http://farm5.staticflickr.com/4084/5106907209_d4c9a50a8b_z.jpg
আকাশে কত পাখিকেই না উড়ে বেড়াতে দেখি আমরা। কিন্তু কোন মাছ যদি পানিতে উড়ে বেড়ায় তাহলে কেমন হয় বলতো। ভাবছো নিশ্চয়ই পানিতে আবার মাছেরা উড়ে বেড়ায় কীভাবে? হঁ্যা, সাগরের তলদেশে তেমনি এক মাছের খোঁজ পাওয়া গেছে যারা সারাদিন পানিতে উড়ে বেড়ায়। এমনকি বাতাসের ঝাপটা কাটিয়ে দিব্যি সমুদ্রের অনেকদূর পর্যন্ত পানির ওপর দিয়ে উড়েও বেড়াতে পারে। আর সেজন্যই এদের নাম হয়ে যায় ফ্লায়িং ফিশ।
হালকা গরম পানিতে কখনো শরীরকে এরা কাত করছে; কখনো বা ডানা দুটিকে ছড়িয়ে দিয়ে সাঁই সাঁই করে উড়ে চলছে। এমনই এদের উড়ে চলার গতি যে মনে হয় সামনের কোনকিছুই দেখার ফুসরতও নেই যেন। শুধু কি উড়ে চলা, লাফিয়ে পড়ে ছুঁয়েও আসছে সমুদ্রের তলদেশ পর্যন্ত, পরমুহূর্তেই আবার পানির ওপর উঠে এসে ছেড়ে দিচ্ছে পুরো শরীরটাকে। এমনই নানা কাণ্ডকীর্তি এই ফ্লায়িং ফিশদের। আর সেজন্য গবেষকরাও ডলফিন, টুনা, মারলিন ও শুশুক পরিবারের সদস্যের তালিকায় নাম লেখান এদের।
পানিতে উড়ে বেড়ানোই এদের কাজ। তেমন কিছু ভয়ঙ্কর প্রাণী নয় ফ্লাইংরা। সমুদ্রের ওপর ভেসে চলা পোকামাকড় খেয়েই মূলত এরা বেঁচে থাকে। তবে আলো এদের শত্রু হয়ে দাঁড়ায় অনেক সময়। কোথাও আলোর ছটা দেখতে পেয়েছে কি অমনি পড়ি-মরি করে ছুটে চলে, আর তখনি ঘটে বিপত্তিটা।
এদিকে মাছ শিকারীরাও বুদ্ধি করে বেছে নেয় ঘুটঘুটে অন্ধকারকে। যখনই ওরা ফাঁদে পা দিয়ে বসে তখনই শিকারীরা আলো নিভিয়ে ধাঁধায় ফেলে দেয় ওদের। কোথাও আবার উড়ে চলাটাই এদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। ওত পেতে থাকা শিকারীরাও সুযোগের সন্ধানে থাকে। উড়ে বেড়ানো ফ্লাইং ফিশদের দেখার সঙ্গে সঙ্গে ওদের ওপর ছুঁড়ে দেয় জাল।
এভাবে জাপান, ভিয়েতনাম, বারবাডোস, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও সোলোমন দ্বীপপুঞ্জে ধরা পড়ে কত না ফ্লাইং ফিশ। তবে বারবাডোসদের সংস্কৃতিতে এদের এমনই কদর যে, মুদ্রায়, ভাস্কর্যে, চিত্রকলায় এমনকি অফিসের কাগজপত্র সবখানেই শুধু ফ্লাইং ফিশ। এমনকি বারবাডোসের জাতীয় খাবার 'কউ কউ'-তেও নাকি ছড়িয়ে আছে এই মাছের স্বাদ।
(Click This Link)
শাপলা বড়ুয়া
()
Daily Samakal
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।