আমরা মনে করি রাজাকারদের পুরো বাহিনীকে ধরনী থেকে নিশ্চিহ্ন না করা পয'ন্ত আমাদের যুদ্ধ থামানো যাবেনা-তাই সবার প্রতি আহবান, আসুন- নিজ বাড়িতে নব নব প্রজন্মকে উদ্ভুদ্ধ করি। মনে রাখবেন, পরিকল্পিত আর সংগঠিত বাংলা'র শক্তি অপ্রতিরূদ্ধ। এই লড়াইয়ে বিজয় আমাদের হবেই
কারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারে পৃথিবীর দেশে দেশে এমন হচ্ছে কেন ? মানুষ হটাৎ এত ক্ষুব্ধ আচরন করছে কেন? উত্তর কি? এই ক্ষোভটা তো হটাৎ কোন বিশেষ একটি কারনে জ়েগে ওঠা ক্ষোভ নয় । এটি দীর্ঘ দিনের জমে থাকা ক্ষোভ । প্রশ্ন হলো, এত দিন আমরা এসব জানলাম না কেন ? আমরা কি জানার চেষ্টা করেছি, নাকি জানতে চেয়েও জানতে পারিনি ? নাকি পরিস্থিতিটা এমন ছিল যাতে কোন কিছু আমাদের চোখে ধরা না পড়ে ? আমাদের চোখ আসলে অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থেকেছে ।
অথবা অপ্রয়োজনীয় জিনিষ দিয়ে আমাদের চোখকে ব্যস্ত রাখা হয়েছে । প্রসঙ্গত একটি কথা বলছি- ঘটনাটি অবশ্য প্রায় ৫/৬ বছর আগের । টেলিভিশনে এক টকশো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইমদাদুল হক মিলন এবং অন্য প্রান্তে খুব কম পরিচিত এক প্রবীন ব্যক্তি (যিনি বর্তমানে চ্যানেল আই এ কড়া আলাপ নামে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন) অনুষ্ঠানটিও চ্যানেল আই-এ ই প্রচার হচ্ছিল । যা হোক । অনুষ্ঠানে এক পর্যায়ে কথা উঠল আমাদের জাতীয় খেলা ও বিনোদন নিয়ে, সিনিয়ার আলোচক মন্তব্য করলেন একটি খেলা বা একটি বিনোদন আমাদের জীবনে কিছুই বদলে দেয়না, ইমদাদুল হক মিলন প্রতিবাদ করলেন বললেন “না এগুলোতে অনেক কিছুই হয়” ।
ভদ্রলোক আবারও বললেন “না আসলে আমাদের জীবনে কিছু পরিবর্তন ঘটে না, আর এসব দিকে আসলে আমাদের ব্যস্ত রাখা হয় আর তা এমনি এমনিতে হয় না” । মিলন সাহেব চুপ করে গেলেন , চুপ হয়ে গেলেন উপস্থাপক জিল্লুর রহমানও । যখন অনুষ্ঠানটি দেখছিলাম তখনই মনে হয়েছিল এই ব্যাক্তির বক্তব্য সঠিক । আর তাই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জনগনের অধিকারহরন আর বঞ্চনার কথা যে অনেক দিন আমাদের সবারই চোখের আড়ালে রাখা ছিল তা হয়ত এখন কারও বুঝতে বাকী নেই ।
পতন হোক গাদ্দাফির, বিচার হোক স্বদেশী বিদেশী সৈনিক আর পৃষ্ঠপোষকদের
-ইনেশ কার্ত্তিক (১-৩-২০১১)
কারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারে পৃথিবীর দেশে দেশে এমন হচ্ছে কেন ? মানুষ হটাৎ এত ক্ষুব্ধ আচরন করছে কেন? উত্তর কি? এই ক্ষোভটা তো হটাৎ কোন বিশেষ একটি কারনে জ়েগে ওঠা ক্ষোভ নয় ।
