আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেই সব দিনগুলো



(এক) বিশাল পিচঢালা হাইওয়ে ছেড়ে যখন মেঠো পথে পা রাখি মনে হয় শরীরটা হাওয়ায় উড়ছে, একখন্ড তুলোর মত ভারহীন হয়ে যায়। চোখে পড়ে একটি শ্মশান, দূরে দাড়ানো সেই স্কুল, সেই পথ, সেই দীঘি আর শত বছরের পুরনো একটি বটগাছ। মনে হয় আমাকে ডাকছে ” আয় খোকা আয়”। সেই মাটির ঘ্রাণ নিতেই ছুটে যাই যান্ত্রিক জীবনের বুক চিরে চিরচেনা সেই পথে। আমার দুরন্ত কৈশোরের ছোট ছোট স্মৃতি খুঁজি পড়ে থাকা ধুলোর মাঝে।

স্কুল ভবনটা উপরের দিকে উঠতেই আছে, দীঘির পানিতেও টান ধরেছে, বটগাছটা এখনও আছে আগের মত। প্রতিবারই যখন পা রাখি সেই মেটো পথে হাটঁতে হাটঁতে থমকে দাড়ায় বিশাল বটগাছের নিচে। কিন্তু কি যেন নেই, কি যেন চুরি হয়ে গেছে, বুকের ভেতর ধক্ করে ওঠে । দুচোখ বেয়ে নোনতা একটা স্রোত টের পাই, আমি পিছু হাটি হাইওয়ের পাশে সেই শ্মশান বাড়ির দিকে। দৌড়ে গিয়ে দেখি আজ শ্মশানে কোন ফুল নেই, সারি সারি চিতা আর চিতা।

কয়টা জানি ছিল? ঠিক দশটা। নাহ , আমি গুনতে থাকি- এক , দুই. তিন... এগারোটা! শ্মশানে নতুন একটি চিতা ! কে মরল আবার? চিতায আজ ফুল নেই কেন? শেষ চিতাটার গায়ে লেখা ”দয়াল হরী”। আমি আবার হাটতে থাকি, এসে দাড়ায় বটগাছের নিচে। বটগাছের বিশাল শিকড়ে হাত বুলিয়ে নিই যেখানে দয়াল হরী বসে থাকত দিনের পর দিন। তার কোন ঘর ছিল না, কোন সংসার ছিল না, ক্ষুধা ছিল না, ছিল শুধু একটি কলম, একটি বাঁশি আর হাইওয়ের পাশে একটি শ্মশান বাড়ি।

সেই ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি সেই বটগাছ আর দয়াল হরী, সেই শশ্মান বাড়ি । প্রতিদিন দুবেলা ফুল কুড়াত দযাল হরী। সকাল আর সন্ধা। ফুলগুলো সাজিয়ে রাখত শশ্মানে। স্কুল মাঠে আরও দুটি ক্ষৃচূড়া আধিপত্য বিস্তার করেছে, ফুলের বাগানে ফুটে আছে অসংখ্যা ফুল ।

অথচ শ্মশানে কোন ফুল নেই আজ, বটগাছের নিচে বসে নেই দয়াল হরী। চারদিক কেমন ফাঁকা ফাঁকা। বটগাছটা একের একের পা ফেলে পালাতে চাইছে শ্মশানের দিকে। দয়াল হরী নেইতো বটগাছ এখানে বসে থাকবে কেন? প্রচণ্ড আক্রোশে বড় বড় পা ফেলে বটগাছটা ছুটতে চাইছে শ্মশানের দিকে যেখানে দয়াল হরী ঘুমিয়ে আছে । (দুই) এই খোকা শোন! কোন ক্লাসে পড়িস? ক্লাস সিক্স।

ভেরি গুড। বলতো- ’রাজাকারের বাচ্চা জুতা মারব আচছা’। আমরা শ্লোগান দিতে থাকি- ’ রাজাকারের বাচচা জুতা মারব আচ্ছা’। দয়াল হরী কলম হাতে বসে আছে। আমাদের খাতায় প্রতিদিন লেখা হয়ে যেত মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট।

দয়াল হরী জি¹েস করত- Your name please রঞ্জু। Father name ………….. What class do you read in? সিক্স, সেভেন, এইট... দয়াল হরী সার্টিফিকেট লিখত, মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট। মাসের শেষে ত্রিশটা সার্টিফিকেট আলাদা করে রাখতাম আমরা। মাঝে মাঝে ক্ষেপে যেত দয়াল হরী। get out , get lost ছেলেরা বুঝত দয়াল হরী কি চায়? ফুল কুড়াতে প্রতিযোগিতা লেগে যেত আমাদের মধ্যে।

