আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএনপি-জামাত হেফাজতের মিথ্যাচারে জাতি আজ মহামারীতে আক্রান্ত।

আমি একজন ছাএ

৫ মে তারিখে হেফাজত মাগরিব পর্যন্ত শাপলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের অনুমতি লাভ করে। কিন্তু বিএনপি নেত্রীর উস্কানি পেয়ে তারা যথাসময়ে অবরোধ প্রত্যাহারে অস্বীকৃতি জানায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রদত্ত অনুমতির প্রেক্ষিতে অবরোধ প্রত্যাহার করতে হেফাজত বাহিনীকে অবিরাম অনুরোধ জানাতে থাকে। অবশেষে রাত ৩টার দিকে চ্যানেলসমূহের ক্যামেরার উপস্থিতিতে র্যা ব , বিজিবি ও পুলিশ বাহিনী সম্মিলিত অভিযান চালিয়ে কোন প্রকার অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার ছাড়াই অবরোধকারীদের সমাবেশস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করে। অবরোধকারীরা মতিঝিল সড়ক আইল্যান্ড ও আইল্যান্ডের গাছপালা ও ব্যাংক ও আশপাশের অফিস আদালতের প্রচুর ক্ষতি সাধন করে।

ওই অভিযানে কোন হতাহতের ঘটনা মিডিয়া বা অবরোধকারীরা কেউ দেখল না। হেফাজতের কেউ কিছু বলার আগেই সাদেক হোসেন খোকা বললেন যে, অভিযানে আড়াই হাজার লোক নিহত হয়েছে। পুলিশ কমিশনার হেফাজত-জামায়াত বিএনপিকে নিহতদের তালিকা দিতে বললে এ পর্যন্ত কেউ কোন তালিকা দিতে পারেনি। কোন অবরোধকারী নিহত হলে তার আত্মীয়স্বজন, অভিভাবকরা তাকে খুঁজতে আসত, না পেলে পুলিশে ডায়েরি করত ও মিডিয়াকে অবহিত করত। কিন্তু হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে তারা হাজার হাজার হেফাজতকর্মী নিহতের ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়েই চলেছে।

বিরোধীদলের শীর্ষ নেতারা সরকার ও সরকারী দলের বিরুদ্ধে অবিরত মিথ্যাচারে লিপ্ত। ২০০১-০৬ সালের সেই বিভীষিকাময় দিনগুলোর কথা। বাংলাভাই, জেএমবি, জেএমজেবি, হরকাতুল জেহাদ, হিযবুত তাওহীদ ও হিযবুত তাহরিরের বোমাবাজি, সন্ত্রাস ও অস্ত্রবাজির মাধ্যমে বাংলাদেশকে জঙ্গীবাদী ও আফগানিস্তানের মতো প্রায় তালেবানী রাষ্ট্রে পরিণত করে ফেলেছিল। বর্তমান সরকার জঙ্গীবাদী রাষ্ট্রের তকমা থেকে দেশকে মুক্ত করেছে। জাতি আজ স্পষ্টত দুটি শিবিরে বিভক্ত।

একটি শিবিরের মূল পুঁজি হচ্ছে চরম মিথ্যাচার। অপর শিবিরটি বিপরীত পক্ষের অবিরাম মিথ্যাচারের কাছে ক্রমাগত মার খেয়ে যাচ্ছে। অনেকের মতে, শেষোক্ত শিবিরটি একাই মিথ্যাচারের শিকার নয়, বরং সমগ্র জাতি আজ এই মিথ্যাচারী গোষ্ঠীর মিথ্যাচারের চরম শিকার। গোটা জাতি জ্ঞাত আছে কারা কি উদ্দেশ্যে দেশে অবিরাম মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।