আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুখ আমাদের কপালে সইলো না~তারপরও একযোগে এগিয়ে আসতে হবে

সুখ আমাদের কপালে সইলো না~তারপরও একযোগে এগিয়ে আসতে হবে শাহাবাগের আন্দোলন হলো সরকারের একটি তাস যা দ্বারা বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন গুলোকে ঢাকনা দিয়ে রাখা ও যুদ্ধাপরাধীর বিচার হলো বিরোধীদের দমন করার রাস্তা অনেকের মতে ও অনেক মিডিয়ারও মতে, এটা শাহাবাগ আন্দোলনের মাঠে কিছু রাজনৈতিক দলের আনাগোনা ও আন্দোলনের সাথে জড়িত কিছু নেতার কিছু কিছু আচরন বা দাবীর কারনে প্রমানিত হয়, যদিও আন্দোলন কারীদের সাথে একাত্নতা প্রকাশ করেছিলো প্রথমে দেশের বেশীর ভাগ রাজনৈতিক দল কিন্তু তারা দূর থেকে শাহাবাগের তরুনদের হুশিয়ার থাকতে বলতেন যাতে শাহাবাগ আন্দোলনের সাথে জড়িতরা কোন রাজনৈতিক দলের লেজুড় হিসাবে ব্যবহার না হয়, আমরাও চেস্টা করেছি নানা ভাবে যেন শাহাবাগের আন্দোলনটাকে কোন রাজনৈতিক দল তাদের লেজুড় হিসাবে ব্যবহার করতে না পারে কিন্তু বিধিবাম শাহাবাগের আন্দোলনকে সরকারী ভাবে সাপোট দেওয়া, আন্তজাতিক বিচার ট্রাইবুনালকে সরকারী ভাবে শাহাবাগের আন্দোলনের দিকে চেয়ে রায় দেওয়ার আহবান ও সরকার দলীয় নেতা কমীদের বেশী আনাগোনাই বিরোধী দলগুলোকে সন্দেহের দিকে নিয়ে যায় আর বিরোধী দলগুলো দাবী তুলে শাহাবাগের আন্দোলন সরকারেরই একটি কুটবুদ্ধি রাজনৈতিক ভাবে বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন গুলো থেকে মানুষের চোখ অন্য দিকে ফিরিয়ে রাখার। যদিও হাতে গোনা কয়েকজন ব্লগার আসলেই যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য বসেছিল শাহাবাগের মোড়ে আর তা আজ অনেক বড় সরো আন্দোলনের জায়গায় পরিনত হয়েছে। যে আন্দোলন রাজাকার, আলবদরদের ফাসির জন্য তা চলুক আমরা চাই কিন্তু বিচার বিভাগ কোন আন্দোলনের দিকে নজর দিয়ে বা কোন রাজনৈতিক দলের চাপে পরে প্রমান ছাড়া শুধু সন্দেহজনিত ভাবে কাউকে ফাসির আদেশ দিলে এটা রাজনৈতিক লেজুড় টানার মতোই মনে হবে সবার কাছে যেমনটা হলো দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিচারের ব্যাপারে বিরোধী দলগুলো মনে করছে। আর বেধে গেল রাজনৈতিক সহিংসতা, মরলো কতো মানুষ, পুড়ছে কতো সম্পদ, সেদিকে কারও খেয়াল নেই, আমাদের জানা মতে বাংলার প্রয়াত নেতা শেখ মজিব মাপ করেছিলেন তাদের যাদের বিচার চলছে, আর বিগত দিন গুলোতে আজকের সরকার ও বিরোধী দল ঐ সব রাজাকারদের নিয়ে সরকার চালিয়েছিলো আজ যখন বিচার চলছে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন রাখে এটা রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ও জামাত শিবিরকে ধংস করার পায়াতারা, তার পরও বিচার যখন চালু হয়েই গিয়াছে সেটা হউক কারন রাজাকারেরা শেখ মজিবের ভাল মানুষিকতা ও উদারওতার কারনে পার পেলেও তরুন প্রজন্ম ও নিযাযিত মানুষ বিচার চায় হয়তো আর সে বিচার হতে হবে সচ্ছ ও প্রমান দ্বারা, কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, কোন আন্দোলনের চোখ গরমের ভয়ে নয়। বিরোধী দল গুলো রাস্তায় নেমে রাজনৈতিক প্রতিবাদ জানাবে যেকোন কারনে সরকারের বিরুদ্ধে এটাই স্বাভাবিক আর তাই বলে পাখির মতো গুলি করতে হবে? দেখুনতো যতগুলো মানুষ মারা গিয়াছে তাদের কয়জনের মুখে দাড়ি আছে? কিছু হলেই জামাত শিবিরের নাম হয়, কিন্তু যে মানুষ গুলো মারা গেল আদো তারা কি জামাত শিবিরের লোক নাকি তারা কলুর বলদ?নাকি তাদের ইসলামের দোহাই দিয়ে বা তাদের মাথাতে ধমের ধূলা ঢুকিয়ে রাজ পথে নামানো হয়েছিলো? গুলি করে মারার আগে একটুও কি ভাবলেন না যে ঐ ভুগা নাখান্দা মানুষ গুলো হয়তো শিকার?তারা আন্দোলন করছে করুক গুলি করে মারার দরকার কি?মরিচের গুরাও কি ভুখা নাখান্দা মানুষ গুলোকে দমাতে পারেনা? দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর অনেক ভক্তও আছে আর হয়তো যারা মরেছে তারা ভক্তদের মাঝেই কেহু? পাখির মতো গুলি করার আগে নিজেরা একটু সরে থেকেতো দেখতে পারতেন আসলে যারা রাজপথে নেমে এসেছে ওরা কি শিকার হয়েই মাঠে নেমেছে কিনা? চাদে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ছবি দেখা গেছে আর ভূখা নাখান্দা মানুষগুলোও তাই বিস্বাস করে যদি নিজেরাই মরে তাহলে এর জন্য কি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী দায় নিবেন? আর দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মুক্তির জন্য কি এভাবে গাড়ী, বাড়ী পুড়াতে বা মানুষকে হত্যা করতে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বলেছেন??পুলিশ ফারিতে আগুন বা অন্য ধমের লোকদের উপর হামলা বা তাদের নস্ট করা কি আমাদের ইসলাম শিখিয়েছে ?এতই যদি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর প্রতি টান থাকে তবে কেন শাহাবাগীদের মতো দেশের সকল জেলা উপজেলায় বসে পড়েন না আর শান্তি প্রিয় আন্দোলন করেন না? সহিংসতা ছেড়ে রাজপথ গুলোকে দখল করে রাখুন দেখবেন সরকার যদি কোন কালো ধান্দায় বিচারের নামে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে অন্যায় ভাবে শাস্তি দিতে চেস্টা করে, তবে সরকার নিজের গদি বাচাতে আর আন্তজাতিক মহলে নিজেদের ভাবমূতি বাচাতে সেই বিচার থেকে সরেও আসতে পারে।

