আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেই বিভৎস জঘন্য পুরানো দৃশ্যগুলো আবার দেখতে হবে : মার্কিন স্বার্থের আরেকটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়তো লিবিয়ায় দেখতে যাচ্ছি



গাদ্দাফি তার দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চায় জানি না। ক্রমে ক্রমে তার ঔদ্ধত্য সীমা ছাড়িয়ে যায়। লিবিয়ার জনগণকে সে মানুষ হিসেবেই গণ্য করেনি। জাতিসংঘের হামলা ঘোষণার আগে সে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্রোহীদের খুঁজে বের করার হুমকি দেয়। নিজের দেশের জনগণের প্রতি বর্বর ভাবে ঝাপিয়ে পড়ে।

একটি গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায় চূড়ান্ত ভাবে গাদ্দাফি। অথচ এগগুয়েমি পরিহার করতে পারলে দেশটিকে সম্ভাব্য ইরাক আফগানিস্তান বানানোর হাত থেকে রক্ষা করা যেত। আমরা মার্কিন স্বার্থের আরেকটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়তো লিবিয়ায় দেখতে যাচ্ছি। এই সুযোগ তাদের গাদ্দাফিরই করে দেয়। লিবিয়ার তেলের প্রতি বহুদিনের লোলুপ দৃষ্টি ছিল মার্কিনীদের।

চল্লিশ বছরের শাসক গাদ্দাফির প্রতিও আক্রোশ ছিল তাদের অনেক আগ থেকেই। গাদ্দাফি নিজের দেশ ও জনগণকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সক্ষম হতো যদি জনগণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতো এবং নিরীহ লিবিয়াবাসীর প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধ ও হত্যাযজ্ঞ না চালাতো। এখন স্পষ্টত মওকা করে দেয়া হলো পশ্চিমা শক্তির হামলার পথকে। জাতিসংঘকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করেই ত্বরিৎ গতিতে কালক্ষেপণ না করেই ঝাপিয়ে পড়ে বিমান হামলা চালায়। ইরাক, আফগানিস্তারে মতো সেই বিভৎস জঘন্য পুরানো দৃশ্যগুলো আবার দেখতে হবে বিশ্ববাসীকে।

এর লাগাম যদি গাদ্দাফির মতোই না টেনে রাখা যায় তাহলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। আমেরিকা সব জায়গাতেই তাদের স্বার্থের বাইরে কোনো কথা বলে না এটাই সত্য। ইরানে গণতান্ত্রিক পন্থায় সরকার নির্বাচিত হলেও সেখানেও উস্কানি দেয়া হচ্ছে প্রকাশ্যে সরকার উৎখাতের জন্য। মিশরের জনগণের দাবিকে অনেক পরে তারা মেনে নিয়েছিল কৌশলে। তাদের দৃষ্টি মুসলিম বিশ্বের প্রতি।

কোথাও তারা ইসলামের জাগরণকে জাগ্রত দেখতে চায় না। সর্বত্র তারা চায় তাবেদার শাসক। এজন্য তারা স্থানে স্থানে একেক রকম নীতি গ্রহণ করে থাকে। সুদানকে সুকৌশলে বিভক্ত করার চক্রান্ত চূড়ান্ত করে ফেলে। দুর্ভাগ্য, মুসলমানরা এখনো নিজেদের সেভাবে শক্তিশালী ও গ্রহণীয় করে গড়ে তুলতে পারেনি।

ফলে বারবার নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনে। নিজেদের ধ্বংসের পথ নিজেরাই তৈরি করে। আর স্বৈশাসকরা নিজেদের স্বার্থে মার্কিন পশ্চিমাদের তাবেদারী করে ও নিজেদের জনগণকে গিনিপিগ বানিয়ে ফায়দা হাসিল করে। আমরা এখনো এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি বলেই আরেকটি লিবিয়া নামক ধ্বংসস্তূপ দেখতে যাচ্ছি। সেই সমৃদ্ধি আর গৌরব লিবিয়াকে এখন শুধু বিস্মৃতির অন্তরালে নিয়ে যাবে।

যুক্ত হবে আফগানিস্তান ইরাকে পাশে আরেকটি নাম লিবিয়া। লিবিয়ায় জাতিসংঘের সাইনবোর্ডে হামলা চলছে। বিভিন্ন দেশ এতে যুক্ত হচ্ছে নিজেদের স্বার্থেই। যতদ্রুত এই হামলার অবসান হবে ততই ভালো। লিবিয়ার তেল, সম্পদের দিকে মার্কিন নজর ও স্বার্থ যাতে লিবিয়া লুণ্ঠন না ঘটায় বিশ্বাবাসীকে সে দিকেও সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।

জানমাল ও সম্পদের যাতে কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে দিকে যেন জাতিসংঘ তার নজরদারী বজায় রাখে। লিবিয়ার সঙ্কটের যতদ্রুত অবসান ঘটবে ততই ভালো। আমরা সেটাই চাই। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ এক বিশ্ব। সংযুক্ত মার্কিন ফাঁদে সুদান Click This Link


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।