ফুল এনে দিতাম দয়াল হরীর সামনে। মায়াবী হেসে দয়াল হরী বলত- ভেরি গুড় খোকা। দে খাতাটা দে। সার্টিফিকেট লিখে দি। কখনো কখনো ক্লাসে ঢুকতে দেরী হয়ে যেত সার্টিফিকেট নিতে গিয়ে।

স্যারের বকুনি থেকে বাঁচতে তখন দেখাতাম দয়াল হরীর সেই লেখাটা- ”খোকা একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে সত্রিুয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য খোকা স্কুলে দেরি করে ফেলেছে। তাকে মার্ঝনা করা হোক। সবার উপরে মা সত্যি তাহার উপরে নাই। ” মুক্তিযুদ্ধের হাইকমান্ডার দয়াল হরী।

লেখাটা স্যারকে দেখালেই উদাস হয়ে যেতেন তিনি। সেই সুযোগে আমরা গিয়ে বসতাম ক্লাসে। (তিন) একাত্তরের মে মাস। উত্তাল চারিদিক। আতংকের নাম পাক-বাহিনী আর তাদের দোসর এদেশের রাজাকার, আল বদররা।

হাইওয়ের পাশে একটি গ্রাম। বনপাড়া, মজুমদার পাড়া, জলদাস পাড়া, পালপাড়া। হিন্দু অধ্যুষিত একটি এলাকা। তার পাশে মুসলিম পাড়া। পাশাপাশি য্গু যুগ ধরে অব¯হান করে আসছে হিন্দু- মুসলমান।

কখনো মনে হয়নি ওরা আমাদের দূরের কেউ। প্রতিদিন কথা হয় দেখা হয়, কিন্তু হঠাৎ করেই ওরা আমাদের পর হয়ে গেল। এই দেশ মুসলিমদের , হিন্দুরা এখানে থাকবে কেন? ওদের দেশ হিন্দুস্তান, প্রতিবেশি দেশ ভারত। গ্রামে গ্রামে চলছে রাজাকার বাহিনীর তান্ডব। দূরের একটি ক্যাম্প থেকে মিলিটারিরা আসত রাস্তা কাপিঁয়ে।

মিলিটারীর ভয়ে টুপি পরে থাকত অনেক হিন্দু, দাড়িঁ রাখতে শুরু করেছে অনেকেই, অনেকেই কালেমা শিখে নিত। গ্রামের রাজকার বাহিনী সারাক্ষণ আতংকে রাখত ওদের, চালাত লুটপাট আর মেয়েদের নির্যাতন। সেই দীঘির পাড়ে কত যুবতি মেয়ের সম্ব্রম লুটেছে রাজাকার - আলবদর বাহিনী তার হিসাব মেলানো দায়। ভয় দেখাত হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার। মাঝে মাঝে হিন্দু পাড়ায় গিয়ে চিৎকার করে বলত- আসছে মিলিটারীরা, পালাও।

মুহুর্তেই শূন্য হয়ে যেত পুরো গ্রাম। রাজাকার বাহিনী চালাত লুটতরাজ। অথচ পাক হানাদার বাহিনী এই অঞ্ছলে আসত খুব কম। মিলিটারির ভয় দেখিয়ে হিন্দুদের উপর চালাত অমানুষিক নির্যাতন। কেউ কেউ চৌদ্দপুরুষের ভিটে মাটি ছেড়ে চলে গেছে ভারতে।

ওদের ভিটেমাটি দখল করে রাজাকার বাহিনী উল্লাসে মেতে উঠত। দয়াল হরীর বাড়ি ছিল বনপাড়ায়। ঘরে তার নতুন বউ। এমন যুদ্ধের সময়ও মানুষের জীবন যাত্রা থেমে নেই। দয়াল হরী বিয়ে করেছে ঢাক ডোল পিটিয়ে।

দুচোখে তার স্বপ্নের জাল বুনে। এই সেই গ্রাম যেখানে তার শৈশব আর কৈশোর কেটেছে, কেটেছে তার যৌবনের অনেকগুলো দিন। তাই তার ভয় ছিল না এই যুদ্ধের বাজারেও সুন্দর একটি স্বপ্ন দেখতে। কিন্তু হঠাৎ করেই পাল্টে গেল হাওয়া। চিরচেনা মানুষগুলোও কেমন অচেনা হয়ে গেল।

পাশের গ্রামের মোসলেম রাজাকার বাহিনী গড়েছে। দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে তাদের অত্যাচার। গ্রামের ধমীয় নেতারা তাদের পৃষ্টপোষক। পাকিস্তানের দোসর ওরা। অখন্ড পাকিস্তান রক্ষার দীপ্ত শপথ ওদের চোখে মুখে।

