আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১০ আলেম হত্যায় শিবিরের মিশন

আমরা ছাগুদের মুখ চেপে ধরতে চাই যেন তারা ম্যাৎকার দিতে না পারে, তাদের পশ্চাদ্দেশে খড় ঠেলে দিতে চাই যেন তারা ল্যাদাতে ও ব্যবহৃত হতে না পারে, তাদেরকে খাসি রূপে দেখতে চাই যেন তারা বংশবিস্তার না করে গায়গতরে বাড়তে পারে। চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকার জামিয়া আহমেদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার ১০ আলেমকে হত্যার উদ্দেশ্যে রেকি (ঘটনাস্থল পরিদর্শন) করার সময় আজ সোমবার বিকেলে এক শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পাঁচলাইশ থানার পুলিশ। তাঁর নাম মাহমুদুল হাসান। এ সময় মাহমুদুলের পকেটে একটি তালিকা পাওয়া যায়, যেখানে ওই দশ আলেমের নাম রয়েছে। তাঁর বক্তব্যের সূত্র ধরে চট্টগ্রামের কালামিয়া বাজারের ইসহাক ভবন থেকে পুলিশ আরও সাত শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন: আবদুর রহমান বিশ্বাস (দলনেতা), রেজাউল করিম, ওসমান গনি, আরিফুর রহমান, মো. ইউনুস, আশরাফ উল্লাহ, মো. জসীম উদ্দিন। তাঁদের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ইসলাম নিয়ে জামায়াত-শিবিরের নানা অপব্যাখার সমালোচনা করেন সুন্নি জামিয়া মাদ্রাসার আলেমরা। এই আলেমরা সব সময় বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আর এ কারণেই জামায়াতের নেতারা তাঁদের বিরোধিতা করে থাকেন।

সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার ১০ আলেম হলেন আশরাফুজ্জামান আল কাদেরী, জালাল উদ্দিন আল কাদেরী, উবায়দুল হক নয়মী, জয়নাল আবেদীন জুবাইর, ছগীর আহমদ উসমানী, অছিয়ার রহমান, আবুল কাশেম নুরী, আবদুল ওয়াজেদ, মুফতী ইউনুস, মো. তাওহীদ। তাঁদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পুলিশ জানায়, আজ বিকেলে সুন্নিয়া মাদ্রাসার কাছে শ্যামলী আবাসিক এলাকায় ঘোরাঘুরি করা অবস্থায় মাহমুদুল হাসানকে আটক করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে শিবিরের কর্মী বলে দাবি করেন। তাঁর কাছ থেকে ১০ জন আলেমের নামসংবলিত একটি চিরকুট পাওয়া যায়।

তাঁর বক্তব্যের সূত্র ধরে বাকি সাতজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা জানান, তাঁরা ওই ১০ আলেমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাহমুদুল হাসানকে রেকি করতে পাঠান। আবদুর রহমান বিশ্বাস নিজেকে শিবিরের কর্মী এবং আলেমদের হত্যার উদ্দেশ্যে গঠিত দলের নেতা দাবি করে পাঁচলাইশ থানায় প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘এই আলেমরা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিভিন্ন তাফসিরের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। তাই ওই ১০ জন আলেমকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ এবং গতিবিধি লক্ষ রাখতেই আমরা একজনকে রেকি করতে পাঠিয়েছিলাম। ’ পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস জানান, এই আট শিবিরকর্মী সুন্নি মাদ্রাসার ১০ আলেমকে হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপাতে চেয়েছিলেন।

এ ব্যাপারে তাঁদের জ্ঞািসাবাদ করে আরও কেউ জড়িত কিনা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রথম আলো, সূত্র: Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।