মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, সাবধান! নিশ্চয় যাঁরা আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদের কোনো ভয় ও চিন্তা-পেরেশানী নেই। আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ হচ্ছে ‘১১ই রবীউছ্ ছানী’ যা “পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াজদাহম” নামে মশহুর। ১৪৩২ হিজরীর জন্য আজ ১৭ই মার্চ বৃহস্পতিবার পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম। তাই প্রত্যেক মুসলমান এবং বাংলাদেশ সরকারসহ পৃথিবীর সকল দেশের সরকারের উচিত যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে এ দিনটি পালন করা এবং এ দিনের সম্মানার্থে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
বিশেষতঃ সাইয়্যিদুল আওলিয়া, গাউছুল আ’যম, আওলাদে রসূল, হযরত শায়খ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল ক্বাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে যমীনবাসীর জন্য এমন এক উছীলা, যার মাধ্যমে মানুষ অফুরন্ত নিয়ামত লাভে ধন্য হয়েছে এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত হতে থাকবে।
উনার বুযূর্গী ও সম্মান বলার অপেক্ষা রাখেনা। “বড় পীর ছাহেব” এ একটি লক্বব মুবারকই তার সাক্ষাত প্রমাণ।
উনার মর্যাদা সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে, একবার এক লোক উনার খিদমতে এসে বিনীতভাবে জানতে চাইলো, হুযূর! আপনি নাকি “সুলতানুল আরিফীন?” জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ। সে ব্যক্তি আবার জিজ্ঞাসা করল, আপনি নাকি “কুতুবুল আলম?” তিনি বললেন, হ্যাঁ। লোকটি আবার জিজ্ঞাসা করল, আপনি নাকি গাউছুল আ’যম,? তিনি বললেন হ্যাঁ।
লোকটি আবার জিজ্ঞাসা করল, আপনি নাকি “মুজাদ্দিদুয্ যামান?” তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর লোকটি চুপ করে রইল। তার চুপ থাকা দেখে আল্লাহ পাক উনার ওলী সাইয়্যিদুল আওলিয়া, গাউছুল আ’যম, আওলাদে রসূল হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, “হে ব্যক্তি! তুমি কি আমার সম্পর্কে আর কিছুই জাননা? তুমি জেনে রাখ, অরাউল অরা, অরাউল অরা, অরাউল অরা। অর্থাৎ তুমি যা জানতে চেয়েছ, তার চেয়ে অনেক, অনেক, অনেক উপরে আমার মাক্বাম বা মর্যাদা যা তোমার মত সাধারণ মানুষের পক্ষে অনুধাবন করা কখনোই সম্ভব নয়। ” যে সম্পর্কে হাদীছে কুদসী শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন “নিশ্চয়ই আমার ওলীগণ আমার কুদরতী জুব্বার নিচে অবস্থান করেন, আমি ব্যতীত উনাকে কেউই হাক্বীক্বীভাবে চিনে না।
” আল্লাহ পাক উনার মহান ওলী, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, গাউছুল আ’যম, আওলাদে রসূল, হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহিকে ইল্হাম করে জানিয়েছেন, হে আমার ওলী! আপনি যমীনবাসীকে জানিয়ে দিন আপনাকে যারা মুহব্বত করবে, আপনার সাথে নিছবত বা সম্পর্ক রাখবে, আপনার তরীক্বায় দাখিল হবে ক্বিয়ামত পর্যন্ত তাদের সকলকে আমি ক্ষমা ও নাজাতের সুসংবাদ দান করলাম। (সুবহানাল্লাহ)।
প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত এ মাসে আল্লাহ পাক উনার সেই মহান ওলী, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, গাউছুল আ’যম, আওলাদে রসূল, হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিছাল শরীফ উপলক্ষ্যে উনার ‘সাওয়ানেহ উমরী’ বা জীবনী মুবারক আলোচনা করে, মীলাদ শরীফ-এর মাহফিল করে, ছরয়াব রেসানী করে উনার মুহব্বত ও মা’রিফাতের হিস্সা লাভের জন্য দুয়া-মুনাজাত করা।
সবুজ বাংলা ব্লগেও প্রকাশিত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।