বোবার নাকি কোন শত্রু নাই, কিন্তু বোবা তো থাকতে পারি না......
স্কুলে স্যারদের হাড় তো জ্বালিয়ে খাইছি। অকারনে স্যারদের জালানোর মাঝে যে একটা অশান্ত মজা আছে তা তো দমন করা পীড়াদায়ক।
স্যাররা যেমন আমাদের সাথে টম জেরী খেলত আমরাও তাতে ভাল সাড়া দিতাম আর জেরীর ভুমিকা পালন করতাম।
একবার সিরিয়াস একটা মার খাবার মোক্ষম সুযোগ আসছিল। সিটি পরিক্ষায় জিরু পাইছিলাম।
স্যার ডাকল আমাকে।
--কত পেয়েছ?
-স্যার, বেশী পাইনি।
--কত পেয়েছ সোনা আমার?
-স্যার, জিরু পাইছি।
-- ফাজলামি কর আমার সাথে? হাত পাত!
আমি তো বুজছি হাত আজকে শেষ। আমি ভেবাচেকার ভান করতে থাকলাম।
-না স্যার। কারও কাছে হাত পাতাটা কেমন? তাও আবার সবার সামনে?
-- বেয়াদপ। যা করতে বলছি কর! না হইলে কিন্তু খবর আছে!
অনিচ্ছাসত্তেও হাত পাতলাম। বেত উঠল স্যার এর হাতে। আমি তো শেষ আজকে? কি হবে আমার হাতের?
মাস্টার মশাই যখনই বেত্রাঘাত করিতে উদ্ধত হইলেন ঠিক তখনই আমি হাত সরিয়ে নিলাম।
৩ বারই এমন কাজ করলাম। অতঃপর স্যার মশাই বিফল হয়ে আমার দিকে কটমট দৃষ্টিতে তাকালেন এবং বললেন
-- কিরে এইটা কি করলি?
- স্যার, আমি আবার কি করলাম? আপ্নে মিস করছেন আমার কি করার আছে। আপ্নের টার্গেট ভাল না।
এই কথা কইতে না কইতে পোলাপাইন অট্টহাসিতে ফাইটা পড়ছে। স্যার তো লজ্জায় পুরাই লাল।
এত্ত খেপা খেপছিল যে ওইদিন আমার এ আর মারার ট্রাইই করে নাই। বেচে গেলাম ঐ দিনের বেত্রাঘাত থেকে।
এরকম ফাজলামি হরহামেশাই করতাম। ঐ দিন গুলো আসলেই মিস করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।