এটি দীর্ঘ দিনের জমে থাকা ক্ষোভ । প্রশ্ন হলো, এত দিন আমরা এসব জানলাম না কেন ? আমরা কি জানার চেষ্টা করেছি, নাকি জানতে চেয়েও জানতে পারিনি ? নাকি পরিস্থিতিটা এমন ছিল যাতে কোন কিছু আমাদের চোখে ধরা না পড়ে ? আমাদের চোখ আসলে অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থেকেছে । অথবা অপ্রয়োজনীয় জিনিষ দিয়ে আমাদের চোখকে ব্যস্ত রাখা হয়েছে । প্রসঙ্গত একটি কথা বলছি- ঘটনাটি অবশ্য প্রায় ৫/৬ বছর আগের । টেলিভিশনে এক টকশো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইমদাদুল হক মিলন এবং অন্য প্রান্তে খুব কম পরিচিত এক প্রবীন ব্যক্তি (যিনি বর্তমানে চ্যানেল আই এ কড়া আলাপ নামে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন) অনুষ্ঠানটিও চ্যানেল আই-এ ই প্রচার হচ্ছিল ।
যা হোক । অনুষ্ঠানে এক পর্যায়ে কথা উঠল আমাদের জাতীয় খেলা ও বিনোদন নিয়ে, সিনিয়ার আলোচক মন্তব্য করলেন একটি খেলা বা একটি বিনোদন আমাদের জীবনে কিছুই বদলে দেয়না, ইমদাদুল হক মিলন প্রতিবাদ করলেন বললেন “না এগুলোতে অনেক কিছুই হয়” । ভদ্রলোক আবারও বললেন “না আসলে আমাদের জীবনে কিছু পরিবর্তন ঘটে না, আর এসব দিকে আসলে আমাদের ব্যস্ত রাখা হয় আর তা এমনি এমনিতে হয় না” । মিলন সাহেব চুপ করে গেলেন , চুপ হয়ে গেলেন উপস্থাপক জিল্লুর রহমানও । যখন অনুষ্ঠানটি দেখছিলাম তখনই মনে হয়েছিল এই ব্যাক্তির বক্তব্য সঠিক ।
আর তাই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জনগনের অধিকারহরন আর বঞ্চনার কথা যে অনেক দিন আমাদের সবারই চোখের আড়ালে রাখা ছিল তা হয়ত এখন কারও বুঝতে বাকী নেই ।
গনহত্যার কাজ়ে গাদ্দাফির পক্ষে অংশ নেয়া সৈনিকেরা
লিবিয়া, মিশর, তিউনেসিয়া, ইয়েমেন, আলজ়েরিয়া, বাহরাইন, মরোক্কো কিংবা ইরাকের খুব সামান্য তথ্যই কিন্ত আমরা জানতে পেরেছি । আমরা ইরাকের এখনও যা কিছু খবর জেনেছি তাতে কি কখনও জ়েনেছি যে ইরাকে গনমাধ্যমকে কতটা মত প্রকাশের অধিকার দেয়া হয়েছে ? গত শুক্রবার (২৪ শে ফেব্রুয়ারী) ইরাকে জনগন আমেরিকার পুতুল সরকারের বিরুদ্ধে আর একই সাথে শাসন ব্যাবস্থায় কিছু সুনির্দিষ্ট পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলনে নামে । জনগন যাতে সমাবেশ না করতে পারে সে জন্য সরকার মিশরের মোবারকের নীতি অনুসরন করে । অর্থাত্ গনজমায়েতের শহর গুলোতে যাওয়ার সকল যানবাহন বন্ধ করে দেয়, জমায়েতকারীদের উপর হামলা করে যাতে ১৫ জনের মৃত্যু ঘটে ।
