শাকিলা তুবা
কোলাহল তাকে টেনেছিল নির্জনতার মতো
মনুষ্যনির্মিত স্বর্গে গড়েছিল নিজস্ব বসতি,
যার পাদদেশ বয়ে যেত অমিয় স্রোতধারায়
চকমকি ঠুকে কৃত্রিম আগুন জ্বালাতে পেরেছিল সে,
কার্মান রেখায় ঢুকিয়ে দিত আস্ত একখানা বিমান
বায়ুমন্ডল বা স্থলবেষ্টিত সব পরিবেশেই সুখী
তাকে নিয়ে অহংকার করা গেলেও কবিতা হতো না।
সামনে দাঁড়ানো পাহাড়, পাহাড় বেয়ে উঠে আসা আদিমযুগ
দিল দীক্ষা; কি করে ফলাতে হয় জীবন, গাছে গাছে।
তার আঙ্গিনার মাচাং ভরে উঠল লাউ শিশুদের কলতানে
ঘাস ফড়িংয়ের আনাগোনায় রসাল হয়েছিল রসালো আরো
আকাশ হলো ঘরবাড়ি এবার, সমুদ্র শয্যা----
দ্বীপপুঞ্জ ছেয়ে উঠল সবুজে সবুজে,
বনভূমি নতমস্তিষ্কে জানায় কুর্ণিশ।
নিজেকে বদলে সে বারবার স্থাপনা গড়েছে সর্বত্র যতই
অন্তরীক্ষে, জলে, স্থলে---জীবন করেনি ক্ষমা,
সন্ন্যাস তাকে দিয়েছে সীমাহীন পরিতৃপ্তি, আদুরে জীবন-
তবু এখনো ভেতর থেকে আর্তনাদ তোলে একজন অনার্য কাঙ্গাল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।