আলো অন্ধকারে যাই
আজকে সকালে প্রথম-আলোর প্রথম পাতায় খবরটা দেখে খুবি মেজাজ খারাপ লাগলো। 'শতাধিক গাড়ী ভাংচুর করে রিকশা বন্ধের প্রতিবাদ!!!' সাথে আবার একটা বাচ্চা মেয়ের ভয়ার্ত মুখের ছবি। বাচ্চাটা যেই গাড়ীতে ছিলো সেটা ভাংচুর হতে দেখে সে আতঙ্কিত এবং তার জন্য আমিও ব্যাথিত। কিন্তু আংশিক সত্য প্রকাশ কখনো বস্তুনীষ্ঠ সাংবাদিকতার অংশ হতে পারে না। আপনি গাড়ী চড়া মানুষের দূর্ভোগের কথা বললেন, পাব্লিক sympathay ও তৈরি করলেন কিন্তু এর বাইরে লক্ষ লক্ষ রিকশায় চড়া মানুষের অবর্ননীয় দূর্ভোগ পুরোপুরি চেপে গেলেন, একে কেবল হলুদ সাংবাদিকতাই বলা যায়।
চলতি মাসের শুরূর দিক থেকেই সরকার নতুন উদ্যমে রিক্সার পথ বন্ধ করা শুরু করলো। পোয়া কিলোমিটার পথ পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। এর জন্য দূর্ভোগটা হয়েছে কার? হয়েছে মধ্যবিত্ত মানুষের স্কুল পড়ুয়া সন্তানের, ৫ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা দিতে হওয়া ছাপোষা চাকুরের, রিকশাওয়ালার, সবচেয়ে করূনভাবে প্রতিবন্ধীদের। প্রথম-আলো এদের কথা বলার কোনো প্রয়োজন মনে করলোনা। আর যেই মাত্র, ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটলো এই ভাংচুরে, সাথে সাথে প্রথম-আলোর মায়াকান্নার ফোয়ারা ছুটলো।
আমরা সবাই জানি, ঢাকা শহরে অসহ্য জ্যামের জন্য রিকশা কতোটা দায়ী আর প্রাইভেট কার এর বহর কতোটা দায়ী। আমরা এও জানি, আমাদের অথর্ব সরকার কোনো কিছু ব্যাবস্থাপনা করতে না পারলে তা বন্ধ করে দেয়। সরকার মনে রাখে না, এইসব রিকশা চড়া মানুষের ভোটে সে ক্ষমতায় বসে। এই শহরের রাস্তা আমাদের ট্যাক্সের টাকায় তৈরি হয়। সরকার যা ইচ্ছা তাই করে, আর প্রথম-আলো করে তাবেদারি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।