একটি ভীষণ না থাকাকে সঙ্গে নিয়ে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাই
শুক্রবার, অফিস বন্ধ। বাসার নেট স্পিড স্লো বলে মার্ক ক্যাফেতে ঘন্টায় ২০ ডলার দিয়েই ফেসবুক ওপেন করলো। ৮৯ টা নোটিফিকেশন। ৩৭টা ফটো ট্যাগ, ১৪টা গ্রুপ জয়েন আর ৩৮ টা হাবিজাবি। ফটো ট্যাগগুলা দেখতে লাগলো সে।
"পাকি জিন্দাবাদ" নামে কোন এক সবুজ ছবিতে তাকে এক বাংলাদেশী কলিগ ট্যাগ করছে। আরেক বান্দর স্কুলবন্ধু তাকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সেই চ্যাংলা নায়কের ছবিতে ট্যাগ করছে। মুখে-মনে বিতৃষ্ণা নিয়ে সবগুলা আনট্যাগ করলো সে।
হঠাৎ মোজার গন্ধ নাকে যেতে পাশে তাকিয়ে দেখলো এক লোক লুঙি পড়ে পায়ের উপর পা তুলে সমানে ফেসবুকে সুন্দরী মেয়ে এড করে যাচ্ছে। মার্ক ওর দিকে তাকিয়ে আছে বুঝতে পেরে নিখিল দাস মার্ককে জিজ্ঞাসা করে বসলো, "পাকিস্তান না ভারত বাশ খাবে? শেখ হাসিনা না ইউনুস কার নোবেল পাওয়া উচিত? ডক্টর ইউনুস বাংগালী জাতিকে কি দিয়েছেন? কোন প্রাইভেট ভার্সিটি ভালো? নিখিল দাস কি ছেলে ভালো? আপনি কি ইংলিশ লিখতে অভ্র ব্যাবহার করেন?"
গন্ধওয়ালার এত প্রশ্নে সে অবাক হয়ে গেলো।
আরে আজব, গুগল থাকতে আমাকে এসব জিগায় কেন?! গাধা নাকি...কঠিন এক ঝাড়ি দিবে এমন সময় তার মাথায় ১০০ ওয়াটের সিএফএল বাল্ব জ্বলে উঠলো। হবে, এই গাধাগুলাকে দিয়েই হবে..
লাফ দিয়ে উঠে অফিসের দিকে দৌড়াতে শুরু করলো মার্ক। নতুন আইডিয়া মাথায় আসছে।
এদিকে ব্যাক্কলের মত নিখিল তাকিয়ে থাকলো "আনসোশ্যাল" মার্কের যাওয়ার পথের দিকে। সে ঘুনাক্ষরেও টের পেলো না ততক্ষনে তার আইডিয়া চুরি হয়ে বিলিয়ন ডলারের ব্যাবসায় মূলধনিত হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।