নৌ-মন্ত্রণালয়ে নদী দখল ও গতিপথ স্বাভাবিক রাখতে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত টাক্সফোর্সের ২২তম সভায় অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআইডব্লিউটিএ এবং জেলা প্রশাসনকে এই নির্দেশ দেয়া হয়।
সভা শেষে নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, দেশের অনেক জায়গায় নদী দখলের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। দখল উচ্ছেদের প্রশ্নে আমাদের সিদ্ধান্ত শুধু উচ্ছেদ নয়, যারা নদী দখল করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে ফৌজদারী মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারি করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএ নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করবে আর জেলা প্রশাসন এক মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “বর্তমানকালে রাজাকার হলো যারা নদী দখল ও দূষণ করে তারা।
”
ঢাকা ওয়াসার যেসব সুয়ারেজ লাইন নদীর মধ্যে আছে সেগুলো বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান শাজাহান খান।
তিনি বলেন, যার যার বাড়িতে বা যেসব এলাকায় সুয়ারেজ লাইন নদীতে দেয়া আছে সেগুলো বন্ধ করে আলাদা ট্যাঙ্ক করতে সাত দিন সময় দেয়া হবে। নির্দেশনা না মানলে সুয়ারেজ লাইন বন্ধ করে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নদীর দখলদাররা প্রভাবশালী মহল স্বীকার করে নৌমন্ত্রী বলেন, আমাদের জনবল এবং যন্ত্রপাতির সীমাবন্ধতাও আছে। তবে যেসব নদী দখল হয়ে আছে তা চিহ্নিত করেছি।
এখন এগুলো দখলমুক্ত করাই আমাদের দায়িত্ব।
পটুয়াখালীর সাংসদ গোলাম মওলা রনি ওই এলাকার একটি নদী দখল করে মাটি ভরাট করেছেন এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “যেখানে তিনি (রনি) মাটি ভরাট করেছেন তা অপসারণ করতে পারিনি। তবে এর পরে এর এক ছটাক মাটিও সেখানে ফেলতে পারে নাই। ”
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ময়লা নদীতে ফেলা বন্ধ হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, সিটি করপোরেশনের প্রশাসককে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখবেন।
ঢাকার ৪৬টি খালের মধ্যে ১৩টি খালকে চিহ্নিত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আরো দুটি খালের পাশ থেকে অবৈধ দখলদারদর উচ্ছেদের জন্য সরকারের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।
মন্ত্রী বলেন, নদীর সীমানা পিলার নির্ধারণে কিছু অভিযোগ আছে। সেগুলোর সুরাহা করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছি। তারা পুনরায় জায়গা পরিমাপ করে সীমানা পিলার নির্ধারণ করবে।
হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি স্থানান্তর না করলে ট্যানারির মুখ বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান শাজাহান খান।
তিনি বলেন, হবিগঞ্জের মাধবপুরে সোনাই নদী ভরাট করে সায়হাম ফিউচার কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। ওই স্থাপনাটি বিআইডব্লিউটিএ-কে উচ্ছেদ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া পাবনার বড়াল নদীর একটি বাঁধ ভাঙা হবে কিনা সে বিষয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত কারিগরি কমিটির মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।