এরপরেও জনগন জানিয়ে দিয়েছে এমন চরম অন্যায় চলতে পারে না, এর অবসান ঘটানো হবে । জনগন যে দাবিগুলো এতটা মরিয়া হয়ে উচ্চারন করছে এটি নিঃসন্দেহে বহু ক্ষোভ আর কষ্টে উচ্চারিত হচ্ছে প্রতিবাদ রুপে । কিন্ত এই ক্ষোভ আর কষ্টের কথা কি আমরা জানতাম ? আমেরিকা তো সেই দেশে গনতন্ত্র দিয়েছে, তাহলে জনগনের এত ক্ষোভ কেন ? এটির উত্তর খুব সহজ । নামে দেয়া সেই গনতন্ত্রে জনগনের কোন অধিকার কার্যকর পর্যায়ে নেই, আর তাই মানুষ মরিয়া হয়ে পরিবর্তন চাইছে ।
ইরাকের পরিস্থিতিটা উচ্চারন করা প্রয়োজন মনে হলো কারন এখনও সেই দেশটি দখল করে আছে আমেরিকান সেনা সদস্যরা ।
আমেরিকার এই সেনাদের কাজ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে । আমরা জানিনা যে, এই সেনা সদস্যরা কি আসলে দেশ পাহারা দিচ্ছে, নাকি পাহারা দিচ্ছে সেই সব তেল ক্ষেত্র গুলো যেগুলো থেকে তারা তেল তুলে তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে? হ্যা তারা কজনকে অবশ্য পাহারা দিচ্ছে । পাহারা দিচ্ছে দেশটির পুতুল সরকারের সদস্যদের । এই সরকার এতটাই জনপ্রিয় যে তারা নিজ়েদের দেশি লোকজনের পাহারায় নিরাপদ নয় তাই সরাসরি আমেরিকার সেনা সদস্যদের পাহারায় তাদের থাকতে হয় । এতে অবশ্য আমেরিকার আরেকটি লাভ আছে তা হলো সরকারের উপর নজরদারিটা সরাসরি করা আর পুতুল গুলো নড়েচড়ে উঠলে তাদের শায়েস্তা করার কাজটাও তারা নিজেদের সেনা দিয়ে করতে পারে ।
কি মজা তাই না ।
এবার আসি বিদেশী সৈন্য ও বিভিন্ন বাহিনীতে বিদেশিদের অবস্থানের দিকে । আমেরিকার সেনা সদস্যরা কোন দেশে অবস্থান করলে কার লাভ বা কার ক্ষতি তা নিয়ে আমাদের দেশে অনেক ঝড় ওঠে । অনেকে কখনও এও বলেন আমেরিকার সৈন্য এ দেশে এলে আমাদের কি ক্ষতি ? এগুলোকে আমেরিকার চামচা জাতীয় বাক্তিদের মন্তব্য বলেই আমি মনে করি । আমেরিকা বা বিদেশি সৈন্য এদেশে কতটা উপকার করতে এসেছে তার হিসাব না দিয়ে কেবল একটি কথা মনে করিয়ে দিতে চাই তা হলো- আমেরিকার সৈন্যরা এক বার এদেশেও আসতে চেয়েছিল , সময়টা ১৯৭১ এ আর তা কিন্ত এদেশের মানুষকে বাচাতে নয় ।
কাজ়েই সেই দেশের সৈন্য এদেশে থাকতে পারেনা । একই ভাবে আরো বেশ কিছু দেশের সেনা সদস্য এদেশে থাকার বিষয়ে আমাদের আপত্তি আছে । যা হোক আবার ফিরে আসি বিদেশী সৈন্য প্রসঙ্গে । পৃথিবিতে বিদেশি সৈন্য ব্যবহারের নজির কিন্ত খুব ভাল নয় । বহু দেশ রয়েছে যারা তাদের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীতে বিদেশী সৈন্য রিক্রুট করে ।
নিজ দেশেরই যদি মানুষের জন্য এই রিক্রুটমেন্ট হয় তা হলে নিজ দেশের সদস্য থাকলে অসুবিধা কি ? হ্যা অসুবিধা আছে । কারন সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো তাদের দেশ প্রেম থাকতে পারে, দেশের মানুষের জন্য অনুভুতি থাকতে পারে, দেশের মানুষকে গুলি করতে বা বোমা মারতে বললে তারা বিদ্রোহ করতে পারে । তাই দেশের ভেতর বিদেশি বাহিনী তৈরি করা হয় । যেমনটা করেছে বাহরাইন । গাদ্দাফিও এটি করেছে, আর তা করেছে আফ্রিকান সদস্যদের দিয়ে ।
