মুখপুড়ি তুই লক্ষীছাড়া, হতচ্ছাড়ী, মাছটা ধরিস
গভীর জলে, ছুঁসনা মোটেও পানি,
তোর শতেক রকম ছলাকলা, নিঠুরখেলা,
সবই এখন জানি, আমি জানি।
ভাবটা ধরিস ভীষন নেকা, বাচ্চা-অবুঝ
মাছটা ভাজা উলটাতে না জানিস
লজ্জাবতী লাজুক-লতা,বন্ধ খাতা
নিজের পাতে ঝোলটা ভালোই টানিস!
জেমসবন্ডও পড়তো ধরা, তোর পাল্লায়
পড়তো যদি , মরতো ভুবন ঘুরে
তোর জন্য প্রাণটা দিলেও, তুই পাষানী
ঠিক তাহারে ফেলতি ছুঁড়ে দূরে।
হিসাব নিকাষ প্ল্যান প্রোগামিং, নিঁখুত রকম,
নিজের মত তোর গোছানোই আছে
একচুল তার নেই নড়চড়, এধার ওধার
পরের কিছুই নেই দাম তোর কাছে।
তুই একটা বদ্ধ পাগল, অহংকারী, ইগোর পাহাড়,
নিজেরে তুই ভাবিস বড়ই দামি
অহংকারের কি আছে তোর, একটা ফোটাও
চিন্তা করে পাইনা কিছুই আমি।
নিজেরে তুই ভাবিস সেরা
সবার থেকে, কি যেন এক হনু!
ইচ্ছা করে এক থাপড়ে দেই ভেঙ্গে দাঁত
লাগবে তখন দেখতে কেমন জানু?
তোরে আমার হইসে চেনা
বাঁধিস কঠিন জাল বাঁধনে যদু মধু কদু
থাকিস আবার অধরা তুই, দিসনা ধরা,
হইসে অনেক, খবর এবার করবো তোমার চাঁদু।
এক নিমিষেই যারে তারে ফেলতে পারিস
তোর মিথ্যে ভালোবাসার পাতা ফাঁদে
ডাইনী যে তুই কালসাপিনী,ঘাট মানি তোর
এমন সকল বিরল গুনের কাছে।
হাসিমুখে করতে পারিস একশোটা খুন
হয়তো বা তার বেশিও পারিস আরও
একটাবারও ভাবিস না তুই তার যাতনা
কষ্ট, দুঃখ, জমাট ব্যাথা, নীলবেদনা কারো।
নিষ্ঠুর তুই, কঠিন কঠোর,
সবকিছু তুই সইতে ভালোই পারিস, তবে
পারিস না কেউ করলে তোকে একটু ছোট,মাফ নেই তার,
প্রতিশোধের আগুনে তোর পুড়িয়ে তারে মারিস।
পাক্কা অভিনেত্রীরে তুই, দশ আঙ্গুলে লিখিস আর
হাজার নাকে পরিয়ে দড়ি হাসিস
জন্মেও না জানবে তারা,ভাববে তারা শুধুই সেরা,
ভাববে তাদের জন্য শুধুই মরিস।
কিন্তু এবার পড়ছো ধরা স্বর্ণঘুঘু
তুমিও যেমন পুরান পাপী, আমিও বুনো ওল
ঘুচবে তোমার ছলাকলা, সব অভিনয়
কসম খোদার খাওয়াবো তোরে পাক্কা তেতুল ঘোল।
শিখছো ভালোই ডিপ্লোম্যাসি
খুব কন্ট্রোল নিজের উপর, ভাঙবা তবু মচকাবা না পরী
চিনছো শুধুই নিজের সুখই, সব ঝামেলা এড়িয়ে চলা
বুঝবা এবার মজাখানা, পড়বে যখন গলায় তোমার দড়ি।
ভাবিস কি তুই?
দোষ সবারই, তুই নির্দোষ?
স্যরী বলা শিখিসনি তুই, জানিস না তুই
নিজের করা কঠিন ভুলের করতে আপোস।
পারিস না তুই বাসতে ভালো
করতে জানিস এক্টিংটা ভালোবাসার
সেটা যে তোর মজার খেলা, হাসিস পিছে
ভাবিস কিছুই বুঝিনা তা, পড়ছো ধরা।
কানাকড়ি মূল্যটা নেই কারোর কোনো,
নেই বিশ্বাস এই জগতের কারোর উপর তোর
যতই ধরিস দোষ সকলের
আসল দোষটা একমাত্র তোর।
খোদার কসম বলছি আমি, তুইই সেরা
অহং করাও তোরেই সাজে,হাজার গুনও
তোরই আছে,তবু সব গুণ তোর শেষ হয়ে যায়
তোর একটামাত্র দোষের কাছে।
পারিস না তুই বাসতে ভালো
আজীব তোর এই রোগের কাছে তুই যে বাঁধা।
তোর কবিতা গল্প গানা মিথ্যে সবই
অকারণে লাগাস না আর চোখে সবার গোলকধাঁধা।
সর্বনাশী, উন্মাদিনী
ভালোবাসার মধ্যে খুঁজিস হার-জিৎ আর জয়ের এর খেলা
সব খেল তোর শেষ হয়েছে, বুঝবি মজা
এবার তোরে বুঝাবো আমি, শেষ হয়েছে তোমার বেলা।
আসলে তুই জনম দুখী,
নিসঙ্গ একা
স্বভাবটা তোর না বদলালে এই জীবনে
পাবিনা তুই আমার মত শান্তশিষ্ঠ প্রেমিকা-নিষ্ঠ প্রেমিক দেখা।
তাই তো বলি ছাড়ো এবার সকল জারি জুরি
হাতটা ধরো এবার আমার চল রমনা পার্কে ঘুরি।
নাহ শাহবাগের আন্দোলনে যেতে হবে একসাথে।
একজনের থ্রেটিং/গালি/বকাঝকা/বদনামী শুনিয়া মুগ্ধ হইয়া তার প্রতি শব্দ, বাক্য চরণ লইয়া পদ্য রচনার ব্যার্থ চেষ্টা করিয়া সেই সকল অমরবাণীকে চিরস্মরণীয় করিয়া রাখিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।