আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ ওরাওঁ আদিবাসীদের ফাগুয়া উৎসব



বসন্তের রঙ আর রূপের আলোকচ্ছটা চারদিকে। নানা রঙ মেখে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সাজে। ফুলে ফুলে ছেয়েছে বিটপি। আড়ালে-আবডালে পাখির কুজন। থেমে থেমে কোকিলের কুহু-কুহু।

কোথাও ঝড়া পাতার মড়মড়ে শব্দ। আবার কোথাও ‘আঁচল উড়ানো’ এলোমেলো বাতাস। সব মিলিয়ে বসন্তের ছোঁয়ায় প্রকৃতিতে গড়িয়ে পড়া সৌন্দর্যে মন মাতিয়ে যায়। এমন দিনেই ওরাওঁ স¤প্রদায়ের আদিবাসীরা শুরু করলো তাদের নতুন বছর। দোল পূর্নিমা তথা ফাল্গুন মাসের পূর্নিমার পরদিন থেকে তারা গণনা শুরু করে নতুন বছরের।

সে হিসেবে আজ রোববার থেকে শুরু হচ্ছে তাদের নতুন বছর। বর্ষশুরুর দিনটিকে তারা নাম দিয়েছে ‘ফাগুয়া’। এই ফাগুয়া উৎসবকে ঘিরেই ‘একটা বিকাল’ মেতে উঠবে বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার রাজবাড়ী গ্রাম। গত আট বছর ধরে বিরতিহীনভাবে এখানে উ’যাপন করা হচ্ছে ফাগুয়া উৎসব। ফাগুয়া মূলতঃ ওরাওঁ আদিবাসীদের উৎসব।

কিন্তু প্রতি বছরই হলেও সাঁওতাল মুন্ডা, পাহান, মাহালী, মাহাতো, মালপাহাড়িয়াসহ অন্যান্য ুদ্র আদিবাসী জাতিসত্তার আদিবাসীরাও এ উৎসবে অংশ গ্রহন করে। তাদের উপস্থিতিতে আদিবাসীদের সৌহার্দ-স¤প্রীতির মিলন মেলায় পরিণত হয়। ফাগুয়া উৎসব উপলে যেসব কর্মসূচি গ্রহন করা হয় তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে তীর নিপে প্রতিযোগিতা, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, ফাগুয়া পূজা, আদিবাসীদের নাচ-গান, ওরাওঁদের সাদরি ভাষার নাটক মঞ্চস্থ ও আলোচনা সভা। গত চার বছর ধরে দিলু ভাইয়ে (প্রথম আলো, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিজস্ব প্রতিবেদক) সঙ্গে আমি নিয়মিতই যায় ফাগুয়া উৎসবে। সেখানে না গেলে বোঝাই উপায় নেই- আদিবাসীদের সংস্কৃতি কতটা সমৃদ্ধ।

লাল পেড়ে হলুদ শাড়ি পড়ে কলস নৃত্যসহ আদিবাসীদের ঐহিত্যবাহী অন্যান্য নাচ-গান দেখে মনে হয়, ষোলআনা বাঙালীআনা এখানেই। ২ টার পর রওনা দিব। ফিরতে অনেক রাত হয়ে যাবে। কাল জানাব- কী দেখলাম, দিব ছবিও।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।