নারীর জীবনের সকল প্রয়োজন চলে এসেছে পুরুষের ওপর। পুরুষের জন্য ধার্যকৃত ব্যয়ের সেই খাতগুলো হলো, ১.বৃদ্ধা মাতা, পিতা ও বোনদের লালন-পালন। ২. বোনদের সুপাত্রে বিয়ে দেয়া। ৩.স্ত্রীসহ বসবাসের উপযোগী বাড়ি নির্মাণ। ৪.বিবাহের খরচাদি ও স্ত্রীর নগদ মোহরানা।

৫.বোনদের আনা-নেয়া ও তাদের স্বামীসহ অন্যদের মেহমানদারী। ৬.স্ত্রীর পানাহারের ব্যয়ভার। ৭.স্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনের মেহমানদারী। ৮.স্ত্রী অশিতি হলে সুশিার ব্যবস্থা। ৯. স্ত্রীসহ অধিনস্থদের চিকিৎসাব্যয়।

১০. স্ত্রী ও অধিনস্থদের পোষাক-আষাক। ১১. স্ত্রীর প্রসাধনী ও হাতখরচ। ১২.সন্তান লালন-পালন ও শিাব্যয়। ১৩.স্ত্রীকে নিয়ে ভ্রমণে গেলে বা যেকোনো বিনোদনখরচ। ১৪. স্ত্রী-সন্তানদের নিরাপত্তাব্যবস্থা।

১৫.তালাকদেয়া স্ত্রীর ইদ্দতকালীন ভরণ-পোষণ। ১৬.ব্যক্তিগত সামগ্রিক ব্যয়ভার। ভেবে দেখুন! পুরুষ যখন উল্লেখিত দায়িত্বসমূহ যথাযথভাবে পালন করবে তখন নারীর আর এমন কোনো প্রয়োজনই বাকি থাকবে না যা সমাধা করতে তার সম্পদের প্রয়োজন হতে পারে। তা সত্ত্বেও প্রতিটি নারীকে সর্বাবস্থায় স্বাবলম্বী করে রাখতে মানবতার ধর্ম ইসলাম তাদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে ষোলটি আয়ের উৎস। যা থেকে অর্জিত সম্পত্তির একক মালিকানা কেবলমাত্র নারীরই।

যাতে হস্তেেপর অধিকার কোনো পুরুষেরই নেই। আয়ের সেই উৎসগুলো হচ্ছে, ১.বিয়ের পূর্বে পশু-পাখি পালন, হস্তশিল্প ও চাকুরী ইত্যাদি দ্বারা উপার্জন। ২.বিয়ের আগে বাগদানে প্রাপ্ত উপহার। ৩.বিয়ের সময় প্রাপ্ত নগদ মোহর ও অন্যান্য উপহার। ৪.বিয়ের পর চাকুরী ও ব্যবসায়িক আয়।

৫.বিয়ের পর পশু-পাখি পালনের উপার্জন। ৬.বিবাহবিচ্ছেদের সময় প্রাপ্ত বকেয়া দেনমোহর। ৭.ইদ্দতকালীন প্রাপ্ত ভাতা থেকে আয়। ৮.পিতা-মাতার উত্তরাধিকারের অংশ। ৯.স্বামীর উত্তরাধিকারের অংশ।

১০.সন্তানের উত্তরাধিকার। ১১. ভাই-বোনদের উত্তরাধিকার। ১২.দাদা-দাদি ও নানা-নানির উত্তরাধিকার। ১৩.নাতি-নাতনির উত্তরাধিকার। ১৪.দাদার ওসিয়তের মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্পদ।

১৫.আযাদকৃত দাসের উত্তরাধিকার। ১৬.স্ত্রী স্বামীর তুলনায় ধনী হলেও ব্যয়ভার বহন তার দায়িত্বে না থাকায় বেঁেচ যাওয়া অর্থ। এটা ইসলামের সার্বজনীন ব্যবস্থাপনায় নারীর নজিরবিহীন মূল্যায়ন ও অগ্রাধিকারের একটি ঝলক মাত্র। যদি উত্তরাধিকারে নারীকে পুরুষের সমান অংশ দিয়ে পানাহার, বাসস্থান, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সকল েেত্রর দায়িত্ব তার ওপর অর্পণ করা হতো তাহলে বংশীয় ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা থেকে নিয়ে মানবসভ্যতা একেবারে অকেজো হয়ে পড়তো। একথা প্রকৃতিগত যে, নারীর প্রতিটি পদে সম্পদের প্রয়োজনীয়তা সত্ত্বেও তার মাঝে জীবিকা উপার্জনের কষ্টকে সহ্য করার যোগ্যতা খুবই কম।

