আমি এবং আরণ্যক ছাইরংয়া বধ্যভূমিতে দাড়িয়ে দেখছি শেষ সূর্যাস্ত
গোলাপ হাতে একজন আততায়ীকে দেখলাম
চৈত্রের কড়া রোদে হেঁটে যেতে,
উদোর ভর্তি করে বিষাক্ত সীসা আকন্ঠ গিলে
সে ক্ষুধা থেকে পরিত্রাণ চেয়েছিলো বলে আমি তাকে
দাঁড় করাতে ইচ্ছুক নই অনর্থক বিচারের কাঠগড়ায়;
কারণ আমি এতে কোন অপরাধ দেখিনা,
যেমনটি দেখিনা যদি কেউ লাবন্য পোড়াতে পারে
রাশি রাশি নোনতা কাগজের স্তুপে,
তাই যদি হয়, তবে জয়তু টিকি দাড়ির ধার্মিকদের
যারা বলে বিষকে অমৃত ভেবে গ্রহন করে
বাঁচতে পারলে তবেই সিদ্ধি হয় তপস্যার।
সদ্য বাজার করে ফেরা গৃহিনীর প্যাকেট থেকে
কয়েকটা আপেল গড়িয়ে যায় রাস্তার চৌদিকে,
সাথে সাথে বাঁজপাখির মতো ছুটে আসে
কয়েক ক্ষুধার্ত সবুজ চোখ,
আমি মেলাতে পারিনা একের পর এক
দৃশ্যের ক্রমান্বয়িক উপরিপাতন,
শুধু মনে হয় রোদগুলো এমন তীব্র কেন?
ঘামসর্বস্ব মানুষগুলোর শরীরে বরফ কলের মতো
গুটিকয়েক স্নায়ুর উপস্থিতিটা কি অন্যায় ?
গোলাপ হাতের সেই হিংস্র মানুষটির কপাল বেয়ে
নেমে আসে ক্ষনস্থায়ী পরাভবের শেষ ফোঁটাগুলো,
আমি বুঝিনা গোলাপ হাতে কিভাবে মানুষ হত্যা করা যায়?
অহেতুক নাস্তিক বলে কেউ যদি আমাকে সমাজ বিচ্যুত করে
তাহলে আমি তার বিরুদ্ধে কোন বিচার চাইবো না,
যেমনটি চাইবোনা যদি আমার প্রিয়তমার ওষ্ঠে
খুঁজে পাই আমারই ঘনিষ্ঠ বন্ধুর দংশনের চিন্থ,
কেননা আমরা কেউই বৃত্তের বাইরে নই,
কেন্দ্র থেকে নির্গত লাভার কোনই দায়বদ্ধতা নেই স্বজনপ্রীতির;
এতো অনুভব, স্বৈরাচারী বোধের এতো বেশি ছোটাছুটি,
সন্ধ্যার টিম টিম হ্যাঁচাক আলোতে কেবলই হোঁচট খায়,
ধুলোর সাথে বাতাসের মিথস্ক্রিয়ায় দৃশ্যপট বদলে গেলে
অবিশ্বাসী উত্তরটা আমার সাথে করে শেষ বোঝাপড়া;
গোলাপ হাতের আততায়ীকে এখনো হাঁটতে দেখি
তবে আগের চেয়ে অনেক শ্লথ গতিতে;
তার হাতে ধরা টকটকে গোলাপের চোখে চোখ রেখে
বিশ্বাস করতে শুরু করি মানুষ হত্যা করবার জন্য
গোলাপের চেয়ে ভয়াবহ কোন অস্ত্র নেই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।