এখন এরাই হলো গাদ্দাফির ভরসা । বাহরাইনে পুলিশ সদস্যরা কেউই বাহরাইনের নাগরিক নন ( সুত্র বিবিসি রেডিও ২৩ শে ফেব্রুয়ারী) , উপরন্ত দেশটির গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান হলেন এক বৃটিশ নাগরিক । এখন কথা হলো বাহরাইনের গনআন্দোলনে রাজধানি মানামার কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে রাতে ঘুমিয়ে থাকা আন্দোলকারীদের উপর যে পুলিশ গুলি চলিয়াছে সেই পুলিশ বা তার নির্দেশদাতারা আসলে কোন দেশের স্বার্থে এটি করেছে ? প্রতিরক্ষার নিয়ন্ত্রনে সরাসরি বিদেশি থাকা বা গ্রাউন্ড ইউনিটে সরাসরি বিদেশি থাকা তো সরাসরি দেশকে কব্জা করে রাখারই মতন বিষয় । বাহরাইনে প্রতিরক্ষার নিয়ন্ত্রনে বরাবরই বিদেশি কনসালটেন্ট নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে । এই কনসালটেন্টরা কি করেন তা না হয় নাই আলোচনা করলাম কিন্ত এদের সহায়তায়ই দেশটি আমেরিকান ফিফত ফ্লিট (যুদ্ধ যাহাজ) পাহারা দিচ্ছে এটি কিন্ত চোখ বন্ধ করেই বলে দেয়া যায় ।
গাদ্দাফি সম্প্রতি যে গনহত্যা করেছে তাতে তিনি এমনই একটি বাহিনী নামিয়েছিলেন । দেশের মানুষ বা বিশ্ব এই বাহিনী সম্পর্কে আগে কোন ধারনাই করতে পারেনি । আফ্রিকান অন্য কোন দেশের নাগরিক এই ব্যক্তিরা ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলে । বিশেষ এই বাহিনীর সম্পর্কে বিভিন্ন পর্যালোচনায় যে কয়টি দেশের নাম এসেছে (আফ্রিকানদের মুল দেশের নাম হিসেবে) সে গুলো হলো চাঁদ, নাইজার, মালি ও সুদান ।
অস্ত্রের নিষ্ঠুর ব্যাবহারকারী এই ব্যক্তিটি কিন্ত প্রতিবেশী দেশ গুলোকেও কম জালাতন করেনি ।
১৯৬৯ সালেই (যে বছর তিনি ক্ষমতা দখল করেছেন) তিনি প্রতিবেশি চাদের উপর হামলা করেন এবং সেই দেশের অনেকটা অংশ দখল করেন পরবর্তিতে ১৯৯৪ সালে সেই ইস্যুতে আন্তর্যাতিক বিচারের উদ্যোগ নেয়া হলে তিনি ঐ এলাকা ছেড়ে দেন । আবার প্রতিবেশি মিশরও দখল করতে চেয়েছিলেন তিনি ১৯৭৭ সালে । তবে মিশরের ততকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত আর তার দক্ষ সেনাবাহিনীর প্রবল পাল্টা হামলায় তিনি সেখান থেকে পিছু হটেন ।
