জীবনটা যেন এক বর্ণীল প্রজাপতি
ফ্যানের তীব্র ঘটঘট শব্দ ছাপিয়ে গভীর রাতের কিছু পাখির ডাকের শব্দ শুনা যাচ্ছে। আশেপাশের বাড়িগুলো হতে অন্যান্য দিন নানা লোকের কথা ভেসে আসে। আজকে তাও নেই। ঘর অন্ধকার। দরজার পর্দার ফাঁক দিয়ে পাশের ঘর হতে আসা ঝাপসা একটু আলো দেখা যায় ডিম লাইটের।
কে যেন জানালায় ধাক্কাচ্ছে। ক্যাঁচ ক্যাঁচ ধুপ ধুপ আওয়াজ! চার ভাগ করা পর্দার ফাঁকে ভৌতিক ছায়া!
শীত বিদায় নিবো নিবো করছে। লেপ এখনও তোলা হয়নি। কোলবালিশের মত জড়ানো লেপের ভাজে শুয়ে থাকা কলি। আশেপাশের ভৌতিক শব্দকে তুচ্ছে করার প্রাণান্ত চেষ্টায় নিমজ্জিত।
জোর করে চোখ বুঝে রয়েছে।
ফ্যানের শব্দ যেন তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে। ঘরের অন্ধকার হচ্ছে আরো নিবিঢ়! জানালার ধাক্কাধাক্কি আরো বেড়েছে!
মশাদের গান আর রেগুলেটর নষ্ট হওয়া ফুল পাওয়ারের ফ্যানের তীব্র বাতাসের হাত থেকে রেহাই পেতেই মশারী টাঙ্গাতে হয়। মশারীর ধার ঘেঁষে বিশাল জানালা।
তীব্র ভয়ে আচ্ছন্ন কলি মশারী হতে হাত বের না করেই মশারীর উপরে হাত রেখেই জানালার শার্শীর প্রান্ত খুঁজে নেয়।
তারপরে জোরে ঠেলে দিয়ে জানালাটা যথাসম্ভব বন্ধ করেই জানালা থেকে দ্রুত মুখ সরিয়ে নেয়। বাইরের ভৌতিক চেহারা যেন দেখতে না হয় সেজন্যে।
ভাঁজ করে পা তুলে দেয়া লেপের উপর থেকে পা ঢুকিয়ে নেয় দ্রুত লেপের ভেতরে। যদিও এখন না গরম না শীত অবস্থা। কয়েক মিনিটেই ঘেমে নেয়ে উঠবে জানা কথা।
তবুও।
চোখ বুজে কান ঢেকে ঘুমোবার চেষ্টা অবিরত।
শুয়ে পরার পরেও মনে হচ্ছে কি যেন একটা অন্ধকার ছায়া ওর পাশ ঘেঁষে শুয়ে পরে ওকে গ্রাস করে নিতে চাইছে ক্রমশ!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।