আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জিতবে বাংলাদেশ: জিতবে সাকিব; জিতবে সাবেক, জিতবে হাসিনা খালেদা আর জিতব আমরাও

জসীমউদ্দীন,বালুখালী,রাঙ্গামাটি।

আবার উৎসব হবে। আবার জিতবে বাংলাদেশ। আমাদের এই হত দরিদ্র দেশে খুব বেশী উপলক্ষ আমরা পাই না যাতে সবাই একসাথে আনন্দ উদযাপন করতে পারি। প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিরোধীদলীয় নেত্রী সবাই এই একটি ক্ষেত্রে একমত পোষন করে, জাতির সাথে এক হয়ে যায়।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল সেই উপলক্ষটি অনেকবার এনে দিয়েছে। ডান- বাম , ধনী গরীব সব বিভেদ আমরা ভুলে যাই শুধুমাত্র একটি জয়ে। আর পরাজয়ে আমরা সবাই হতাশ হই, কষ্ট পাই। পরাজয়ের কষ্ট সইতে না পেরে কতবার যে ভেবেছি আর খেলায় দেখবো না। কিন্তু যখনই বাংলাদেশের খেলা চলে আসে তখন আবার ব্যস্ত হয়ে পড়ি।

ভাবি আজকে হয়তো ভালো করবে। আমরা এমনই পাগল একটি জয়ে যেমন সুখের সাগরে ভাসি কোন কোন পরাজয় তেমন হতাশার অতল গহব্বরে ডুবে যাই। তাইতো আবেগ নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে আমরা কত কিছুই না করি....তা তো শুধু এই কিেকেটের প্রতি ভালবাসা থেকেই। ওয়েষ্ট ইন্ডিজের সাথে আমরা হেরে গেছি খুব চরমভাবে যা কেউ আশা করিনি। কিন্তু যা হয়েছে তা মেনে নেয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প আমাদের নেই।

এই পরাজয় নিয়ে এখনো পযর্ন্ত যা হচ্ছে আমাদের ক্রিকেটের জন্য খুব বেশী মঙ্গলজনক হয়তো হবে না। আমরা সবাই মনে হয় একসাথেই ভুল করে চলেছি। একদিকে আমাদের উর্চ্ছংখল আচরন ছিল তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ার বহিপ্রকাশ এই আচরন এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রনে কিন্তু খেলোয়াড়দের মাঝে একটি বিভাজন যে তৈরী হল (সাবেক /বর্তমান) তা হয়তো রয়ে যাবে অনেকদিন। সাবেক প্লেয়াররা এখন যে সব বিষয় নিয়ে সমালোচনা করছেন তা হয়তো আরো আগে করলে বাংলাদেশ দলের জন্য ভাল হতো। দল যখন জয়ী হয় তখন কোন সমালোচনা থাকে না কিন্তু হেরে গেলেই অনেক সমালোচনা বের হয়।

বাংলাদেশ দলে স্পোশালিষ্ট স্পিনার নেই এই কথা এখন উঠছে কেন? সাবেক এক প্লেয়ারের চিঠি দেখলাম, অনেকমূল্যবান বিষয় তিনি উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে সাকিবের আচরন নিয়ে কিন্তু তিনি নিজের নামটিই প্রকাশ করলেন না! এত আত্মবিশ্বাসের অভাব কেন? আমরা জানি আমাদের ক্রিকেটের জন্য সাবেকদের কি অবধান ছিল, নতুনরা চাইলেও তা অস্বীকার করতে পারবে না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের আজকের যে অবস্থান তার সবচে বড় নায়ক আকরাম খান। আমার স্মৃতি যদি প্রতারনা না করে সে দিনটির কথা বলছি ১৯৯৭ সালের ৪ এপ্রিল। সে দিন ছিল শুক্রবার বাংলাদেশের সাথে হল্যান্ড কিংবা স্কটল্যান্ডের (ঠিক মনে নেই কোন দেশ) খেলা ছিল।

হারলেই বাংলাদেশ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন শীপের সেমিফাইনালে উঠতে পারে না। একপর্যায়ে বাংলাদেশ হেরে যাওয়ার উপক্রম। কিন্তু আকরাম খানের অপরাজিত ৬৭ রানের উপর ভর করে বাংলাদেশ জয়লাভ করে এবং শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়। পরের ইতিহাস সবার জানা সুতরাং সাকিব আল হাসান যদি তাদের পারপরমেন্স নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেটি খুবই দু:খজনক। দর্শকের সাথে অসভ্য আচরণ আমাদের দারুনভাবে আহত করে।

আর সাবেকদেরও উচিত দলের বির্পযয়ে শুধু সমালোচনা না করে তাদের পাশে দাড়ানো। কাধেঁ হাত দিয়ে বলা উচিত খারাপ করেছিসতো কি হয়েছে পরের ম্যাচে নিশ্চয় ভাল করবি। গত কয়েকদিনে যা হবার হয়েছে। এ সব কিছু ভুলে যেতে চাই। সাকিবের বাংলাদেশ হেরেছে ,আমরা সবাই একসাথে হেরেছি কিন্তু দর্শকের সাথে তুমি যা করেছো তাতে শুধু তুমিই হেরেছো, আমরা হারিনি।

তোমাকে আমরা ক্ষমা করে দিয়েছি। তোমাকে আমরা বুকে টেনে নিব। কাধেঁ নিয়ে চড়ব টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। তোমরা এগিয়ে চল তোমাদের সাথেই আছি থাকব চিরকাল যতদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট থাকে। শুধু একটি কথা বলতে চাই শ্রদ্ধা করো সাবেকদের আর আমরাও কি একটু শ্রদ্ধা পেতে পারি না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।