আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিন যুগ পেরিয়ে সেই জিলাপি

স্বাদে ভরপুর কালামের জিলাপি স্বীয় ঐতিহ্য ধরে রেখেই পেরিয়েছে ৩৬ বছর। ভোজন বিলাসীদের কাছে  সবসময়ই এর চাহিদা ব্যাপক। তবে রমজানে এই চাহিদা আরো বেড়ে যায়। মেহেরপুরের কালামের জিলাপি ছাড়া তো ইফতারই জমে না।

১৯৮২ সালে শহরের  থানা রোডে ফয়েজের তিন রাস্তা মোড়ে  টিনে শেডের আধাপাকা ঘরে তৈরি শুরু হয় এ জিলাপি।

প্রস্তুতকরক  আবুল কালাম আজাদ নিজেস্ব পদ্ধতিতে এ জিলাপি তৈরি করেন। স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও গুণগত মানের জন্য ভোজন বিলাসীদের কাছে অল্প দিনেই ছড়িয়ে পড়ে কালামের জিলাপির খ্যাতি। প্রথমদিকে কোনো নাম ছাড়াই জিলাপির বিক্র শুরু হলেও কালের বিবর্তনে ভোজন বিলাসীদের কাছে কালামের জিলাপি হিসাবে এটা পরিচিত হয়ে ওঠে। শুধু মেহেরপুর শহর নয়, পাশের জেলা কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা থেকেও মানুষ আসেন কালামের জিলাপির স্বাদ নিতে।

১৯৮৪ সালে কালাম মারা গেলে তার সহোদর মো. আব্দুস সাত্তার হাফিজ প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরে সফলতার সাথে এর সুনাম, স্বাদ ও গুণ অখুণ্ন রেখে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

কালামের শাহী জিলাপি ও ছোট জিলাপি কোনোরকম বিশেষ সংরক্ষণ ছাড়া তিনদিন ঘরে রাখা যায় বলে দাবী করেন আব্দুস সাত্তার। একই কথা জানালেন দোকানের নিয়মিত ক্রেতা আতিকুর রহমান স্বপন ও আবু তালেব।  আব্দুস সাত্তার বলেন, বর্তমানে যখন  জিলাপি তৈরিতে  বিভিন্ন বিক্রেতা হাইড্রজেনসহ মানবদেহে ক্ষতিকর বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশ্রিত জিলাপি তৈরি করে বিক্রি করছেন, সেখানে আমরা সম্পূর্ণ  নির্ভেজাল ও স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে জিলাপি তৈরি করি বলেই  আমাদের জিলাপির এতো কদর।

তিনি আরো বলেন, বড় ভাই প্রয়াত আবুল কালাম আজাদ নিজে হাতে আমাকে শিখিয়েছেন কিভাবে জিলাপি ভাজতে হয়। কিভাবে ময়দার সাথে অন্যান্য উপাদানের মিশ্রণ ঘটাতে হয়।

তিনি সবসময় বলতেন ব্যবসার মূল পুজি অর্থ নয়, সততা ও নির্ভেজালতা দিয়ে ভোক্তার হৃদয় জয় করা। তার এ অমূল্য বাণী আমি সবসময় মনে রাখি। কালামের জিলাপি প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ কেজি বিক্রয় হয়। রমজান মাসে তা বেড়ে যায়। গতবছরে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করলেও কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর ১০ টাকা বাড়িয়ে ৯০ টাকা কেজি দরে জিলাপি বিক্রয় করা হচ্ছে।

আব্দুস সাত্তারের কাছে জিলাপির স্বাদের রহস্য সম্বন্ধে জানতে চাইলে তিনি জানান, রুলার ময়দা, ১নং ডালডা, চিনি ব্যবহার করা হয় মূল উপাদান হিসাবে। ময়দাকে পানিতে ১৬-১৮ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয। ভাজার জন্য ব্যবহার করা হয় ডালডা।   

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।