প্রজন্ম চত্বর, শাহবাগ, ৮ ফেব্রুয়ারি , ২০১৩
আমরা শপথ করছি - একাত্তরে যে সমস্ত ঘৃণ্য রাজাকার-আলবদর গণহত্যা ও ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড না হওয়া পর্যন্ত এই গণজাগরণের মঞ্চ গণমানুষের নেতৃত্বে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
আমরা শপথ করছি-যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি এ দেশে নিষিদ্ধ ও তাদের এ দেশের নাগরিকত্ব বাতিল না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথে ও অনলাইনে সোচ্চার থাকব।
আমরা শপথ করছি - পঁচাত্তরের পরে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন যে সকল যুদ্ধাপরাধী , রাজাকার-আলবদরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে তাদের সকলকে বিশেষ ট্রাইবুন্যালে বিচারের আওতাধীন করার দাবীতে কাজ করব।
আমরা শপথ করছি- যুদ্ধাপরাধীদের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা, ফোকাস, রেটিনা কোচিং সেন্টারসহ সব কিছুই আমরা বয়কট করব। আমরা মনে রাখব, এগুলোর মাধ্যমেই অর্থ সংগ্রহ করে তারা এ দেশে স্বাধীনতাবিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এমনকি যেসব শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করে শিশুদের মাঝে স্বাধীনতাবিরোধী বিষবৃক্ষ বপন করেছে, সেগুলোও বয়কট করব। এক কথায় রাজাকার-আল বদরদের সকল ব্যবসায়িক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ করার দাবিতে কাজ করব।
আমরা শপথ করছি - দেশে গৃহযুদ্ধের হুমকি দিয়ে জামায়াত-শিবির যে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছে তার জন্য তাদেরকে ভিডিও ফুটেজ ও সংবাদপত্রের ছবি দেখে অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়ে যাব।
আমরা শপথ করছি - যুদ্ধাপরাধীদের গণমাধ্যম, যেমন : দিগন্ত টিভি, নয়াদিগন্ত, আমার দেশ, সংগ্রাম পত্রিকা, সোনার বাংলা ব্লগ - এগুলো বয়কট করব। কোন অফিস কিংবা বাসায় যুদ্ধাপরাধীদের কোন পত্রিকা রাখব না।
একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণমাধ্যমকে অনুরোধ করব, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের তাঁবেদারদের বয়কট করুন।
আমাদের এই শপথকে কাজে রূপান্তরিত করতে হবে। সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাসির রায় নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাব। আমাদের কর্মসূচি চলছে, চলবে।
জয় বাংলা।
প্রজন্ম চত্বরে ঘোষিত ৬ দফা :
৬টি আলটিমেটাম:
১) ঘাতক জামাত শিবিরের হামলায় নিহত রাজীব হায়দার, জাফর মুন্সী, বাহাদুর মিয়া, কিশোর রাসেল মাহমুদ হত্যাকান্ডে জড়িতদের আগামী ৭দিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।
২) ২৬ শে মার্চের পূর্বে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক সন্ত্রাসী জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যায় নেতৃত্বদানকারী জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সুশোধনী আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন এবং নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
৩) অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধী সংগঠনগুলোর আর্থিক উৎস, যেসব উৎস থেকে সকল প্রকার জঙ্গিবাদী, এবং দেশবিরোধী তৎপরতার আর্থিক জোগান দেয়া হয়, সেগুলো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
৪) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া গতিশীল ও অব্যহত রাখতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালকে স্থায়ী রূপ দিতে হবে।
৫) গণমানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস ও তান্ডব বন্ধে অবিলম্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সকল সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ গোপন আস্তানা সমূহ উৎখাত করতে হবে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এদের ভয়ংকর রূপ প্রকাশ করে দিতে হবে।
৬) যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষক এবং হত্যা ও সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা গণমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।