এমতাবস্থায় নারীকে উত্তরাধিকারের একটি নির্ধারিত অংশ প্রদান (পুরুষের সমান) তাদের সমগ্র জীবনের সকল প্রকার ব্যয়ভার বহনের নিশ্চয়তা দিতে পারে কি? মধ্যম পন্থা ও ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থা অবলম্বন করতে গিয়ে মর্যাদার আকর মায়ের জাতি নারীকে ইসলাম এভাবে যথার্থ মূল্যায়ন করেছে। সকল ব্যয়ভারের বোঝা পুরুষের ওপর অর্পণ করেছে। নারীকে উত্তরাধিকার হতে বঞ্চিত করেনি। নারীর জন্য ইসলামপ্রদত্ত এই অঢেল সুযোগ-সুবিধা বা অগ্রাধিকারের পরও যারা একটি ভ্রান্ত ও অজ্ঞতাপ্রসূত অজুহাতের ভিত্তিতে নারী-পুরুষের সকল েেত্র সমান অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে নানাভাবে আন্দোলন-অপচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে, মূলত এদের মতলব ভালো নয়। এভাবে এই কুচক্রীরা নারীর প্রতি অবিচার করছে।

ইসলামপ্রদত্ত অশেষ সুবিধা থেকে নারীকে তারা স্থায়ীভাবে বঞ্চিত করতে চায়। যা নারীর প্রতি আসলেই অবিচার। নারীকে খোদার দেয়া এসব সুযোগ-সুবিধা তাদের রক্তে-মাংসে ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের ওপর নারীর প্রাপ্য অধিকারকে তারা আত্মসাৎ করতে চায়। তাদের কাছে এটা অসহনীয় যে, পুরুষ উপার্জন করবে আর নারীরা আল্লাহর বিধান মতো ঘরে বসে বসে পুরুষের আয়কে ভোগ করবে।

অথচ নিজেদের ক্যাশ ভাঙবে না। পুরুষ কেনো নারীর সকল ব্যয়ভার বহন করবে এটাই তাদের হিংসার কারণ। তারা চাচ্ছে নারী নিজে আয়-উপার্জন করুক এবং যে পরিমণে উপার্জনে সম হবে তা দিয়েই সে নিজের সকল প্রয়োজন নিজেই পুরণ করুক। এতে করে নারী আর পুরুষের নিকট থেকে স্বীয় প্রাপ্যকে আদায় করতে যাবে না। কেননা সকলেেত্র সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে নারীর জন্য এ সুযোগই থাকবে না।

এতে পুরুষের নিকট স্বীয় অধিকার দাবির পথ পুরোপুরিভাবে বন্ধ হযে যাবে। ফলে নারীকে ঠকানো সহজ হবে। যৌতুক নেয়া ইসলামে কঠোরভাবে হারাম। ইসলামী আইনমতে বিয়ের খরচ বহনের একক দায়িত্ব পুরুষকে দেয়া হয়েছে। সমান অধিকারের দাবিটা বাস্তবায়িত হয়েগেলে পরে বিয়ের ব্যাপারটাও অর্ধেক বর্তাবে অবলা নারীর কাঁেধ।

এভাবে নারী পুরুষ উভয়ের ব্যয়ের পরিমাণকে সমান ধার্য করে কৌশলে তারা যৌতুকের মতো অভিশাপকেও হালাল করে নেবে। মুখে মুখে ‘যৌতুক রুখো’ বললে কী হবে? চোরাপথের অনুপ্রবেশ ঠেকানোর শক্তি কারো থাকবেনা। আমাদের হাসি পায় তখন, যখন ষড়যন্ত্রকারীদের মিছিলের আগে তাদের স্বার্থসিদ্ধির ঢাল একশ্রেণীর মাতাল নারীকে সমান অধিকার চাই বলে লাফাতে দেখি। তারা খোদাপ্রদত্ত নারীর ‘ন্যায্য অধিকার’ চাই বলতে শিখে নি। এসব অজ্ঞ ও বোকা নারীকে বুঝাবে ইবা কে ! ওরা যে,নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুঠারাঘাত করছে।

ত্যাজ্য সম্পত্তির যেসব অংশ মহান আল্লাহ নিজে নির্ধারণ করে দিয়েছেন,সেগুলো তার অকাট্য ও অলঙ্গনীয় বিধান। এ ব্যাপারে কারো কোনো মন্তব্য করার অথবা কোনো অংশে কমবেশি করার কিঞ্চিৎ অধিকারও নেই। আল্লাহ নির্ধারিত অংশকে দ্বিধাহীন চিত্তে গ্রহণ করা প্রতিটি মানুষের কর্তব্য। স্রষ্টাপ্রদত্ত্ব প্রতিটি বিধানই চমৎকার রহস্য ও উপযোগিতার উপর ভিত্তিশীল। আমাদের উপকারের কোনো দিকই তার জ্ঞানের পরিধির বাইরে নয়।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্য ও বাস্তবতা অনুধাবনের তাওফিক দিন। লেখক: মুহাদ্দিস ও মুফতী, জামেয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথ,সিলেট । সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, সিলেট জেলা শাখা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।