কেউ কেউ গোপনে যোগ দিচ্ছে মুক্তিবাহিনীতে। দেশমাতৃকাকে রক্ষা করতে রক্ত দিতেও প্রস্তুত তারা। মোসলেমের রাজাকার বাহিনী লুটতরাজ শুরু করেছে পুরো গ্রামে। প্রতি সন্ধেবেলা হাহাকার ওঠে হিন্দু পাড়ায়। আজ পালপাড়া জলছে তো কাল মজুমদার পাড়া।

জন্মভূমির মায়া ত্যাগ করে সবাই পালাচেছ প্রতিবেশী দেশ ভারতে। তেমনি একদিন রাতে হানা পড়ল দয়াল হরীর বাড়িতে। দয়াল হরীর সদ্য বিবাহিতা šত্রী আর দুই বোনকে তুলে নিল মোসলেম বাহিনী। তিনদিন অমানুষিক নির্যাতনের পর রাজাকাররা সেজুঁতিকে তুলে দেয় মিলিটারির হাতে । রক্তাত্ত অবস্তায় ফিরিয়ে দেয় দয়াল হরীর ছোট দুবোন কে।

পুরো হিন্দুপাড়া তখন শূন্য হয়ে গেছে। অপমানে দুঃখে সপরিবারে দেশ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। দয়াল হরীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। এই ঘরবাড়ি মায়ার বাধঁন তাদের ছাড়তেই হবে। মোসলেম বাহিনী হুমকি দিয়ে গেছে কালকের মধ্যে গ্রাম ছাড়তে হবে।

সহায় সম্বল যা ছিল গুছিয়ে নিয়েছে তারা। মাত্র আর একটা রাত। পরের দিন ছেড়ে যাবে চিরচেনা সেই ঘরবাড়ি, সেই পথ। দয়াল হরীর মনে জ্বলছে প্রতিশোধের আগুন। সেইদিন রাতে বাড়ি ছেড়ে মুক্তি বাহিনীতে যোগ দেয় দয়াল হরী।

সেই রাতেই হানা দেয় মোসলেম বাহিনী। বাইরে তালা লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয় পুরো বাড়ি। রাতের অনধকারে দাউ দাউ করে জ্বলছে দয়াল হরীর প্রিয়জন। দশ দশটা জীবন্ত মানুষ পুড়ে কয়লা হয়ে যায় সেই রাতে। মৃত্যুর সেই হাহাকার গগনবিদারী চিৎকারে এগিয়ে আসার কোন মানুষ ছিল না পুরো পাড়ায়।

হাইওয়ের পাশে ওদের বাড়িটা শ্মশানে পরিণত করল রাজাকার বাহিনী পাকিস্তানের দোসররা। (চার) যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। হাজারো মৃত্যুকে ছাপিয়ে বাংলার ঘরে ঘরে চলছে বিজয়ের আনন্দ। বিশ্বের মানচিত্রের বুক চিরে সদ্য জম্ম নেয়া বাংলাদেশ। দীর্ঘ নয় মাসের ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীনতা।

প্রতিবেশি দেশ ভারতে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীরা ফিরে আসছে পিতৃপূরুষের ভিটেমাটিতে। তারা ফিরে আসছে চিরচেনা মাটি ও মায়ের ঘ্রাণ নিতে। স্বজন হারানোর একবুক কষ্ট নিয়েও ওদের চোখেমুখে বিজয়ের আনন্দ। জলদাস পাড়ায় হরিপদের বাড়িতে প্রসব বেদনায় কাতরাচেছ এক কুমারী মা। হরিপদের আদরের ছোট বোনটা স্বাধীন বাংলার মুক্ত হাওয়ায় ছটফট করছে।

ঘৃণায় কুচঁকে আছে তার মুখ, রি রি করছে শরীরের প্রতিটি রোমকূপ। শতবার চেষ্টা করেও মরতে পারেনি শেফালী, ওর মত হাজারো মা বোনের লুন্ঠিত ইজ্জতের ফসল এই স্বাধীনতা। উত্তাল মার্চের দিন গুলো ফিরে আসছে আবার। একাত্তরের দুঃসহ দিনগুলো পেছনে ফেলে নতুন বছরের নতুন সূর্য বাংলার আকাশে। দেশ মুক্ত হয়েছে তিনমাস আগে।

বাঙালীর রক্ত ছল্কে ছ্ল্কে উড়ছে নতুন মার্চের হাওয়ায়। গত বছরের দুঃসহ স্মৃতি গুলো নতুন সূযের আলোয় মুছে দিতে চাইছে বাঙালি, শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে যাদের রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা। কিন্তু শেফালীর মনে শান্তি নেই। দুঃসহ যাতনার এক একটি প্রহর গুনছে শেফালী। দেশ স্বাধীন হয়েছে, যুদ্ধ থেমে গেছে অথচ শেফালী আজও পরাধীন ।

