আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিক্ষিপ্ত-২

আমি এবং আরণ্যক ছাইরংয়া বধ্যভূমিতে দাড়িয়ে দেখছি শেষ সূর্যাস্ত

কিছু একটা পুড়ছে কোথাও, নইলে পাশ ফিরলেই এমন পোঁড়া গন্ধ পাই কেন? চিরুনীর মতো অন্ধকারে,লাল কাপড় হাতে ছুটছে আতঙ্কিত একজন ম্যাটাডোর, তার পেছনে পেছনে ধাঁরালো শিংয়ের একটি বুনোষাঁড়, শেকড়ে শেকড়ে ভীত ব্যকটেরিয়ার অস্পষ্ট গোঙ্গানি, হাজার বছরের নীদ্রাহীনতায় জেগে থাকা অতিপ্রাকৃত অসতিত্ব ফিঁসফিঁস করে বলে “ঘুম ছেড়ে বালিশের তলায় হাতরাখো দেখো অসাবধানতায় দেয়াশলাইটা জ্বলছে” ; আমি চোখবুজেই হাত রাখি বালিশের তলায়, স্যাঁতসেতে অন্ধকারে নির্ভেজাল ক্লান্তিগুলো চরম বিরক্তিতে হাত সরিয়ে দিয়ে বলে “আগেই তো বেশ ছিলি,এখন কেন তবে মাড়াতে চাস অবাধ্যতার ছাঁইপাস?” আমি মনে মনে ভাবি এসব কি হচ্ছে আজকাল? চালসেটা বুঝি এবারই চোখ থেকে ঢুকেছে বুকের ভেতর। মাথাভর্তি বস্তাপঁচা নথিপত্র বোঝাই নিয়ে বের হই রাস্তায়, ঘরোয়া বাতাসে খুঁজি কবিতার মতো নির্ভেজাল এক টুকরো স্বস্ত্বি, কতটুকুই বা প্রত্যাশার ব্যপ্তি, এটুকুতেই যদি তাল কেটে যায় সম্মেলনের তানপুরায় তবে অন্ধকারেরই জয় হোক; শূন্য গলি, চৌরাস্তার এদিকে ওদিকে সন্তর্পণে পাহারারত চৌকিদার, সবকিছুকেই অসহ্য লাগে , আমার বামহাতের তালুতে স্বপ্নের সূর্যটা নিভে গেলে হতচ্ছাড়া আরণ্যক আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে, অন্ধকারেই গাঢ়তা বেড়ে গেলে সে আমার ভয় পাওয়া ন্যুজ কাঁধে হাতরেখে চুপি চুপি বলে “ এটুকুতেই এতো হতাশ কেন? জানিস না ? রাতের পরিধি কমলে দিনের, কিংবা মানুষ কমলে অমানুষের আধিপত্য বাড়ে” ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।