প্রতিবেশী আর নিজ দেশে এত জালাতনকারি ব্যক্তি এখন কেমন আছেন ? বিবিসির (২৮ শে ফেব্রুয়ারীর খবর) অনলাইন খবর হুবহু তুলে ধরলে দেখা যায়, তারা বলছে “Col Gaddafi remains in power of a kind, but his support base appears to be dwindling rapidly. The BBC’s Jeremy Bowen reports from Zawiya on the regime-organised press trip which instead of promoting an image of calm, made it clear the town was no longer under the regime’s control”. অর্থাত যতটুকু এলাকা তিনি নিজ়ের নিয়ন্ত্রনে আছে বলে দাবি করছেন তিনি কার্যত সেখানেও ক্ষমতায় নেই । এটা পরিস্কার বলে দেয়া যায় যে কেবল মাত্র কিছু এমুনেশন নিয়ে তার বাড়ি আর টেলিভিশন ষ্টেশন পাহারা দিচ্ছেন ।
একই দিন বিবিসির টেলিভিশনে প্রদর্শিত হয়েছে রাজধানী ত্রিপলির কিছু দৃশ্য । যাতে দেখা যায় এলাকাটি গাদ্দাফির নিয়ন্ত্রনে আছে বলে জানানো হলেও মূলত এর(ত্রিপলির ভেতরের) বেশ কিছু এলাকায় গাদ্দাফি বিরোধিরা দখল নিয়ে ফেলেছে । এর পরও গাদ্দাফি এসব অস্বীকার করে যাচ্ছেন । বিবিসির এক সাংবাদিক গাদ্দাফির কাছে জানতে চান তার দেশে বিক্ষোভ হচ্ছে কেন? এর উত্তরে গাদ্দাফি বলেন “কোথায় বিক্ষোভ হচ্ছে, আপনি কি কোন বিক্ষোভ দেখেছেন”? সাংবাদিক বললেন “হ্যা দেখেছি” । “কোথায় দেখেছেন” গাদ্দাফির এই প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিক কয়েকটি এলাকার নাম বললেন, এর পর গাদ্দাফি বললেন “আপনি তো আমাকে অবাক করলেন” ।
এর পর গাদ্দাফি দাবি করে “আমার দেশের লোকেরা সবাই আমাকে ভালবাসে, তারা তো আমাকেই চায় তাই তারা আমার পক্ষে জীবন দিতেও চায়” । কতটা ধুর্ত এই লোক সেটি তার কথায় খুব বোঝা যায়, যিনি দুদিন আগেও বলে বেড়িয়েছেন লিবিয়াতে আসলে কিছুই হয়নি পশ্চিমা মিডিয়া সব মিথ্যে বলছে সেই গাদ্দাফিই আজ বিদেশি মিডিয়াতে সাক্ষাতকার দিচ্ছেন বোঝানোর চেষ্টা করছেন সব ঠিকঠাক আছে । বিদেশি সাংবাদিকদের নিয়ে সাক্ষাতকার দেয়ার আগে তিনি তার অপরাধ ঢাকতে কম চেষ্টা করেননি, ত্রিপলির হাসপাতাল গুলো থেকে আহতদের সরিয়ে তার গোপন সেনা ইউনিটে নিয়ে গেছেন । অনেক আহতদের হাসপাতালে হত্যা করেছেন বলেও অভিযোগ আছে । এসব তিনি করেছেন যাতে হাসপাতালের কেউ বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে গাদ্দাফির হামলার কোন বর্ননা দিতে না পারে ।
ত্রিপলির রাস্তা ঘাট পরিস্কার করানো এবং বিভিন্ন ভবনে রং করিয়েছেন । বিদেশিরা যারা ত্রিপলি থেকে পালাতে চাইছে তাদের সবার মোবাইল ফোন আর কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ভেঙ্গে দিচ্ছিলেন যাতে লিবিয়ায় কি হচ্ছে তার কোন ছবি কেউ প্রকাশ করতে না পারে । হয়ত আন্তর্যাতিক আঙ্গনে সাধু সাজার একটা চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি ।