সরকার যদি মনে করে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাসি দিতে পারলেই জামাত নামের দলটি শেষ হয়ে যাবে সেটা ভূলেই ভরে থাকবে কারন এতো বড় একটা দল একজন বা দশ জন লোকের জন্য শেষ হয়ে যাবে এটা কি সম্ভব? যারা আন্দোলন বা সহিংসতায় জড়িয়েছেন ব্লগে নবী ও আল্লাহর সমালোচনা ও খারাপ রটানো কারীদের বিচারের জন্য, তারা একটু চিন্তা করুনতো-যারা ইসলাম, নবী ও মহান আল্লাহকে নিয়ে খারাপ লিখা লিখি করে তারা কি আসলে ইসলামের কেহু নাকি গুপ্ত শয়তান গুলো লুকিয়ে থেকে আজকের এই পরিস্হিতির কবলে ফেলে ভূগা নাখান্দা মানুষ গুলোকে রাজপথে নামিয়ে এনেছে? একটু ভাবুনতো শাহাবাগে যারা আন্দোলন করছে যদি তাদের কেহু এই ধরনের জগন্যতম কাজ করছে না কিন্তু তাদেরই নাম দিয়ে আজ পুরো দেশটাকে নিয়ে এসেছে বিপদের দিকে?আজকে ভারতে রাস্ট্রপতির থাকার জায়গা সোনার গাও হোটেলের পাশে যারা ককটেল ফাটিয়েছে তারা কারা?? একজন রাস্ট্রপতির থাকার আশে পাশে কিভাবে খারাপ লোকেরা প্রবেশ করে? আইনপ্রয়োগকারী দল গুলো কি বসে ছিলো নাকি এটা কোন চাল??প্রশ্ন করলে হাজারো হবে কিন্তু কোন জবাব পাওয়া যাবে না। তারপরও প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও সকল মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে, দেশকে নস্টকারীদের হাত থেকে বাচাতে হবে, যেকোন ধমের বিরুদ্ধে ব্লগ বা খারাপ লিখা লিখি কারীদের ধরে কঠোর সাজা দিতে হবে, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর উপরও যেন অন্যায় বিচার করা না হয় সেটাও দেখতো হবে, আসলে সকলকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে শান্তির জন্য, দল মত নিবিশেষে। **অনেক সপ্ন ছিল দেশটি হয়তো আগে বাড়বে আর আমরা দুনিয়ার বড় বড় পয়সা ওয়ালা দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে চলবো কিন্তু সে আশায় গুড়ো বালু করে দিয়াছে গত কয়েকটি ঘটনা। আর কতো বছর লাগবে যে সম্পদের লোকশান হচ্ছে তা পূরন ও বিদেশী বিনিয়োগ কারীদের আস্হা ফিরে পেতে জানি না, দুনিয়ার যেকোন দেশের নাগরিকের সাথে কথা হতো তারা বলতো কি খবর তোমাদের দেশের আর বুক ফুলিয়ে বলতাম আমাদের সোনার বাংলা আগে বাড়িতেছে, পুরো দুনিয়া বেকার সমস্যায় ও অথনৈতিক ভাবে বিপযস্ত হলেও আমাদের দেশ টিকে আছে কিন্তু বেশি সুখ আমাদের কপালে সইলো না, যারা দেশটাকে টেনে তুলে রেখেছে দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে সেই দেশটার এই অবস্হা জানিনা তারা (প্রবাসীরা) সহ্য করতে পারতেছেন কিনা। বাংলাদেশের দুইটি খাত আজকে দেশটিকে টিকিয়ে রেখেছে, একটি রেমিটেন্স আরেকটি রপ্তানি, রেমিটেন্সে যদিও প্রাথমিক ভাবে কোন সমস্যা হবে না মনে হয় কিন্তু রপ্তানির যে বারোটা বাজতেছে সেটা পরিস্কার।

** ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।