আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জীন থেরাপী

প্রবাসী

জীন থেরাপী থেরাপী মানে হল চিকিতসা তবে জীন থেরাপী মানে কিন্তু জীন বা ভুতে ধরার চিকিতসা নয়। জীন কি? আমাদের বংশানুক্রমিক চারিত্রিক বৈশিষ্টের নিয়ন্ত্রক হল জীন। কোষের কেন্দ্র হল নিউক্লিয়াস। এই নিউক্লিয়াসে থাকে ক্রোমোজোম। ডি এন এ বা ডিওক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড দিয়ে সমস্ত ক্রোমোজোম তৈরী।

ক্রোমোজ়মের একটা নির্দিষ্ট একক অংশকে বলা হয় জীন। এই রকম লক্ষ কোটি জীন দিয়ে আমাদের ২৩ জোড়া শারীরীক এবং আরো এক জোড়া সেক্স ক্রোমোজোম তৈরী। জীন গুলো তৈরী করে প্রোটিন যা কোষ তথা শরীরের সমস্ত কাজকে নিয়ন্ত্রন করে থাকে। এখন এই জীন গুলো যদি প্রোটিন ঠিক মত তৈরী না করে তাহলে দেখা দেয় নানান রোগ বালাই নানা বিপত্তি। জীনের বিপত্তির কারনের এই রোগ গুলোই হল জেনেটিক ডিজিজ।

জীনের বিপত্তির ধরনঃ- • অনুপস্থিত জীন , অংশবিশেষ বা সম্পুর্ন ভাবে। • পরিবর্তিত জীন। • অতিরিক্ত জীন। কারনঃ-  জন্মগতভাবে  পরিবেশঃ- যেমন ভাইরাস, বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, বিকিরন রশ্মি ইত্যাদি।  জেনেটিক রোগ;- অধিকাংশ রোগেই জীনের ভুমিকা সর্বজন স্বীকৃত।

যেমন ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস, বাত রোগ ইত্যাদি। তবে শুধু মাত্র জীনের বিপত্তির কারনে ঘটা রোগ গুলোর সংখ্যা বেশি নয়। রোগ গুলো সাধারনতঃ চোখেও পড়ে কম তবে গুরুত্বপুর্ন এই কারনে যে এ গুলোর সন্তোষজনক চিকিৎসা নেই এবং জীন থেরাপী এই সমস্ত রোগের চিকিৎসার নতুন সম্ভাবনা। আগে তো জানাই ছিল না কোন জীনের বিপত্তির কারনে কি রোগ হতে পারে। বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে আজ অনেক জট খুলছে।

নীচের গুলো অল্প কিছূ সাধারন জেনেটিক রোগের নামঃ- • স্নায়ুতন্ত্রের রোগঃ- পারকিন্সন’স ডিজিজ, আলঝেইমার রোগ • রক্ত রোগঃ- হিমোফিলিয়া, সিকেল সেল ডিজিজ। • মাংশপেশীর রোগঃ- মাস্কুলার ডিস্ট্রফী। • টিউমারঃ- নিউরোফাইব্রোম্যাটোসিস • ডাউন সিন্ড্রোম ন্যানোটেকনোলজি প্রযুক্তির মাধ্যমে জীনের পরিবর্তন পরিবর্ধন করে অনেক রোগের সমস্যার সমাধান হচ্ছে। উদাহরন স্বরুপ বলা যায় অল্প কিছুদিন আগ পর্যন্ত ডায়াবেটিস চিকিতসার ঔষধ ইন্সুলিন তৈরী হত শুয়োর থেকে। আজ জ়েনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রয়োগ করে উন্নত মানের ইনসুলিন তৈরী হচ্ছে ই কলাই নামক ব্যাক্টেরিয়া থেকে।

জীন থেরাপীতে ক্ষতিগ্রস্থ বা অনুপস্থিত জীনকে সারিয়ে তোলার মাধ্যমে রোগের চিকিতসার চেস্টা চলছে। এখনো সফলতা সীমিত। পরীক্ষা নীরিক্ষা চলছে। এই ধরনের চিকিতসা পদ্ধতি আজ ও অনুমোদিত নয়। তবে এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় সফলতা আসবেই।

নিরাপদ ভাবে জেনেটিক ডিজিজের চিকিতসা সম্ভব হবে এবং উপকৃত হবেন রোগীরা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।