শেয়ালের চাইতেও ধুর্ত এই ব্যক্তির মতন দ্বিতীয় (হেনড্রি কিসিঞ্জারপন্থিরা ছাড়া) কেউ আছে কিনা কে জানে । তিনি যাদের তেলাপোকা আর ইদুর বলে গালি দিয়েছেন তাদের আবার খুশি করার জন্য প্রচুর টাকা দেয়ার কথাও ঘোষনা করেছেন অন্য দিকে তাদেরই দেখামাত্র গুলি করার জন্য তার বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ।
কিন্ত যে বিষয়টি উম্মাদের আচরনকেও ছাড়িয়ে যায় তা হলো- যখন পুরো লিবিয়া তার হাতের বাইরে চলে গেছে তখন তিনি কেবল মাত্র প্রাসাদটার ছাদে দাড়িয়ে কিছু লোককে জড়ো করে বক্তৃতা করে বলছেন “হ্যা তোমাদের কোন ভয় নেই, তোমাদের কত শক্তি আছে আরও কত কিছু আছে, তোমরা বিয়ে কর, আনন্দ কর, নাচ, আর গান গাও” ইত্যাদি । বেনগাজিতে তার বিরোধিদের বিজয় আনন্দ দেখেই হয়ত তিনিও দেখাতে চাইছেন যে তিনি আর তার লোকজন নিশ্চিন্তে আর আনন্দে আছে ।
গাদ্দাফি শেষ আয়োজন যা করছেন তা হলো সাধারন মানুষের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তাদেরকে যুদ্ধে যেতে বাধ্য করতে চেষ্টা করা এর মানে হলো তিনি মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করতে চাইছেন একই সাথে সাধারন মানুষ তার বিরোধিতা করায় তাদেরকে নিশ্চিত মৃত্যুর মাঠে নামিয়ে প্রতিশোধ নিতে চাইছেন ।
যেই আমেরিকা ইংল্যান্ড গাদ্দাফির সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে চেষ্টা চালাচ্ছিল বেশ কয়েক বছর ধরে, যেই জাতিসংঘ গাদ্দাফির কন্যাকে জাতিসংঘের সেবা কার্যক্রমের বিশেষ দূত করা হয়েছিল তারাও আজ গাদ্দাফির সাথে নেই । পরিস্থিতি এতটাই পাল্টে গেছে যে সেই দেশ গুলোও তাদের অবস্থান পরিবর্তন না করে পারেনি ।
তবে গাদ্দাফির এখন সময় শেষ । যুদ্ধে গাদ্দাফি এরই মধ্যে পরাজিতই হয়ে গেছে । তবে এটুকু আসতে হাজারো লিবিয়ানদের যখন প্রাণ গেছে তখন আমেরিকা নিরবই ছিল । এখন যখন কেবল গাদ্দাফির প্রাসাদটার দখল নেয়া বাকি তখন আমেরিকা তার সৈন্য পাঠাতে চায় গাদ্দাফিকে সরাতে, অবশ্য বিরোধিরা সরাসরিই জানিয়ে দিয়েছে তারা তাদের মাটিতে কোন বিদেশি সৈন্যকে নামতে দেবেনা । হয়ত এই লেখা যখন প্রকাশ পাবে তখন গাদ্দাফি নামে কোন ব্যক্তি পৃথিবীতে জিবন্ত নেই ।
রয়ে গেছে তার ক্ষত চিহ্ন । এর বাইরে রয়ে গেছে অদেখা অস্রে আর অর্থ সরবরাহকারীরা । আন্দোলনের গতিতে মনে হচ্ছে এবার অস্ত্র আর অর্থ সরবরাহকারীরা আর আড়ালে থাকতে পারবেনা । জনগন এসব বিদেশি কনসালটেন্ট আর গোপন সৈন্যদেরও খুজ়ে বিচার করবে । তারা বুঝিয়ে দিয়েছে পৃথিবীকে বদলে দেবার সাহস তাদের আছে, তাই ফিফত ফ্লিট আর ব্রিটিশ কনসালটেন্ট দিয়েও আর কাজ হচ্ছেনা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।