ওর শরীর এখনো স্বাধীন হয়নি পাক হানাদারের রক্ত থেকে। শেফালী স্বাধীনতা চায়। এখনো যুদ্ধ করে চলেছে স্বাধীনতার জন্য। মিলিটারী ক্যাম্পের দুঃসহ রাতগুলো এখনো পরাধীন রেখেছে শেফালীর জীবন। হানাদারের রক্ত শরীরে নিয়ে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছে মুক্তির জন্য।

শেফালী জানে সে ও একদিন মুক্ত হবে, মুক্ত হবে তার শরীর। কিন্তু প্রতিক্ষার দিন যেন শেষ হতে চায় না। বোবা কান্নায় গুমরে মরে শেফালী । ইচেছ করে ফেঁপে ওঠা পেটের মাঝখানে ছুরি চালিয়ে দিতে, ওর শরীরটাকে স্বাধীন করতে। বাহাত্তরের পহেলা মার্চ।

মাঝরাতে হরিপদের ঘরে দুটি জমজ শিশুর চিৎকার খান-খান করে দিল রাতের নিস্তব্দতা। শেফালী প্রাণপণ যুদ্ধ করছে নিজের সাথে। রক্তের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে বিছানা। নাহ্ শেফালী মরবে না। নিজেকে মুক্ত করার সময় এসেছে তার।

উন্মত্ত পাগলের মত শেফালী গলা টিপে নিস্তব্দ করে দিল দুটি শিশুর চিৎকার। সারা মুখে তৃপ্তির হাসি ছড়িয়ে পড়ল শেফালীর। সে আজ মুক্ত হয়েছে, মুক্ত হয়েছে তার শরীর। গলা টিপে সে হত্যা করেছে পাকিস্তানী হানাদারের রেখে যাওয়া দুই বংশধরকে। বিজয়ীনির হাসি শেফালীর মুখে।

আজ প্রথম শেফালীর শরীরে বইছে স্বাধীনতার মিষ্টি হাওয়া। সকালের মিষ্টি রোদে দুয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছে শেফালী। স্বাধীনতার জয়গান গেয়ে যাচ্ছে পথে পথে, বাংলার ঘরে ঘরে , মিছিলে মিছিলে। সব মানুষ আজ ঘরের বাইরে। বাংলার দামাল ছেলেরা ছুটছে পতাকা হাতে, গাইছে স্বাধীনতার গান।

আজ ২৬ মার্চ। স্বাধীনতা উৎসব চলছে বনপাড়া হাইস্কুল মাঠে। সকাল থেকেই ছেলে মেয়েরা দল বেধেঁ জড়ো হচ্ছে স্কুল মাঠে। পত্ -পত্ করে উড়ছে ন্বাধীন বাংলার পতাকা। হাইওয়ের পাশে পোড়া বাড়িতে উসকো-খুস্কো এক লোক।

মুখ ভর্তি লম্বা দাড়ি আর মাথায় একটি লাল সবুজের পতাকা। শ্মশান হয়ে যাওয়া বাড়ির গন্ধ শুকছে লোকটা। একমুঠো মাঠি নিয়ে কপালে ঘসছে সে। এই সে ঘর যেখানে জীবনের দীর্ঘ ২৮ টি বছর কাটিয়েছে সে। শৈশব- কৈশোর আর যৌবনের ফেলে যাওয়া র্র্স্মৃতি খুজঁতে ফিরে এসেছে দয়াল হরী।

খুজঁছে সেই রাতে ফেলে যাওয়া বাবা-মা , ভাই-বোনের ছাঁই হযে যাওয়া দেহাবশেষ। এই সেই মাটি আজ স্বাধীন হয়েছে যদিও বাড়ির আঙিনায় ধুলোর সাথে মিশে আছে তার প্রিয়জন। নির্বাক হয়ে যাওয়া দয়াল হরী উঠোনের মাটি নিয়ে বুকে ছোয়াঁয়, ছোঁয়ায় তার কপালে। সারি করে দশটি চিতা বানায় সে। চিতাগুলো ঘেরা দিয়ে রাখে বাশেঁর বেড়া দিয়ে আর স্বজন হারা দয়াল হরী আশ্রয় নেয় বটগাছের তলায়।

দুবেলা ফুল কুড়িয়ে রেখে আসত প্রিয়জনদের চিতায়। সময়ের সাথে সাথে কেটে গেছে অনেকগুলো বছর। শ্মশানে চিতার সংখ্যা বেড়েছে একটা। সেই দয়াল হরী আজ আর নেই। নিঃসঙ্গ বটগাছটা লম্বা লম্বা পা ফেলে ছুটছে শ্মশানের দিকে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।