জাগো বাংলাদেশ...... জাগো
১৬ই মার্চ। ঠিক চার বছর আগে এই দিনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের উদীয়মান খেলোয়ার মানজারুল ইসলাম রানার ও আরেক ডিভিশনাল খেলোয়াড় রনির মৃত্যু হয়েছিল। খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মটর সাইকেল এক্সিডেন্ট করে অকাল মৃত্যু ঘটেছিলো। অনেকরই হয়তো মনে নেই। প্রথম দুই বছর পত্র পত্রিকায় খুব এসেছিল।
এই বছর আর চোখে পড়ল না। আমি যেই দুইটি জাতীয় পত্রিকা পড়ি তার একটাতেও দেখলাম না।
মানুষ অনেক তাড়াতাড়ি ভুলে যায়। অথচ এই মানজারুল ইসলাম এর জন্যই বাংলাদেশ তার প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে . পাচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুটিতেই হেরে বসেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশকে জয়ে এনে দেয়ার নায়ক ছিলেন এই রানা।
হয়েছিলেন দুটি ম্যাচেরই ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ । সেইই প্রথম বাংলাদেশের পক্ষে পর পর দুবার ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন।
ওই দুই ম্যাচে তার বোলিং ফিগার ছিলো এরকমঃ
তৃতীয় ওয়ানডেঃ ১০ - ০ - ৩৪ - ৪
চতুর্থ ওয়ানডেঃ ১০ - ০ - ৩৬ - ৪
২০০৭ সালের এই দিনে তার মৃত্যুতে গোটা ক্রিকেট অংগনে শোকের ছায়া নেমে এসেছিলো। তার পরের দিন ছিলো (১৭ই মার্চ, ২০০৭) বাংলাদেশ বনাম ভারতের ম্যাচ। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ ছিল।
তার মৃত্যুর এর শোক কে শক্তিতে পরিনত করে বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপে ভারত কে হারিয়ে দিয়ে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় করে দিয়েছিল।
কালকে ১৭ ই মার্চ। কালকের দিনটিও বাংলাদেশ দলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন। কাল যদি ইংল্যান্ড হারে তাহলে বাংলাদেশকে কোয়াটার ফাইনালের জন্য বড় কোন পরীক্ষা দিতে হবে না।
মাশরাফির খুব কাছের বন্ধু ছিল রানা।
সেও তার বন্ধুর জন্য আফসোস করে। তার পরিবার কে এখনো সাহায্য করে।
আমার খুব প্রিয় ক্রিকেটার ছিলো রানা। আমি খালি এতটুকুই বলতে চাই, রানা তোমাকে ভুলি নাই, আজ তুমি আছো এই মনে।
আসুন সবাই মিলে রানা ও রনির জন্য দোয়া করি।
(রনি সম্পর্কে কিছু লিখতে পারলাম না কারন তার সম্পর্কে আমি তেমন কিছুই জানি না )
এক নজরে মানজারুল ইসলাম রানাঃ
নামঃ কাজী মানজারুল ইসলাম রানা
জন্মঃ মে ৪, ১৯৮৪ ইং
মৃত্যুঃ ১৬ ই মার্চ, ২০০৭ ইং
২৫ টি ওয়ানডে এবং ৬ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলো। জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল ৭ নভেম্বর ২০০৩ সালে ওয়ানডে দলে। টেস্ট অভিষেক হয়েছিলো ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০০৪ সালে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।