আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ড:ইউনুস এর পক্ষ বিপক্ষ : অদ্ভুত এক প্যারাডক্স

সব লেখার স্বত্ব লেখকের সংরক্ষিত

বর্তমানে দেশের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় দেশের একমাত্র নোবেল লরিয়েট ড: মুহম্মদ ইউনুসকে তার নোবেল বিজয়ী প্রতিস্ঠান গ্রামীনব্যাংক থেকে বিতাড়ন। এই ইস্যুতেও যথারীতি দেশের বুদ্ধিজীবী মহল দুইভাবে বিভক্ত। মজার ব্যপার হচ্ছে যে সকল বুদ্ধিজীবী ড:ইউনুসের পক্ষে অথবা বিপক্ষে বলছেন তাদের বেশীরভাগ কথাই কিন্তু বাস্তবসম্মত, দুইপক্ষেরই!!! ড:ইউনুসের পক্ষে যারা বলছেন তাদের মূল যুক্তি হচ্ছে তিনি দেশের একমাত্র নোবেল লরিয়েট হিসেবে বিদেশে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। ড: জাফর ইকবাল লিখেছেন , আগে মানুষ বাংলাদেশকে চিনতো শেখ মুজিবকে দিয়ে এখন চেনে ড: ইউনুসকে দিয়ে। বিশ্বে বাংলাদেশকে যে ড:ইউনুসের নোবেল প্রাপ্তি খ্যাতি এনে দিয়েছে সন্দেহ নাই।

ড:ইউনুস এবং গ্রামীন ব্যাংকের নোবেল দেশের জন্য গৌরবের। তার কট্টর সমর্থকরা বলছেন ড: ইউনুসের বিশ্বপরিচিতি এবং নোবেল প্রাপ্তিই শেখহাসিনার ঈর্ষার প্রধান কারন, সরকার পক্ষের একজন ইতোমধ্যে বলে ফেলেছেন যে নোবেল আসলে শেখ হাসিনা আর সন্তু লারমার পাওয়া উচিৎ ছিল!!! অন্যদিকে আওয়ামী ঘরনার লোকজন এখন দরিদ্র বিমোচনে ড: ইউনুসের গ্রামীন ব্যংকের অবদান কতটুকু সেটা নিয়ে গবেষনায় ব্যস্ত, জয় ওয়াজেদ গাইডলাইন হিসাবে বলে দিয়েছেন যে গ্রামীন ব্যাংক গত ৩০ বছরে দেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে পারে নাই। গ্রামীন ব্যাংক নিয়ে যে সকল অভিযোগ সেটাও কিন্তু ভিত্তিহীন না। চড়াসূদে লোন নিয়ে দেশের কোন কোন গ্রামের মানুষ তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে পেরেছে গত ৩০বছর সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ, খুব বেশী বাস্তব প্রমান পাওয়াও মুস্কিল, সেই সংগে লোনের কিস্তি রিকভারী করতে নানা হয়রানির কথা বহুল প্রচলিত। আরাকটা অভিযোগ ড: ইউনূসের বিরুদ্ধে সেটা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসাবে ১/১১ এ সুযোগ নেয়ার চেস্টা করা, সেটা তিনি যে করেছেন সেটা আমরা জানি(আমি নিজেই একটা ই মেইল পেয়েছিলাম ড: ইউনুসের জনশক্তি পার্টির পক্ষ থেকে)।

ড: ইউনুস নোবেল বিজয়ী বলেই আইনের উর্ধ্বে উঠে যান কিনা সেই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ। দেশের প্রচলিত আইনে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ গ্রামীন ব্যাংকের এমডি থাকতে পারেন কিনা সেটার রায় ইতোমধ্যে কোর্ট দিয়ে দিয়েছে (অবশ্য বলতেই হয় যে বিরুদ্ধ পক্ষ কোর্টের এই রায়ের ব্যাপারে রায়ের আগেই সংশয় প্রকাশ করেছিল। আর বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা কিভাবে চলে সেটা সম্পর্কে সাধারনের ধারনা বিশেষ সুবিধার না সেটা বলাই বাহুল্য। ) সব মিলিয়ে আমাদের মতো আম পাব্লিক এক জগা খিচুরী অবস্থার মধ্যে। যখন যেই পক্ষের কথা শুনি , সেটাই ঠিক মনে হয়।

অদ্ভুত এক প্যরাডক্সের মধ্যে পড়েছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।