যে কথা সাংবাদিকদের সামনে বলেন সে কথা আদালতের সামনে কেনও বলেন না? আদালতে কি সাংবাদিক ভাইরা থাকেন না? সামরিক আদালতে তাহেরের গোপন বিচার নিয়ে উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছে, সেটাই তো চূড়ান্ত রায় নয়। এর বিরুদ্ধে আপীল করা যায়। রায় এর বিরুদ্ধে আপীল কেনও করছেন না মির্জা ফকরুল সাহেব? ইমানে যদি জোর থাকে, শহীদ জিয়ার যদি এক নিষ্ঠ অনুসারী হোন তবে কেনও আদালতে না গিয়ে রাজপথে বিষয়টিকে টেনে আনছেন? আদালতের দরজা তো চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়নি। ক্ষমতায় থাকাকালে আপনারা তাহেরের গোপন বিচারের সকল নথি গায়েব করে দিয়েছেন। যে বিচারে তাহেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন তা দণ্ড ঘোষণার আগেই করে ফেলেছেন।
শোনা যায় যে ধারায় তাহেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিলো , সে ধারায় মৃত্যুদণ্ডের কোনো বিধান ছিলো না। তাহের কে হত্যা করার জন্য আইনের ধারা সংশোধন করেন এবং সেটা করে তাহেরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর। এরকম বড় বড় এলিগেশন এর জবাব কেনও আপনারা সাংবাদিকদের দিচ্ছেন না? আপনাদের বহু জিয়াসৈনিক সুপ্রিম কোর্টে প্রতিদিন হাজার হাজার মামলা লড়ছে। এই মামলার জবাব নিশ্চয় আপনাদের কাছে আছে। ভয় কীসের? জিয়া ছিলেন একজন সামরিক শাসক ।
যিনি তৎকালীন সময়ে বিদ্যমান সেনা আইন ভঙ্গ করে দেশের রাজনৈতিক গদি দখল করে নব্য বাকশাল কায়েম করেছিলেন। তিনি বাকশাল থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন বলে যে কল্পকাহিনী শোনান তা দিয়ে কী বহু মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারের মৃত্যুদণ্ডকে জায়েজ করতে চান? কতিপয় স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতিতে যুক্ত করে গণতন্ত্রিক রাজনীতি হয়না। স্বাধীন বাংলাদেশে তখন কায়েম হয়েছিলো পাকিস্তান পন্থী উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। যার ধারাবাহিকতায় এসেছিলো এরশাদের মতো লম্পট স্বৈরাচার সামরিক শাসক। দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পায়নি।
আজও দেশে গণতন্ত্র কায়েম হয়নি। সুতরাং আপনাদের মিথ্যা বাগাড়ম্বর করা উচিত নয়।
এর বেশি কিছু আমি বলতে চাই না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।