আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক কিংবদন্তির অভিষেক-মুহূর্ত

জুলাই মাসটা ব্রাজিলীয়রা সব সময় মনে করে বিশেষ এক কারণে। এই মাসেই যে অভিষেক হয়েছিল ব্রাজিলীয় ফুটবল-সম্রাট পেলের। মাত্র ১৬ বছর বয়সে রিও ডি জেনিরোর মারাকানার মঞ্চে পেলে তাঁর অভিষেকের ক্ষণটি স্মরণীয় করে রেখেছেন নিজের ক্যারিশমাতেই। তিনি সেদিন সারা বিশ্বকে শুনিয়েছিলেন এক কিংবদন্তির আগমনবার্তা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেই ম্যাচে মারাকানার লাখো দর্শক সেদিন অবাক বিস্ময়ে অবলোকন করেছিল এই ঐশ্বরিক প্রতিভার বর্ণিল ঝলক।


সালটা ১৯৫৭। সময়টা ছিল ব্রাজিলীয় ফুটবলের এক অস্থির সময়। ফুটবলপাগল ব্রাজিলীয়রা তখনো বয়ে বেড়াচ্ছে সাত বছর আগের ‘মারাকানা ট্র্যাজেডি’র বেদনা। ১৯৫০ সালে নিজ মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে সেই দুঃখজনক পরাজয় তখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল ব্রাজিলীয় ফুটবলকে। বিশ্বকাপ জয়ের তীব্র বাসনায় গোটা ব্রাজিল তখন উন্মত্ত।

১৯৫০-এর ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই ’৫৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ‘ব্যাটেল অব বার্ন’-এ হাঙ্গেরির কাছে পরাজয় তাদের দুঃখগাথা বাড়িয়ে দিয়েছিল আরও। ’৫৫-তে ব্রাজিলের হয়ে অভিষেক হলো দুরন্ত উইঙ্গার গারিঞ্চার। কিন্তু ব্রাজিলীয়রা যেন তখনো হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে আরও কার্যকর এক অস্ত্র, যে অস্ত্রে প্রতিশোধ মিলবে পর পর দুটো বিশ্বকাপের জ্বালা-যন্ত্রণার।
’৫৭-এর জুলাইয়ে পেলে নামের ১৬ বছরের ‘অস্ত্র’টি পেয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। জাতীয় দলে অভিষেকের আগে ক্লাব সান্তোসের হয়ে পেলে নজর কেড়েছিলেন সবার।

ব্রাজিলের জার্সি গায়ে অভিষেকের ১০ মাস আগে সান্তোসের হয়ে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক ছিল তাঁর। সাও পাওলো স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপে হয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। বয়সটা ১৬ হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেলেকে অভিষিক্ত না করানোর কোনো কারণ ওই সময় খুঁজে পাননি ব্রাজিলীয় ফুটবল নির্বাচকেরা। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।