আমরা অযথা কোন কাজ ছাড়াই গল্প, তাস খেলা ইত্যাদি করে অনেক রাত্র জাগি।
আমাদের জন্য তাড়াতাড়ি ঘুমে যাওয়া সবচেয়ে ভাল। এই ঘুম নিয়ে কুরআন ও হাদিস ঘেটে পাওয়া কিছু বানী। সবাই পড়বেন,এটাও আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারে। কারন এটাও হতে পারে আপনার জীবনের শেষ রাত্র।
১. আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
“আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্য রাত বানিয়েছেন যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম করতে পার এবং দিনকে করেছেন আলোকোজ্জ্বল। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি বড়ই অনুগ্রহশীল; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না”। --------[সূরা গাফের: (৬১)]
২. আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
“আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি বিশ্রাম। আর আমি রাতকে করেছি আবরণ। আর আমি দিনকে করেছি জীবিকার্জনের সময়”।
--------------[সূরা নাবা: (৯-১১)]
৩. আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
“স্মরণ কর, যখন তিনি তোমাদেরকে তন্দ্রায় আচ্ছন্ন করেন তাঁর পক্ষ থেকে নিরাপত্তাস্বরূপ”। -----------------------------[সূরা আনফাল: (১১)]
৪.আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
“আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে রাতে ও দিনে তোমাদের নিদ্রা এবং তাঁর অনুগ্রহ থেকে তোমাদের (জীবিকা) অন্বেষণ। নিশ্চয় এতে মনোযোগী সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে নিদর্শনাবলী”। ------- [সূরা রূম: (২৩)]
৫. আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে বলেছেন: “তিনিই সে সত্তা, যিনি তোমাদের জন্য রাতকে সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা তাতে বিশ্রাম নাও এবং দিনকে করেছেন আলোকময়। নিশ্চয় এতে রয়েছে নিদর্শনাবলি সে সব লোকের জন্য জন্য যারা শ্রবণ করে”।
------- [সূরা ইউনূস: (৬৭)]
৬. আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
“তারা কি দেখে না যে, আমি রাতকে সৃষ্টি করেছি, যেন তারা তাতে বিশ্রাম নিতে পারে এবং দিনকে করেছি আলোকিত? নিশ্চয় এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে সেই কওমের জন্য যারা ঈমান এনেছে”। ------[সূরা নামাল: (৮৬)]
৭. রাত-দিন আল্লাহর অলৌকিক নিদর্শন, দু’টি আশ্চর্য সৃষ্টি ও রহস্য ঘেরা মখলুক। এ জন্য কুরআনুল কারীমে বারবার এর উল্লেখ করা হয়েছে। “আর তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে আবরণ ও নিদ্রাকে আরামপ্রদ করেছেন এবং দিনকে করেছেন জাগ্রত থাকার সময়”। -------[সূরা ফুরকান: (৪৭)]
আরো ইরশাদ হচ্ছে:
“আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্য রাত বানিয়েছেন যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম করতে পার এবং দিনকে করেছেন আলোকোজ্জ্বল”।
------[সূরা গাফের: (৬১)]
৮. “আল্লাহ জীবসমূহের প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময় এবং যারা মরেনি তাদের নিদ্রার সময়। তারপর যার জন্য তিনি মৃত্যুর ফয়সালা করেন তার প্রাণ তিনি রেখে দেন এবং অন্যগুলো ফিরিয়ে দেন একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল কওমের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে”। ---------[সূরা যুমার: (৪২)]
৯. আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
“আর তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে আবরণ ও নিদ্রাকে আরামপ্রদ করেছেন এবং দিনকে করেছেন জাগ্রত থাকার সময়”। --------[সূরা ফুরকান: (৪৭)]
১০. রাত জাগার ফলে অনেক সময় ফজর সালাত জমাতের সাথে আদায় করা সম্ভব হয় না, যা পূর্ণ রাত কিয়াম করার সমতুল্য।
সহি মুসলিমে বর্ণিত:
“যে ব্যক্তি জমাতের সাথে এশার সালাত আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত কিয়াম করল, আর যে এশা ও ফজর জমাতের সাথে আদায় করল, সে যেন পূর্ণ রাত কিয়াম করল”। ----[মুসলিম শরীফ]
১১. রাত জাগার ফলে দিনে ঘুমের চাপ সৃষ্টি হয়, যে কারণে ব্যক্তির পেশা, অথবা ব্যবসা অথবা কৃষি অথবা শিক্ষাদান অথবা চাকুরী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতএব রাত জাগা মানুষের প্রকৃতি পরিপন্থী, যে প্রকৃতির ওপর আল্লাহ তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। রাত জাগার কারণে অনেক সময় পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জমাতের সাথে আদায় করা সম্ভব হয় না। দিনের বেলায় কাজ করার শক্তি কমে আসে এবং তন্দ্রা আসে যার ফলে আমরা কাজে মনোনিবেশ করতে পারি না।
১২. আল্লাহ তা‘আলা শেষ রাতে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন যখন এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকে। তিনি বলেন: “কে আমাকে আহ্বান করবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব? কে আমার নিকট প্রার্থনা করবে, আমি তাকে প্রদান করব? কে আমার নিকট ইস্তেগফার করবে, আমি তাকে ক্ষমা করব? যতক্ষণ না ফজর উদিত হয়”। -----[বুখারি ও মুসলিম]
১৩. আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: “যে ব্যক্তি রাতের প্রহরে সিজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে, আখিরাতকে ভয় করে এবং তার রবের রহমত প্রত্যাশা করে (সে কি তার সমান যে এরূপ করে না) বল, ‘যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান?’ বিবেকবান লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে ”। ----[সূরা যুমার: (৯)]
১৪. দিনের ব্যস্ততা ও রাতের স্বস্তি আল্লাহর অনুগ্রহ
আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “বল, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ রাতকে তোমাদের উপর কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী করে দেন, তবে তাঁর পরিবর্তে কোন ইলাহ আছে কি যে তোমাদের আলো এনে দেবে?
তবুও কি তোমরা শুনবে না’?
বল,‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ দিনকে তোমাদের উপর কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী করে দেন, তবে তাঁর পরিবর্তে কোন ইলাহ আছে কি, যে তোমাদের রাত এনে দেবে যাতে তোমরা বিশ্রাম করবে? তবুও কি তোমরা ভেবে দেখবে না’? আর তাঁর অনুগ্রহে তিনি তোমাদের জন্য রাত ও দিন করেছেন যাতে তোমরা বিশ্রাম নিতে পার এবং তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার এবং যেন তোমরা শোকর আদায় করতে পার। [সূরা কাসাস: (৭১-৭৩)]
এমন আরও অসংখ্যা আয়াত আছে কুরআনে।
তার সামান্য অংশই আছে এখানে।
ধন্যবাদান্তেঃhttp://www.somewhereinblog.net/blog/Mahmuddobby/29747350 ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।