আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া না করার সুফল

কিন্ত যে সাধেনি কভু জন্মভূমি হীত স্বজাতির সেবা যেবা করেনি কিঞ্চিত, জানাও সে নরাধম জানাও সত্বর অতীব ঘৃনীত সেই পাষন্ড বর্বর

কমবেশি সব স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই ঝগড়া হয়ে থাকে। এর মাত্রাও কমবেশি হয়। অনেকে নিয়মিত ঝগড়া করেন। আবার সমঝোতাও হয় তাদের মধ্যে। তবে কোনো কোনো দম্পতি ঝগড়ায় ডুবে থাকেন দিন-রাত।

অভ্যাসে পরিণত হয় ঝগড়া। কারো পারিবারিক অশান্তি চিরস্থায়ী হয়। কলহপ্রবণ অনেক দম্পতি বেশির ভাগ সময় সন্তানের কথা ভেবেই একত্রে জীবন পার করেন। আবার একই সঙ্গে তাদের কলহ চলতেই থাকে। কিন্তু যাদের কথা ভেবে এই বিষময় জীবনযাপন, তাদেরই এতে বেশি ক্ষতি হচ্ছে।

যা অনেকেই ভেবে দেখেন না। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, কলহপ্রবণ দম্পতির সন্তান আরো বেশি অশান্তি নিয়ে বড় হয়। তারা মানসিক অস্থিরতায় ভোগে এবং অনেক সময় মানসিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলে। সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডও এসব বাবা-মার সন্তানেরাই বেশি করে। এই গবেষণাটি পরিচালিত হয় বৃটেনের ভঙ্গুর সমাজব্যবস্থার শিকার প্রায় ৭ হাজার শিশুর ওপর।

এই গবেষণাটি পরিচালনা করেন লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্ক। এই গবেষণার মাধ্যমে তারা দেখান বিবাহ বিচ্ছেদের শিকার শিশুরা বা কিশোর-কিশোরীরা কলহপ্রিয় কিন্তু একসঙ্গে বাস করা পিতা-মাতার সন্তানদের চেয়ে শতকরা ২০ ভাগ ভালো আছে। গবেষকদের মতে, এই সংখ্যা পরিবর্তনশীল হলেও এটা সত্য পিতা-মাতার বিচ্ছেদের পর নতুন বা একক অভিভাবকের কাছে সন্তানরা কিছুদিন মনমরা হয়ে থাকলেও ১ বছরের মাথায় তারা পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। তখন তাদের মধ্যে অতৃপ্তি বা অপ্রাপ্তি বলে আর কোন কিছু থাকে না। নিজের দায়িত্ব নিজে পালন করাও তারা দ্রুত আয়ত্ত করে নেয়।

গবেষকরা এক্ষেত্রে শুধু শতকরা হিসাব দিয়েই ক্ষান্ত হননি। বেশ কিছু কেস স্টাডি প্রকাশ করে এই গবেষনার সারবেত্তা প্রমাণেরও চেষ্টা করেছে তারা। প্রায় দু বছর ব্যাপী এই গবেষণায় শিশুর আকাঙ্খা ও সন্তুষ্টির স্কেল ব্যবহার করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সূত্র: ইন্টারনেট

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।