আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই লোকটার নাকি ৩৯ টি বউ, ৯৪ টি সন্তান


জিওনা চানা নামের একটি লোকের ৩৯ স্ত্রী, ৯৪ সন্তান এবং ৩৩ জন নাতি-নাতনি। ১০০ কক্ষবিশিষ্ট চারতলা ভবনে তাঁদের সবার বসবাস। এটাই নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবার। ভারতের মিজোরামের বাকতওয়াং গ্রাম তাঁদের ঠিকানা। কানাডা থেকে প্রকাশিত একটি অনলাইন বাংলা সাপ্তাহিক এই খবরটি প্রকাশ করেছে।

ডেইলি মেইলকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করে পত্রিকাটি লিখেছে- জিওনা চানা বলেছেন, ‘নিজেকে ঈশ্বরের বিশেষ পুত্র বলে মনে হয়। তিনি অনেককে দেখাশোনার সুযোগ দিয়েছেন আমাকে। ৩৯ জন নারীর স্বামী হতে পেরে এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবারের কর্তা হওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হয়। ’ এত বড় হলেও চানার পরিবার সুশৃঙ্খল একটি বাহিনীর মতো পরিচালিত হচ্ছে। চানার প্রথম স্ত্রী জাথিয়াঙ্গির নির্দেশমতোই চলে বিশাল এ পরিবার।

বাড়িঘর ধোয়া-মোছা, পোশাক-আশাক পরিষ্কার ও রান্নাবান্না করা—সবকিছুই ভাগ করে দেওয়া আছে। নিয়ম অনুযায়ী সবাই প্রতিদিনের কাজ শেষ করেন। ছোটখাটো একটা গ্রামের মতো হলেও বিশালাকায় এ পরিবারে কোনো ঝুট-ঝামেলা নেই। প্রায় পৌনে ২০০ সদস্যের পরিবারটিতে খাবারের আয়োজনও রীতিমতো মহাযজ্ঞের মতো। রাতে খেতে বসলে ৩০টি মুরগির কমে তাঁদের হয় না।

আলু লাগে অন্তত ১৩২ পাউন্ড। ২২০ পাউন্ড চালের এদিক-ওদিক হলেই হিসাবে লেগে যায় গন্ডগোল। এক বছরে ১০টি বিয়ে করার রেকর্ডও আছে জিওনা চানার। বহু স্ত্রী থাকলেও তিনি কখনোই একই সময় একাধিক স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটান না। তবে সবচেয়ে ছোট স্ত্রীকে নিজের শোয়ার ঘরের কাছেই থাকার ব্যবস্থা করেছেন।

তবে পর্যায়ক্রমে তিনি সব স্ত্রীর সঙ্গেই সময় কাটান। রিঙ্কমিনি নামে চানার এক স্ত্রী বলেছেন, ‘গ্রামে আমাদের স্বামীই হচ্ছেন সবচেয়ে সুদর্শন ব্যক্তি। আমাদের পরিবারে তিনিই হচ্ছেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এ জন্য সব সময়ই আমরা তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করি। ’ চানার সঙ্গে বিয়ের গল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৮ বছর আগের কথা।

একদিন প্রাতর্ভ্রমণের সময় চানা আমাকে দেখতে পান। পরে বাড়িতে গিয়ে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ’ চানা যে ধর্মমতাবলম্বী সেই ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা মাত্র ৪০০ জন। এ জন্য তিনি এখনো নতুন বৌয়ের সন্ধানে আছেন। এ প্রসঙ্গে চানা বলেন, ‘ধর্মের প্রসার ঘটাতে বিয়ের জন্য প্রয়োজনে আমি সুদূর আমেরিকা পর্যন্ত যেতে রাজি।

এইবার আপনি বলেন, এই লোকটি কোন প্রডাক্টের মডেল হিসেবে যুতসই?
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।