আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুই দলের কামড়াকামড়িতে যারা অতিষ্ঠ তাদের জন্য (হার্ডকোর ছাগু ও হনুদের প্রবেশ নিষেধ)

ভিন্ন মতাদর্শ নিয়ে আর যাই হউক এই দেশের কাঠালপাতা খাদকদের কিছু বুঝানোর চেষ্টা করা ভুলেও উচিত নাহ!!! ১৯৯১-১৯৯৬ সালে বিএনপি আবার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ আবারও ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি আর সর্বশেষ ২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ সরকার আমাদেরকে শাসনের নামে শোষণ করেছে। আর দুই দলের চুল টানাটানি খেলার ফলাফল ছিল ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পেছনে সেনাশাসন। সেসময় উপদেষ্টাদের মুখে হাজারও কথার মধ্যে একটি কথা আমার মন কেড়ে নিয়েছিল তা হচ্ছে "রাজনীতির গুনগত পরিবর্তন"। আর আজ প্রায় ৫ বছর পরে রাজনীতির গুনগত পরিবর্তন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে দেশবাসী অবগত আছেন। প্রতিশ্রুতির ফুলঝড়ি থেকে আজও গাঁদা ফুলের পাপড়ির মত প্রতিশ্রুতি ঝরছে।

মিডিয়া তার পবিত্র দায়িত্বদের আড়ালে আজ একচোখা সংবাদ প্রসব করছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে পুঁজি করে তারা আজ কাটতি বাড়াতে ব্যস্ত। একদল সরকারকে তেল মারতে ব্যস্ত আরেকদল তালকে তিল বানিয়ে আর মনের মাধুরী মিশিয়ে সংবাদ প্রচারে ব্যস্ত। সরকারের হুমকি ধামকিতেও তারা ভয় পায়না। ভাবটা এমন যে "কি করবি কর, জেল আর ফিজিক্যাল টর্চার তো ছাড়া আর কি করবি।

জেল দিলে দে, সরকার বদল তো হবেই, তখন দেখাবো কত ধানে কত চাল। " আরেকদল মানুষ চাচ্ছে দেশে গৃহযুদ্ধ লাগুক। এই দলের মানুষরা বুকে হাত রেখে বলতে পারবে না তারা দেশের কোন ভালোর জন্য গৃহযুদ্ধ প্রত্যাশা করছে। তারা গৃহযুদ্ধের সুযোগে সাধারন মানুষের বাড়িঘর লুটপাট করে পকেট ভারি আর রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার তালে আছে। আরও একদল আছে যারা ফেবু আর ব্লগে খালি গুজব রটাতে ব্যস্ত।

চিন্তা করে দেখতে চায়না সেনাশাসনের ক্ষতিকর ও ভয়ঙ্কর দিক। এখন পর্যন্ত আমার সব কথাই সকল শ্রেণীর মানুষদের ভাল লেগেছে। কিন্তু এখন যা বলব তা হয়ত সবার ভাল নাও লাগতে পারে। ভেদাভেদের শুরু এখানেই। "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সবাই চায়, কিন্তু রাজনৈতিক গুনগত মানের পরিবর্তন কেউ চায়না।

এই একটি ইস্যু যা নিয়ে গত কয়েক মাসে অনেক কাঁদা ছুড়াছুড়ি হয়েছে। গণজাগরণ মঞ্চের আজ এক মাস হতে চলছে। প্রধান প্রধান দাবিগুলোর কয়টি বাস্তবায়ন হয়েছে বলতে পারেন? সংসদে আইন বদলে ফেলতে পারেন ৭ দিনের মাথায় আর জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারেন না ৩০ দিনেও? হায়রে রাজনীতি!!!" "যারা গণজাগরণ মঞ্চের এই আন্দোলনকে অরাজনৈতিক আন্দোলন বলে মুখে ফেনা তুলেন তাদের কাছে অনুরুধ রইল দয়াকরে কি আপনারা বিএনপি আওয়ামীলীগের বাইরে গিয়ে নতুন একটি তৃতীয় শক্তি হিসেবে আসতে পারবেন না? যেটি হবে শুধুই তরুনদের দল, তরুণদের সাথে জয়গান গাইতে তখন দেশের ১৬ কোটি মানুষ যোগ দিবে। যোগ দিবেনা শুধু কিছু মানসিক বিকারগ্রস্ত কিছু রাজনীতিবিদ যারা আজকে আপনাদেরকে পুলিশ প্রটেকশন আর বিরিয়ানির প্যাকেট দিচ্ছে। তারা যদি দেখে আপনারা তৃতীয় শক্তি হিসেবে আবির্ভাব হতে চেষ্টা করছেন তাহলেই দেখবেন পুলিশ প্রটেকশন রূপান্তরিত হয়ে যাবে পিতলের বুলেট আর বিরিয়ানির প্যাকেটের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে টিয়ার গ্যাস, গ্রেফতার আর গুমের মত নিকৃষ্ট কিছু জিনিস যা আন্দোলন দমাতে কার্যকরী ওষুধ হিসেবে যুগ যুগ থেকে ব্যাবহার হয়ে আসছে।

কিন্তু এই তরুনেরাই পারে বর্তমান বাংলাদেশকে এই দুই দল আর প্রতিশ্রুতির ফুলঝড়ির হাত থেকে বাঁচাতে" আরও কিছু লিখতে মন চাইছে, কিন্তু পরীক্ষার কারণে আর এগুতে পারছিনা। সতর্কতাঃ কেউ অসংযত আচরন করলে আমি বিনা দ্বিধায় ব্যান করতে বাধ্য হব। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।