অনেক দিন পর ব্লগ লিখতে বসলাম। আমার যে একটা ব্লগ একাউন্ট আছে কিভাবে যে বেমালুম ভুলে গেলাম…। । যদি ও আমি জাদরেল ধরনের ব্লগার নই…তবুও বাংলা লেখার চর্চা করা আরকি……বানান ভুলের বেসাতি এবং স্নেহভাজন কাউকে ব্লগ লিখতে অনুপ্রানিত করার অপচেষ্টা।
ভাবছিলাম কি নিয়ে লেখা যায় তখন মনে হল গত দু দিনে আভিজ্ঞতা কেননা সবার সাথে শেয়ার করি।
চাকরির সুবাদে আমাকে আজকাল প্রায় ই “নদী নালা খাল এই পেরিয়ে বরিশাল” যেতে হয়। আমার পরিবার তথা আমার গৃহ মন্ত্রনালয় এর এতে বেপক আপত্তি। কেননা ততাকথিত “কাছে থাকুন গ্রামীনফোন” স্লোগান টিকে স্মমুনত রাখতে আমার এই পরিবার তথা আমার গৃহ মন্ত্রনালয় থেকে দূরে থাকা। অনেকে কে ভাব্বে আমি গ্রামীনফোন এ কর্মরত কিন্তু না তা আমি নই তবে পরক্ষ ভাবে এবং ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত
আমাদের প্রতিষ্ঠান টির ওপর দায়িত্ত বরতেছে বৃহত্তর বরিশাল ,ভো্লা, পটুয়াখালি এবং বৃহত্তর ফরিদপুর তথা বারিশাল বিভাগ এ গ্রামীনফোন এর বিটিএস গুলো তে বিদ্দূৎ নিশ্চিত করা যাতে সবাই কাছে থাকে আমি ব্যাতিত।
গত ১৫ তারিখ থেকে গ্রামীনফোন এর বিভাগীয় কর্তা ব্যক্তিদের সাথে লাগাতার মিটিং এর ধারাবাহিকতায় আমি বরিশাল ও পটুয়াখালির পর গিয়ে পোউছি ভোলা জ়েলায়।
সারাদিন এর কর্ম ব্যস্ততার পর বরিশাল ফিরতেছিলাম মাত্র ১৫ মিনিটের জন্যে শেষ লঞ্চ টা ধরতে না পেরে ভেদরিয়া ঘাটে বসে আছি কিভাবে আসব স্পিড বোটে আসতে গেলে গলা কাটবে নিশ্চিত তাই কিংকর্তব্যবিমুর হয়ে গরুর দুধের চা খচ্ছিলাম আমি আর আমার দুই সহযোগী। হঠাৎ এক মাছ ব্যবসায়ী এসে বল্লো একটা ট্রলার যাবে ভেদরিয়া থেকে লাহারহাট ঘাটে কিছু না ভেবে লাফ দিয়ে চরে বসলাম মাঝারি দৈর্ঘের ট্রলার টায় আমরা সহ আর তিন জন ও এক চাঙ্গারি মাছ নিয়ে রওনা হল আমাদের ট্রলার, আকাশে চাঁদ সারা নদী চক চক করছে চাঁদের আলোয় অনেক টা বিভোর হয়ে ভয় ভুলে চলছি লাহার হাট পানে। আধা ঘন্টা পর হঠাৎ ছন্দ পতন কারন অনুসন্ধান করে জানা গেল ট্রলার এর পাখায় ময়লা জড়িয়ে গেছে আমাদের অতি চৌকষ মাঝির ১০ মিনিট চেষ্টায় ট্রলার আবারো চলতে শুরু করল খানিকটা ভয় পেলেও সামলে নিলাম নিজেকে, আরো ২০ মিনিট চলার পর শ্রীপুর ঘাট পার করে ভাবছিলাম এইতো চলে আসলাম এর মাঝে ঢেউ গুলো কখোন অশান্ত হয়ে উঠেছে টের পাই নি কিছু হঠাৎ ট্রলার লাফিয়ে উঠাতে এবং এক ঝাপটা পানি তে পুরো পিঠ ভেজায় আমি আমার সহযোগী রানা ভাইর দিকে ভয় ভরা দৃষ্টিতে তাকালাম উনি আমাকে বললেন আমারা কালা বদর এর মাঝে আছি এত ছোট ট্রলার এ চার নদীর মহোনায় বসে নিজেকে বর অসহায় লাগছিল এর মাঝে আমার “কাছে থাকুন গ্রামীনফোন” হঠাৎ পকেটের মাঝে বাজতে শুরু করেছে ভয়ে নড়ার ক্ষমতা নাই ফোন কি ধরব। আল্লাহর নাম নিচ্ছীলাম কিনা জানি না কিন্তু আমার মাকে আমার পরিবার কে বেশি মনে পরছিল এটাও ভাবছিলাম আব্বু যদি জানে এভাবে আসছি তাহলে তার ৪র্থ হার্ট এট্যাক কেউ আর আটাকেতে পারবে না। যাই হোক মাথা টাকে চিন্তা শুন্য করার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলাম এবং শক্ত করে বসে ছিলাম একটা সময় দূরে লহার হাট ঘাট এর আলো দেখে অনেক টাই সস্তি ও সাহস ফিরে আসল ১০ মিনিট এর মাঝে ঘাটে নেমে পরলাম নেমে ফোন বের করে দেখি ১৫ টা মিস কল এর মাঝে ৯ টা আমার মায়ের ফোন থেকে ২ টা ভাই এর ফোন থেকে কল ব্যাক করে মাকে বললাম তুমি সব সময় মক্ষোম সময় এ ফোন দাও কেন আমি ত ফোন বের করার মত অবস্থায় ছিলাম না মা কোথায় আছি জিজ্ঞেস করে রেখে দিলো…………আমার বাকিটা পথ মটর সাইকেল এ করে ফিরে আসলাম বরিশাল রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে ব্যাগ গোছানো শেষে করে ঘুম…………আমি কিন্তু তখন ও জানি না কি অপেক্ষা করছে আমার জন্য আগামিকাল………।
চলবে............। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।