mamun.press@gmail.com
আবদুল্লাহ আল-মামুন, ফেনী
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা যুবলীগের আভ্যন্তরীন কোন্দলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সম্প্রতি স্বাধীনতা দিবসের র্যালী ও আলোচনাসভা পন্ড করে দেয়ায় পরিস্থিতি এখন বেসামাল হয়ে পড়েছে। ছাত্রলীগ বনাম যুবলীগ নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাতে দু’গ্র“পের আধিপত্য লড়াইয়ের ময়দানে ব্যবসায়ীসহ সকল মহলে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় আছে। পুলিশ বলছে পরিস্থিতি এখন শান্ত।
কিন্ত এশান্ত পরিবেশ যদি প্রতিশোধ রুপ নেয় তাতে পরিস্থিতি পুলিশ সামাল দিতে পারবে কিনা সকল মহলে প্রশ্নবোধক হয়ে রয়েছে।
উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক নূর নবী হিরু ও যুগ্ম আহবায়ক নূরের ছাপা পলাশ জানান, উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে যুবলীগ কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনাসভা ও র্যালী বের করার আয়োজন করা হয় গত মঙ্গলবার বিকেলে। সম্পূর্ন পরিকল্পিতভাবে বিশেষ মহলের প্ররোচনা ও উস্কানীতে ছাত্রলীগের কতিপয় কর্মী অতর্কিতে হামলা চালিয়ে যুবলীগ অফিস, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি, চেয়ার, টেবিলসহ আসবাবপত্র তছনছ করে এবং যুবলীগের ৫জন নেতাকর্মীকে মারধর করে অনুষ্ঠান পন্ড করে দেয়। পুলিশকে খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দাঙ্গা পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিতে ৪ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি বর্ষন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।
যুবলীগের অনুষ্ঠানে যোগদান করতে আসা দুধমুখা বাজার হতে সূচনা পরিবহনটি দাগনভূঞার বসুরহাট রোডে এলে প্রতিপ গ্র“প গাড়ীটি ভাংচুর করে। প্রতিপরে হামলায় যুবলীগ নেতা রকি, রাজু, শিপলু, চৌধুরী ও জসিমসহ ৫জন আহত হয়। বাজার ব্যবসায়ীরা ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়।
এদিকে ছাত্রলীগের উপজেলা আহবায়ক নূরুল আবসার জানান, যুবলীগের আভ্যন্তরিন কোন্দলের কারনে এঘটনা ঘটেছে। যুবলীগ দাবী করে তাদের ভেতর কোন কোন্দল নেই।
বাজারে বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে বাজারে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ন স্থাপনায় পুলিশ পাহারায় রয়েছে। আওয়ামীলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতারা জানান, ঘটনাটি দলের জন্য অশনি সংকেত। জনকল্যানে রাজনীতির পরিবর্তে দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা কতিপয় স্বার্থাম্বেষী নব্য নেতা দাগনভূঞায় দলের ইমেজ নষ্ট করছে। সংগঠনের সাবেক নেতারা জানান, মুষ্টিমেয় কতিপয় ব্যক্তি কোন নেতার কর্মকান্ডকে বরদাশত করতে না পারা এবং নিজেদেও আধিপত্যকে বজায় রাখার জন্য ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে দলকে নির্বাসনে দেয়ার জন্যই অকারনে ঘটনা ঘটাচ্ছে।
দল মতায় আছে বিধায় দলের কিন ইমেজ সৃষ্টি করতে পারলে আগামীতে জনগনের আস্থা ফিরে পাবে। কিন্তু দাগনভূঞায় আওয়ামীলীগসহ অঙ্গসংগঠনের রাজনীতি চলছে রিমোট কন্ট্রোলে। দলের হাইকমান্ড ্দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে হয়তো আরো অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে তারা সংশয় প্রকাশ করেন।
দাগনভূঞা থানার ওসি শেখ লুৎফুর রহমান জানান, ঐদিন দু’পরে উত্তেজনা নিরসনের জন্য পুলিশ শর্টগানের গুলি বর্ষন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।