আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মো:আশরাফুল... Man with the golden arm...



৮সেপ্টেম্বর ২০০১, স্বদেশি এক কিশোরের কল্যানে প্রচন্ড শিহরিত হয়েছিলাম। অভিষেক টেস্ট ম্যচেই ১১৪ রান তাও আবার মাত্র ১৭ বছর ব্য়সে। এরপর ২০০৫ এ কার্ডিফ ২০০৭ এ গায়ানা সবই সপ্নীল ইতিহাস। অনেকে বলেন ভয়ংকর প্রতিভাধর এই ছেলেটি নাকি মোটেও ধারাবাহিক নয়। ১৬৫ ODI তে ২৩.১৭ গড়ে ৩৩৬১ রান এবং ৫৫ টেস্টে ২২.৩৮ গড়ে ২৩০৬ রান কিন্তু প্রচন্ড ধারাবাহিকতারই প্রমান।

আপনারা কি ছেলেটার ঘরোয়া List A ম্যচের গড় জানেন?? সেটাও ২৩.৪১। একজন প্রচন্ড প্রতিভাধর ও ধারাবাহিক না হলে সব ধরনের খেলায় এ ধরনের গড় ধরে রাখা আসলে সম্ভব না। এই ছেলেটার সাথে প্রায় একই সময়ে অভিষেক হওয়া প্রতিভাহীন শ্রীলংকান সামারাভিরার টেস্ট গড় জানেন? মাত্র ৫৪.২৫। আসলে আশরাফুল শুধু একজন প্রতিভাধর ব্যটসম্যন ই নয় ভয়ংকর বোলিং ও করেন তিনি। আমার জানা মতে তিনিই একমাত্র বোলার যিনি দুই ড্রপে বল করে উইকেট পান।

সত্যই তার হাতে যাদু আছে,তিনি যা করেন তাতেই তিনি সফল। একজন ব্যটসম্যন কাম লেগ স্পিনার থেকে কিভাবে একজন পরিনত অফ স্পিনার হওয়া যায় সেটার দৃষ্টান্ত ও তিনি রেখেছেন। ইদানিং তিনি নাচছেন ও ভালো। আমার ধারনা আমরা এই বহুমাত্রিক প্রতিভাধর ছেলেটির প্রতিভা নানা ভাবে অপচয় কারছি। যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা তার প্রতিভার পুরোটা ব্যবহার করতে পারি।

ধরুন কেনে ম্যাচে সফিউল বা রুবেল ইনজুরড,সেক্ষেত্রে আশরাফুল কে আমরা পেস বোলার হিসেবে খেলাতে পারি। সে নিশ্চই সফল হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে তাকে আমরা মুশফিকের বিকল্প হিসেবে ও ভাবতে পারি। আশরাফুল হলো আমাদের দলের মাসকট,তাই তাকে যে কোন মূল্যে যে কোন উপায়েই দলে রাখতে হবে। কেবল আশরাফুলের বহুমাত্রিক ব্যবহার ই পারে দলের সফলতা বয়ে আনতে।

আর এই ধারা অব্যহত রাখলে আমাদের দলে আর ১১ প্লেয়ারের দরকার হবে না,দু-তিন জন প্লেয়ার কম হলেও চলবে । আশরাফুলের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক.............।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।