বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এটি একটি শুভ দিন। নিবন্ধনের বিষয়ে পজেটিভ রায় এসেছে। জণগনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। ”
এই রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি ভিন্ন বিষয়।
তবে একইসঙ্গে তিনি বলেন, “শিগগিরই আইনের মাধ্যমে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে আমরা আশা করি।
”
একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতের ইসলামীর যুদ্ধাপরাধের সম্পৃক্ততার বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন রায়ে উঠে আসার সঙ্গে সঙ্গে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবিও জোরালো হতে থাকে।
গত ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির পাশাপাশি জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুরু হয়, যা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। ক্ষমতাসীন মহাজোটের কয়েকটি শরিক দলসহ বাম সংগঠনগুলোও এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানায়।
বৃহস্পতিবার নিবন্ধন বাতিলের রায়ের পর সিপিবি ও ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকেও জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিটি সামনে নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল বলেন, “সরকার নয়, বরং আইনের মাধ্যমে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আমি আশা করি।
“এ রায় জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় শক্ত ভিত্তি হিসাবে কাজ করবে। ”
হাই কোর্টের রায়ের ফলে কোনো অস্থীতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সে রকম কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ‘যথাযথভাবে’ তার মোকাবিলা করা হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।